শুক্রবার, মে ৩০, ২০২৫

‘দেশের স্বার্থে প্রয়োজন হলে আজীবন জেলে থাকতে প্রস্তুত রয়েছেন ইমরান খান’

spot_imgspot_img

কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের স্বার্থে আজীবন জেলে থাকাতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বোন আলিমা খান। একইসঙ্গে তিনি ইমরান খানের মুক্তির জন্য ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ ভিত্তিক একটি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, অদৃশ্য কিছু শক্তি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে।

মঙ্গলবার ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলিমা খান বলেন, আমার ভাই বলেছেন, ‘যদি আমি চিরকাল জেলে থাকি, তবুও আমি অত্যাচারীদের কাছে মাথা নত করব না।

তিনি আরও জানান, ইমরান খান বিশ্বাস করেন তিনি যদি দেশের স্বার্থে বন্দি থাকেন, সেটাও তাঁর জন্য গর্বের বিষয়।

আলিমা অভিযোগ করেন, ইমরান খানের মামলা আদালতের কার্যতালিকায় থাকলেও সেগুলো পরে “চাপের মুখে” সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমি অদৃশ্য শক্তিগুলোকে বলতে চাই, আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তারা আমাদের বলুক, ইমরান তাদের কী করেছে। ইমরান ও তাঁর বোনদের ভয় না পেয়ে তারা যেন সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলে।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা যেই হন না কেন, লুকিয়ে থাকবেন না। সামনে আসুন। খানের বোনেরা আপনাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। বলুন, তিনি কী বলেছেন, কী করেছেন, কী অন্যায় করেছেন?”

আলিমা খান আরও বলেন, এসব গোপন শক্তি শুধু বিচারকদের নয়, সংসদ সদস্যদেরও প্রভাবিত করছে। তিনি স্বচ্ছতা ও সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানান।

তিনি জানান, পিটিআই দেশব্যাপী বৃহৎ গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ইসলামাবাদে কোনো কর্মসূচি আহ্বান করা হবে না, কারণ ইমরান খান জানেন “রাজধানীতে স্নাইপার মোতায়েন রয়েছে”।

সেইদিন আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আলিমা খানকে অনুমতি দেওয়া হয়নি, যদিও তাঁর দুই বোন ও আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছেন।

একপর্যায়ে আলিমা খান প্রশ্ন তোলেন পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খানের বক্তব্য নিয়ে, যিনি বারবার বলেছেন যে ঈদের আগে ইমরান খানের মুক্তি হবে।

তিনি বলেন, “যদি তাঁর কাছে ভালো খবর থাকে, তাহলে সেটা দলের কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত।”

আলিমা খানের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে বলেন,
“এটি একটি দুর্বল প্রচেষ্টা হলেও খতিয়ে দেখা যেতে পারে। তারা নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণে আলোচনা চায়।”

তিনি আরও বলেন, পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীরা দেশ-বিদেশে বসে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে, যা দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে। সাবেক শাসকদলের বয়ানে এখনো কোনো স্পষ্টতা নেই, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : ডন ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img