বৃহস্পতিবার | ১০ জুলাই | ২০২৫

কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় ১২ মার্কিন সেনা নিহত

spot_imgspot_img

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল ফটকের কাছে বৃহস্পতিবার দুটি আত্মঘাতী হামলায় ১২ মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও ১৫ জন মার্কিন মেরিন সেনা আহত হয়েছেন। ছাড়াও এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক ও আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।

খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিএনএনের।

পশ্চিমা দেশগুলো বিমাবন্দরে আত্মঘাতী হামলার আশঙ্কা রয়েছে জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক ও আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।

জন কিরবি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো বিমাবন্দরে আত্মঘাতী হামলার আশঙ্কা রয়েছে জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলার স্থানে ‘লাশের স্তূপ’ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক সেকান্দার কেরমানি।

তিনি বলেন, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে লাশের স্তূপ দেখা গেছে। তাই ওই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় শিশু ও বিদেশি নাগরিকসহ ৬৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

এই বিস্ফোরণে তালেবানের কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

শীর্ষস্থানীয় এক আফগান কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন।

তবে গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ওই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

প্রথম আত্মঘাতী হামলাটি হয় কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটে। এর কিছুক্ষণ বিমানবন্দর থেকে ২০০ দূরে ব্যারন হোটেলের কাছে। এখানে সব পশ্চিমা দেশের নাগরিকরা থাকতেন।

বাইডেন আইএস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করার দুই দিনের মধ্যে এ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান উভয়ই হামলার জন্য আইএসকে দায়ি করছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img