কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থার মধ্যেই পাকিস্তান একটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তান এক সামুদ্রিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে করাচি উপকূল থেকে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে।
পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে একটি হামলার ঘটনার জেরে ভারত কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
পাকিস্তানের সরকারি স্তরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না এলেও দেশটির একটি এক্স অ্যাকাউন্ট ‘পাক ইন্টেল মনিটর’ এবং ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই সূত্রে দাবি করা হয়, এই পদক্ষেপ অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক জরুরি বৈঠক বসে।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি উপযুক্ত জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ‘অনুপযুক্ত’ ও ‘গুরুত্বহীন’। নয়াদিল্লি কাশ্মীরের ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, এনএসসি’র বৈঠকে পাকিস্তানের শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব দেশটির অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ভারতের ঘোষিত পদক্ষেপগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেছে।









