ভারতের সংখ্যালঘু দমনপীড়নের প্রবণতা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান লে. জেনারেল আহমদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম, শিখ ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন দিন দিন বাড়ছে, যা থেকে চরমপন্থা জন্ম নিচ্ছে। ভারত সরকার এই অভ্যন্তরীণ অসন্তোষকে চাপা দিতে পাকিস্তানকে ‘বহিঃশত্রু’ বানাচ্ছে, যেন জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ভারতের এই প্রবণতা শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে হুঁশিয়ারি করে আহমদ শরীফ বলেন, পাকিস্তান একটি শান্তিপ্রিয় ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কখনো পিছপা হবে না। ভারত যত দ্রুত এই বাস্তবতা মেনে নেবে, তত দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ফিরবে ও গোটা বিশ্বের জন্যও তা মঙ্গলজনক হবে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল সুনির্দিষ্ট ও শুধু ভারতের সামরিক অবকাঠামোর ওপর সীমাবদ্ধ। কোনো বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি। আমাদের জবাব ছিল যথাযথ, ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ।
পাকিস্তানের এই সেনা কর্মকর্তা প্রশ্ন তোলেন, তদন্ত না করে কীভাবে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করা যায়? যদি সত্যিই প্রমাণ থাকে, তা যেন নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেওয়া হয়। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
জেনারেল আহমদ শরীফ আরও বলেন, পাকিস্তানে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সক্রিয়ভাবে যুক্ত।