পবিত্র রমজান মাসের ২৫তম রজনীতে সৌদি আরবের মক্কাতুল মোকারররমায় বাইতুল্লাহ শরীফে ইবাদতের জন্য ১৫ লক্ষ মানুষের একত্রীত হয়েছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) হারামাইন শরীফাইন জেনারেল প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে বিষটি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মসজিদুল হারামে এবারের রমজানে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ রমজানের রজনীতে।
ইতিমধ্যে ৫৬ হাজার ৪০০ জমজমের পানির বোতল বিতরণ করেছে হারামাইন প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ এবং আরো বিতরণ করা হচ্ছে। বয়স্ক ব্যক্তি, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী সহ স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা নিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ব্যক্তি।
এছাড়া মসজিদে হারাম ও মুসল্লীদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ১লক্ষ ৩০ হাজার লিটার জীবাণুনাশক, ৩হাজার লিটার সুগন্ধি ফ্রেশনার, ৬ লক্ষ ৬০ হাজার লিটারেরও বেশি পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং কার্পেট জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৩৪ হাজার লিটারেরও বেশি জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুরআনে পাকের সূরা কদরের ৩ নং আয়াতে লাইলাতুল কদরের রজনীকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রজনী বলে ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।
আর সুনানে ইবনে মাজাহ’র ১৪০৬ নং হাদিসে হযরত জাবের (রা:) এর সূত্রে বর্ণিত সহিহ হাদিসে আছে, মসজিদুল হারামে নামাজ পড়া অন্যান্য মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে ১লক্ষ গুণ বেশি উত্তম।
শুআবুল ঈমান নামক হাদিসের কিতাবে (৩/৩০৫-৩০৬) একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা পাওয়া যায়, রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল।
সুনানে দারেমীর ১৮২২ নং হাদিসে উবাদা ইবনুস সামেত (রা.) এর সূত্রে সহিহ সনদে বর্ণিত আছে, তোমরা (রমজানের) শেষ দশকে তা (লাইলাতুল কদর) অনুসন্ধান কর। ২৫ তম, ২৭ তম এবং ২৯ তম রজনীতে।
এছাড়া সহিহ বুখারীর ২০২৩ নং হাদিসেও ২৫ তম, ২৭তম এবং ২৯ তম রজনীতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান সংক্রান্ত বর্ণনা পাওয়া যায়।
তাই রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রীতে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে স্বভাবতই মসজিদুল হারামে সাধারণ মুসল্লী ও বিভিন্ন দেশের ওমরা পালনকারীদের আগমন থাকে চোখে পড়ার মতো।
সূত্র: আল জাজিরা