ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের কারাগার থেকে পালানোর পর পুনরায় বন্দী হওয়া ছয় ফিলিস্তিনি বন্দী সাথে সংহতি প্রকাশে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নেয়।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া ইসরাইল ও আমেরিকার পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
একইসাথে ইসরাইলের প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। ইসরাইলের প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতি অনুযায়ী কোনো বিচার ছাড়াই বন্দীকে ছয় মাস আটকে রাখতে পারে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ আগস্ট ইসরাইলের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত জিলবোয়া কারাগার থেকে ফিলিস্তিনের ছয় বন্দি দুঃসাহসিকভাবে সুড়ঙ্গ পথ খুঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
তারা হলেন- ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামী জিহাদের সদস্য মাহমুদ আবদুল্লাহ আল-আরিদা, মুহাম্মাদ কাসিম আল-আরিদা, ইয়াকুব মুহাম্মাদ কাদরি, আয়হাম নায়েফ কামামজি, মুনাদিল ইয়াকুব আনফিয়াত ও ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের নেতা যাকারিয়া জুবাইদি।
পালিয়ে যাওয়া এই বন্দীদের সন্ধানে উত্তর ইসরাইল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিমতীরে তথাকথিত অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরাইলের ফিলিস্তিনি আরব অধ্যুষিত শহর নাজারেথের কাছে খ্রিস্ট ধর্মীয় পবিত্র স্থান জাবাল কাফাজা থেকে মাহমুদ আল-আরিদা ও ইয়াকুব মুহাম্মাদ কাদরিকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি বাহিনী।
পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর সকালে নাজারেথের কাছে ‘আল-শিবলি’ গ্রাম থেকে মুহাম্মাদ আল-আরিদা ও জাকারিয়া জুবাইদিকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার দিবাগত রাতে সর্বশেষ দুই বন্দী নায়েফ কামামজি ও মুনাদেল আনফিয়াতকে গ্রেফতার করে ইসরাইল।