পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী ‘ফ্রন্টিয়ার কর্পসের’ আঞ্চলিক সদর দপ্তরে শক্তিশালী গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় অবস্থিত ‘ফ্রন্টিয়ার কর্পসের’ আঞ্চলিক সদর দপ্তরে আত্মঘাতী ও শক্তিশালী গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যার পর বাহিনীর সদস্য ও হামলাকারীদের মাঝে প্রচন্ড গোলাগুলিও হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত ও ৩০ এর অধিক লোক আহত হয়েছেন।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত মুহাম্মদ কাকার বলেন, নিহতদের মধ্যে দু’জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা রয়েছেন এবং বাকিরা বেসামরিক নাগরিক।
প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো জানান যে, নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে কমপক্ষে চারজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিপথগামী চরমপন্থীরা ভারতের এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করে চলেছে। এর ব্যাখ্যায় তিনি আর কিছু বলেননি।
পাকিস্তানের এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য আসেনি। নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীও এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
অনলাইনে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি গাড়ি কোয়েটার জারঘুন রোড ধরে এগিয়ে গিয়ে বামে মোড় নিচ্ছে, যেখানে পাক আধাসামরিক বাহিনী ‘ফ্রন্টিয়ার কর্পসের’ আঞ্চলিক সদর দপ্তর অবস্থিত এবং গাড়িটি প্রচন্ডভাবে বিস্ফোরিত হচ্ছে।
বিস্ফোরণের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে কাঁচের টুকরো ঢুকে আহত হওয়া এনাম নামের এক ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে টেলিফোনে আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের অফিসটি আধাসামরিক ভবনের ঠিক পাশেই অবস্থিত। আমরা যখন আমাদের অফিসে কাজ করছিলাম তখন বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে আমাদের অফিসটি প্রচন্ডভাবে কেঁপে উঠে। তারপর সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। আমি গুলি চালানোর শব্দও শুনতে পাচ্ছিলাম, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিতে আসার আগ পর্যন্ত কিছুক্ষণ স্থায়ী হয়েছিলো।