ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য একটি পরমাণু যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনীর।
তিনি বলেন, “যদি কোনো রাষ্ট্রনায়ককে শান্তির জন্য সম্মানিত করা হয়, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরই সেই অধিকার রয়েছে।” তাঁর ভাষায়, এই সংকটকালে ট্রাম্পের নেতৃত্ব বিশ্বশান্তির জন্য অনন্য উদাহরণ।
এই প্রস্তাবের পরই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফিল্ড মার্শাল মুনীরের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক ঘণ্টার জন্য নির্ধারিত থাকলেও আলোচনা চলে দুই ঘণ্টারও বেশি সময়।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাঁকে (মুনীর) ধন্যবাদ জানিয়েছি, কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পথে না গিয়ে শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। আমি মোদিকেও ধন্যবাদ জানাই।” তিনি আরও বলেন, “এই দুই নেতা যুদ্ধ না করে পরমাণু যুদ্ধ এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আন্না কেলি জানান, ট্রাম্প-মুনীর বৈঠকের অন্যতম একটি কারণ ছিল জেনারেল মুনীরের নোবেল পুরস্কার বিষয়ক বক্তব্য। তিনি বলেন, “ফিল্ড মার্শাল মুনীর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার আহ্বান জানানোর পর প্রেসিডেন্ট তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান।”
বৈঠকে শুধু শান্তি ও পরমাণু ইস্যুই নয়, বরং ইরান পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি খাতে সম্ভাব্য অংশীদারত্ব নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সূত্র : ডন ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড