দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর আমেরিকাকে পরাজিত করে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে। আফগানিস্তানে দখল নেওয়ার সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনীদের। তবে এই দীর্ঘ ২০ বছরে আমেরিকা যা খরচ করেছে তা জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, বিল গেটসসহ বিশ্বের শীর্ষ ৩০ ধনকুবের মোট সম্পত্তির পরিমাণকেও অতিক্রম করেছে। গত ২০ বছরে দেশটিতে নানামুখী খাতে আমিরকার ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
২০০১ সাল থেকে খরচের হিসাবটা শুরু। এরপর থেকেই আফগানিস্তানে সকল খরচা চালিয়ে গেছে মার্কিন সরকার। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে খরচের অঙ্কটা এতই বিশাল যে মাথাপিছু হিসাবে প্রত্যেক আফগান নাগরিকের পেছনে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার ডলার। আফগানিস্তানে প্রায় ৪ কোটি মানুষ বসবাস করে। একই হিসাবে আফগানিস্তানে মার্কিনদের প্রতিদিন খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ডলারের বেশি।
আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের বিশেষ ‘কস্ট অব ওয়ার’ প্রকল্পের অধীন এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোট খরচের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি ডলার (৮৪ লাখ কোটি টাকা) সরাসরি যুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খরচ করে। অপরদিকে যুদ্ধের ফলে ঋণের সুদ বাবদ ৫৩ হাজার কোটি ডলার (৪ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ হয়।
আফগানিস্তানের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণে ও অস্ত্র সজ্জিত করায় ২০০২ সালের মে থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০৮ কোটি ডলার (৭ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা) খরচ করা হয়। যা বাংলাদেশের চলতি বছরের বাজেটের চেয়েও বেশি।