ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল বাতিল ও মুসলিম নিধন বন্ধের দাবীতে গণমিছিল ও ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) জোহরের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে এ গণমিছিল শুরু হয়ে শান্তিনগর গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে শেষ হয়। পরে সেখান থেকে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মিছিলের পূর্বে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, মাওলানা নূর হোসাইন নূরানী, খেলাফত শ্রমিক মজলিসের সদস্য সচিব মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হুসাইন রাজী প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে ভারতের মুসলমানদের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়:
১। ভারতের সংসদে পাস হওয়া ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩। মসজিদ, মাদরাসা ও ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪। মুসলিমবিরোধী হিংসা, হত্যা এবং বৈষম্যমূলক আইনসমূহ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৫। ভারতের মুসলমানদের ওপর পরিচালিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভারতের সংখ্যালুঘু মুসলিম সম্প্রদায় এক গভীর সংকটে পতিত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমানদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব ধ্বংসের প্রচেষ্টা চলমান। এমন প্রেক্ষাপটে পাশকৃত ওয়াকফ সংশোধনী বিল মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার হরণের একটি চক্রান্তেরই অংশ।
এতে আরও বলা হয়, ভারতের সরকার যদি এই ধর্মীয় নিপীড়ন ও মুসলিমবিরোধী নীতি থেকে সরে না আসে, তবে তা শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ শান্তিই নয়, উপমহাদেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ হতে পারে।