মঙ্গলবার | ১৬ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

কাতার ইসরাইলকে একঘরে করে দিচ্ছে, তবে আমেরিকা পাশে আছে : নেতানিয়াহুর স্বীকারোক্তি

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেছেন, কাতার ও কয়েকটি দেশ একসঙ্গে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে দিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ এখনো ইসরাইলের পাশে থাকলেও বিশ্বের বহু রাষ্ট্র ইসরাইলের আগ্রাসী নীতি ও যুদ্ধাপরাধের কারণে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

ইসরাইলি দৈনিক দ্য জেরুসালেম পোস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইউরোপে ইসরাইলবিরোধী মনোভাব বাড়ছে, আর এর পেছনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রভাব রয়েছে। তিনি এটিকে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করলেও বাস্তবতা হলো, ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে মানুষ ইসরাইলের গাজ্জা হত্যাযজ্ঞ ও কাতারের মতো মধ্যস্থতাকারীর ওপর হামলার তীব্র বিরোধিতা করছে। নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা এই অবরোধও ভেঙে ফেলব।” তার এই বক্তব্য ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাকেই প্রকাশ করছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলকে নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিরক্ষা শিল্পকে স্বাধীন ও স্বনির্ভরভাবে শক্তিশালী করা। তাঁর ভাষায়, আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায় স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরাইল কাতারে আর কোনো হামলা চালাবে না। তিনি কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের “বিশ্বস্ত মিত্র” বলে উল্লেখ করেছেন।

গাজ্জায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক দোহা হামলার পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরব-ইসলামি বিশ্বে যেমন সমালোচনা বাড়ছে, তেমনি পশ্চিম ইউরোপেও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ইসরাইলের আশঙ্কা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা জোরদার হতে পারে। এ কারণেই নেতানিয়াহু এখন তিনটি অক্ষে জোর দিচ্ছেন, কূটনৈতিক লবিয়িং, গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের স্বনির্ভরতা।


সূত্র : দ্য জেরুসালেম পোস্ট, রয়টার্স, আনাদোলু, টাইমস অব ইসরাইল

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img