পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির বন্যাকবলিত পাঞ্জাব সফরকালে সিয়ালকোট, শকরগড়, নারোয়াল ও করতারপুর সফরকালে করতারপুর দরবার সাহিবে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি করতারপুর গুরুদ্বারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব ধর্মীয় স্থাপনা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পাকিস্তান আইএসপিআর জানায়, সফরে সেনাপ্রধান উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম, বর্ষার পরবর্তী প্রস্তুতি এবং মাঠপর্যায়ের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ব্রিফিং নেন।
বৈঠকে পাক সেনাপ্রধান বলেন, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয় সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব, এবং পাকিস্তান এ দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি করবে না। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত সব উপাসনালয় “মূল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার” নিশ্চয়তা দেন।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, শিখদের পবিত্রতমস্থান করতারপুর কমপ্লেক্সে প্রায় ১০–১২ ফুট পানি ঢুকে পড়ে, নৌকায় আটকে পড়া দর্শনার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। তিন–চার দিনের মধ্যে এটি পুনরায় খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শিখ নেতা রমেশ সিংহ অরোড়া বলেন, “ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসা বিশ্বজুড়ে শিখ দের মাথা গর্বে উঁচু করেছে।”
তিনি বলেন, “সময়মতো ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য আমরা সেনাপ্রধানকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। বন্যার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি যা করেছেন, তার জন্য আমাদের কাছে ভাষা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “পাক সেনারা শেষ মানুষটির নিরাপদ স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন বিশ্ব জানতে পারবে যে সেনাপ্রধান নিজে করতারপুর সফর করেছেন, তখন শিখদের গৌরব আরও বেড়ে যাবে।”
শিখ নেতা আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে শিখখরা এসে বলেন, পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। পাকিস্তান আমাদের ধরণি, আমাদের প্রাণ।”
সূত্র: ডন, দুনিয়া নিউজ ও ডেইলি জঙ্গ









