‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে কাতারকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরাতে চায় গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া খুনি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
সোমবার (১৯ মে) মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ইসরাইল-হামাস আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা কাতারকে মধ্যস্থতা থেকে সরাতে চায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এজন্য দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে নেসেটে (ইসরাইলী সংসদ) একটি বিল উত্থাপন করে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি।
বিলটিতে ইসরাইলের সরকার প্রধানকে কোনো রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের সমর্থক কি সমর্থক না তা নির্ধারণে ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।
বিলের প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, ইসরাইল দখলকৃত অঞ্চল সহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ইসরাইলী ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম বা অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান হিসেবে গণ্য হবে। যারা এর সাথে জড়িত থাকবে তারা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে গণ্য হবে। সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত যেকোনো দেশ ইসরাইলে তহবিল দেওয়ার ও বাণিজ্যে জড়ানোর সুযোগ হারাবে।
সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে একটি নিবেদিতপ্রাণ ইউনিট গঠন করতে হবে, যে ইউনিট গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রগুলোকে মোকাবিলার জন্য সরকারি ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সমন্বয় করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে।
এছাড়াও উল্লেখ করা হয়, প্রায় বিশ বছর ধরে কাতার ভেড়ার পোশাকে নেকড়ের মতো আচরণ করে আসছে। দাবি করা হয় যে, কাতার সন্ত্রাসবাদে বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি তালেবান, ইসলামিক স্টেট, হামাস এবং হিজবুল্লাহকে সমর্থন করে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে খুনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজ্জা যুদ্ধবিরতিতে কাতারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় দেশটির প্রচেষ্টা ও ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেন। দেশটির বিরুদ্ধে দ্বিমুখী দ্বিমুখীতার অভিযোগ আনেন।