ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজ্জায় উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলি বাহিনী। এর আগে, দক্ষিণ রাফায় বন্দুকযুদ্ধে ইসরাইলের এক সেনা সদস্য আহত হলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘শক্তিশালী’ হামলার নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবারের (২৮ অক্টোবর) এই হামলা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে সহিংস হামলা।
এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেছে, তারা নিখোঁজ ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ হস্তান্তরের পরিকল্পনা স্থগিত করবে।
তারা এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের যেকোনো উসকানি লাশ অনুসন্ধান, খনন ও উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করবে এবং বাকি ১৩ জন পণবন্দীর লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হবে।
অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জোর দিয়ে বলেন, আক্রমণ ও উভয়পক্ষের লঙ্ঘনের দাবি সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল রয়েছে। তিনি ক্যাপিটল হিলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে সেখানে ছোটখাটো সংঘর্ষ হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি যে হামাস অথবা গাজ্জার অন্য কেউ একজন (ইসরাইলি) সৈন্যকে আক্রমণ করেছে। আমরা আশা করি ইসরাইল জবাব দেবে, কিন্তু আমি মনে করি তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের শান্তি বজায় থাকবে।’
গাজ্জার হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজ্জা শহরের সাবরা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে হামলায় চারজন এবং দক্ষিণ খান ইউনিসে আরো পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী গাজ্জায় ‘শক্তিশালী হামলা চালানোর’ জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ তার এক বিবৃতিতে রাফায় হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেন।
গাজ্জার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল কমপক্ষে ৯৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং মানবিক সরবরাহের প্রবাহ কঠোরভাবে সীমিত করে চলেছে।
সূত্র : আল জাজিরা









