ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবাইদা শাহাদাত বরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, আল কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবাইদা ও গজ্জা প্রধান মুহাম্মাদ সিনওয়ার ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তথ্য নিশ্চিত করে হামাস।
এর আগে, গত মে মাসে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল যে তারা সাবেক হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মুহাম্মাদ সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। এর তিন মাস পর ইসরাইল আরও দাবি করে, তারা আবু উবাইদাকেও হত্যা করেছে।
আবু উবাইদার সর্বশেষ বক্তব্য আসে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে। ওই সময় ইসরাইল গাজ্জা সিটিতে নতুন এক সামরিক আগ্রাসনের প্রাথমিক ধাপ শুরু করে। আগ্রাসনের অংশ হিসেবে গাজ্জা সিটিকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে শত শত আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয় এবং বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।
গাজ্জায় হামাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন আবু উবাইদা। চলতি বছরের শুরুতে স্বল্পস্থায়ী এক যুদ্ধবিরতির সময় তিনি নিয়মিতভাবে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা এবং ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতেন। তবে ওই যুদ্ধবিরতি একতরফাভাবে ভেঙে দেয় ইসরাইল।
গত দুই বছরে ইসরাইর হাতে নিহত বলে নিশ্চিত হওয়া হামাস নেতাদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলেন মুহাম্মাদ সিনওয়ার ও আবু উবাইদা। এর আগে একই সময়ে হামাসের বহু শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা শহীদ হন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সামরিক কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ যিনি ১৯৯০-এর দশকে কাসসাম ব্রিগেডসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, যিনি ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন।
সূত্র: আল-জাজিরা











