ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি অর্থনীতিবিদ ড. মেহমেত আসুতায় বলেছেন, উচ্চ সুদের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরতাকে অস্বীকার করে এমন একটি অবস্থার জন্ম হয়, যা শিরকেরই শামিল।
হাসান কালিয়োনচু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ আখলাক শূরায় ইসলামি নৈতিকতা ও অর্থনীতির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামি রাজনৈতিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহমেত আসুতায়।
আলোচনায় তিনি বলেন, “আপনি যদি জীবনের কোনো একটি পর্যায়ে মুসলিম হিসেবে চলেন এবং মুসলিম আচরণ অনুসরণ করতে পারেন, যেমন হিজাব নিষিদ্ধ বলেই আপনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে পারেন, তাহলে সেই একই ইসলামি পরিচয়ের প্রতিফলন অর্থনৈতিক জীবনেও থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, ইসলামে সুদ সব অবস্থায় হারাম। অথচ উচ্চ সুদের নীতির মাধ্যমে যাদের হাতে মূলধন আছে, তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পার্থক্য আরও বেড়ে যায়। এতে ধনীরা আরও ওপরে উঠে যায়, আর সাধারণ মানুষ আরও নিচে নেমে যায়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই ধরনের অর্থনৈতিক নীতি এক অলিগার্খিক কাঠামো তৈরি করে, যেখানে পুঁজি কেবল একটি শ্রেণির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়। অথচ ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই যে, অর্থনীতিতে ভারসাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ড. আসুতায় আরও বলেন, “সুদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মূলধনকে ব্যক্তি ‘ক’ থেকে ব্যক্তি ‘খ’-এর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পুঁজিকে নিচে নামিয়ে অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে সমান স্তরে আনা। তাই এই ধরনের সুদভিত্তিক নীতিমালা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি বলেন, “যদি কেউ অর্থনৈতিক জীবনে আল্লাহর হারাম ঘোষণা করা বিষয়গুলো মান্য না করে, বরং সুদকে বৈধতা দেয়, তাহলে সে আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে নিজের লোভ, ক্ষমতা ও ব্যবস্থাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এই অবস্থাই শিরকের দিকে নিয়ে যায়।”
সূত্র : ইয়েনি শাফাক