মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো সংসদীয় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে

সুন্নি মুসলিম গণহত্যার খলনায়ক স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো সংসদীয় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে এই ভোট কার্যক্রম শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে পরোক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালিত হবে। সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় নির্বাচনী সংস্থাগুলো প্রার্থীদের মনোনয়ন এবং নির্বাচনের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজেন ব্লে আসাদ পরবর্তী সিরিয়ার প্রথম নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এমন কিছু সিদ্ধান্ত আছে যার জন্য কার্যত সংসদের প্রয়োজন হয়৷ যেমন, ইসরাইলের সাথে আলোচনা, দেশের সামগ্রিক নীতির দিক পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক নীতি সংশোধন, এমনকি সিরিয়ার নতুন সেনাবাহিনীতে বিদেশী যোদ্ধাদের একীভূত করাও এর অন্তর্ভুক্ত।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিপ্লব পরবর্তী নতুন কাঠামোর অধীনে সিরিয়ার সংসদে ২১০টি আসন থাকবে। এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সরাসরি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা আহমদ আল-শারা কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং বাকি দুই-তৃতীয়াংশ স্থানীয় নির্বাচনী কলেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

সংসদের প্রধান দায়িত্বকে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তদারকি করা এবং দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কিছু সিরিয়ান নাগরিক আশা প্রকাশ করেন যে, নতুন সংসদ জাতীয় ঐক্যে অবদান রাখবে।

মোহান্নাদ আহমাদ নামের তেমনি এক সিরিয়ান নাগরিক বলেন, আমি বিশ্বাস করি নতুন সংসদ গঠিত হলে, সিরিয়ার সমাজের ঐক্য রক্ষা, বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে নাগরিক শান্তি জোরদার হবে এবং সিরিয়ার জনগণের ভবিষ্যতের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ঘোষিত পরিকল্পনা অনুসারে, সংসদের মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে, যতক্ষণ না একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়ন এবং অনুমোদিত হয়।

তবে, সিরিয়ার উচ্চ নির্বাচন কমিশন আগস্টের শেষের দিকে এক ঘোষণায় জানিয়েছিলো যে, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের কারণে হাসাকা, রাক্কা (উত্তর-পূর্বে) এবং সুওয়াইদা (দক্ষিণে) শহরের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

সূত্র: তলো নিউজ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ