আগামী মাস থেকে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে অন্তত ৪ কোটি দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এজন্য আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের (ইডিসিএল) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছি। এই টিকা থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে টিকা আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ১২ কোটি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। সরকার ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে হাতে আরও ৩ কোটি থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়ায় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না।