কাশ্মীরে কথিত বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ওয়াকফ আইনের বাস্তবতাকে আড়াল করছে। মানুষের মনোযোগ মুহূর্তে সরে যাচ্ছে সদ্য প্রণীত নতুন ওয়াকফ আইন থেকে। এর ফলে, এই আইনের অধীনে মসজিদ ভাঙার ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের পিম্পরি এলাকায় ১৬ টি মসজিদ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মসজিদগুলো অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই মসজিদগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। অন্যথায় নেওয়া হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা।
এই সকল মসজিদগুলো ১৯৯৫ সালের আগে নির্মিত। তৎকালীন সময়ে এই অঞ্চলটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নয়, বরং গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পরিচালনা করা হতো। ফলে মসজিদ ভাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা দেখা দিয়েছে। আইনি নোটিশ জারির পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী।
একটি মসজিদ কমিটির প্রধান আব্দুল শাকুর চৌধুরী বলেন, “এমন নোটিশ জারি করার বিষয়টি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। কারণ এই মসজিদগুলো পৌরসভা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই নির্মাণ করা হয়েছে। সেসময়ে, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এমন অনুমতির কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল না।”
মুহাম্মাদ নাঈম নামে অপর একজন বলেন, “এই মসজিদগুলির মধ্যে কোনটি কোনও রাস্তা বা ফায়ার ব্রিগেডের প্রবেশাধিকারে বাধা সৃষ্টি করে না। এই পদক্ষেপটি পূর্বপরিকল্পিত ও অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নোটিশে ভারতের উর্বাণ উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগ ও নির্মাণ আইনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই মসজিদগুলো ভেঙে না ফেললে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তা গুড়িয়ে দেবে। মসজিদ ভাঙার সকল খরচ মসজিদ কমিটিগুলির কাছ থেকে আদায় করা হবে। এছাড়াও যদি বিধি অনুযায়ী কাজ না হয়, তবে ৫ হাজার রুপি জরিমানা ও ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হতে হবে।
সূত্র: ক্লারিয়ন ইন্ডিয়া