Home Blog Page 1619

জলবায়ুর বিষয়ে ন্যায়বিচার এগিয়ে নিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত

0

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশসহ ১৭ সদস্যের কোর গ্রুপ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জলবায়ুর বিষয়ে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন।

কোর গ্রুপের পক্ষে রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্যে এই রেজুল্যুশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সব আইন ও স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়। কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজুলেশনে অনুরোধ করা হয়েছে।

আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরও সাহসী ও শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে-কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজুলেশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে পরামর্শমূলক মতামত দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

সূত্র : বাসস

কানাডার হাউস অফ কমন্সে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাস

0

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সম্মান জানিয়ে কানাডার হাউস অফ কমন্সে কানাডার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ৫.৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আইন-বিল এস -২১৪ পাস হয়েছে।

এসময় বিলটির উত্থাপনকারী কেন হার্ডি এমপি, বিলটির আরেকজন প্রবক্তা সিনেটর মবিনা এস জাফর, বিরোধী সিপিসি নেতা এবং কানাডাস্থ্ বাংলাদেশ হাই কমিশনার হাউস অফ কমন্সে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি গৃহীত হওয়ার জন্য মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান এবং মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলামের অবদান বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়।

বাংলাদেশ ছাড়া কানাডা বিশ্বের প্রথম দেশ যারা মহান একুশকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিল। এর জন্য সমগ্র বাঙালি জাতি তথা কানাডিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গর্বিত।

মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব সমাজের মাতৃভাষা প্রেমীদের উদ্যোগ এবং মহান অবদানকে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। তিনি বলেন, প্রায় এক দশক ধরে কানাডিয়ান সংসদ সদস্য ও সিনেটরদের সাথে বিলটি উত্থাপন করার জন্য কাজ করেছি। বিলটি পাস হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

উত্তর কোরিয়া থেকে খাদ্যের বিনিময়ে অস্ত্র কিনতে পারে রাশিয়া

0

উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে খাদ্যের বিনিময়ে অস্ত্র কিনতে পারে রাশিয়া। এমনটাই আশঙ্কা করছে আমেরিকা। তাদের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে, যা দেখে তারা বুঝতে পারছেন, পিয়ংইয়ংকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র নিতে চায় মস্কো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এমনই অভিযোগ সামনে এনেছে আমেরিকার প্রশাসন।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এতে বলা হয়, গত ১৩ মাস ধরে চলমান এ যুদ্ধে অস্ত্রের ঘাটতি মেটাতে রাশিয়া ‘দুর্বৃত্ত’ দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছে।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রস্তাবিত এ চুক্তির অংশ হিসেবে মস্কো পিয়ংইয়ং থেকে দুই ডজনেরও বেশি ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে।

জন কিরবি আরও বলেন, আমরা এটাও বুঝি যে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাইছে এবং যুদ্ধাস্ত্রের বিনিময়ে তাদের খাবার দিতে চাচ্ছে।

চালু হলো মেট্রোরেলের প্রথম পর্বের ৯টি স্টেশন

0

মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া আর উত্তরা স্টেশন চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের ৯টি স্টেশন খুলে দেয়া হলো।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় চালু হয় শেওড়াপাড়া আর উত্তরা মধ্য স্টেশন। এখন থেকে সব কটি স্টেশনেই থামবে ট্রেন।

এ ছাড়া ৫ এপ্রিল থেকে সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে জুলাই থেকে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল সেবা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মেট্রোরেল সেবা শুরুতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য চালু ছিল এবং যাত্রীরা কীভাবে গণপরিবহনের নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয় তার ওপর নির্ভর করে সময় বাড়ানো হয়েছিল।

করোনা: বিশ্বজুড়ে কমেছে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যু

0

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পৌনে তিন শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫৬ হাজারে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ১৩১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ১৬০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৬৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৯ জনে।

প্রবীণ আলেম মুফতী নুর আহমদ ইন্তেকাল করেছেন

0

দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর প্রধান মুফতী ও প্রবীণ মুহাহিদ্দস মুফতী নুর আহমদ ইন্তেকাল করেছেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ (৩১ মার্চ) রাতে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স ইয়য়েছিল ৯০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত মেট্রোরেলের আয় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা

0

উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেলের প্রথমার্ধে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে। এতে সংস্থাটির আয় হয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট ব্যয় সাত কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এই ব্যয়ে বিদ্যুৎ বিল, আনসার, স্কাউটসহ পুরো ব্যবস্থাপনা খরচ যুক্ত আছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের মেট্রোরেলের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পুরোপুরিভাবে মেট্রোরেল চালু না হলে এর সঠিক হিসাব বলা যাবে না। সাংবাদিকদের অনুরোধে আনুমানিক একটা হিসাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের মধ্যবর্তী সব স্টেশনে মেট্রোরেল চলবে বলে ঘোষণা দেন এম এ এন ছিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মেট্রোরেল চলাচলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।

তিনি বলেন, যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে দুই ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন দুটি স্টেশন চালু হলে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়বে ফলে তাদের বিষয়টিও চিন্তা করা হচ্ছে।

কোটা পূরণ না হওয়ায় আবারও বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়

0

হজযাত্রী নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশে সপ্তম দফায় আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে নিবন্ধনের সময়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোটা পূরণ না হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো হজ নিবন্ধন করার শেষ দিন। এদিন বিকেল পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৩৫ জন সরকারি কোটায় এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫১ জন বেসরকারি কোটায় নিবন্ধন করেছেন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এ হিসাবে নিবন্ধনে এখনো ৮ হাজার ৯১২ কোটা ফাঁকা আছে। এ অবস্থায় ফের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই বলছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক–নিবন্ধন ক্রমিক উন্মুক্ত করা হয়েছে। কোটা পূরণ হওয়ার সাথে সাথে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

ফিলিস্তিনের এক ইঞ্চি মাটি ইসরাইলকে দেওয়া হবে না : হামাস

0

আজ ফিলিস্তিন ভূমি দিবস। প্রতিবছরের ৩০ মার্চ এ দিবসটি পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। দিবসটি উপলক্ষে ফিলিস্তিনের এক ইঞ্চি মাটি ও ইসরাইলের কাছে ছেড়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

বুধবার (২৯ মার্চ) হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ এক বিবৃতিতে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি ভূমির মানচিত্র পরিবর্তন ও এটিকে ইহুদীকরণ করার সমস্ত ইসরাইলি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।”

তিনি আরো বলেন, দখলদার ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের সমগ্র ভূমি থেকে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

আব্দুল লতিফ বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ, ভূমি দখল ও বসতি সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা ইসরাইল গ্রহণ করেছে তার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূমির পরিচয় ও ঐতিহাসিক তথ্য পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ভূমি রক্ষার জন্য ব্যাপক প্রতিরোধের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করার ইসরাইলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গ্যালিলে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইসরাইলি পুলিশ ও সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। যার ফলে ৬ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়। এরপর থেকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফিলিস্তিন ‘ভূমি দিবস’ পালন করা হয়।

সূত্র: দি প্যালেস্টানিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার

আন্তর্জাতিক আদালতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পশ্চিমাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় আফগানিস্তান

0

গত ৪০ বছর ধরে আফগানিস্তানের মাটিতে যেসব দেশ যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রী খলিলুর রহমান হক্কানী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খলিল রহমান বলেন, “সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র, আমেরিকা এবং ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত যেসব দেশ আফগানিস্তানে আক্রমণের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে তারাই বর্তমান সংকটের জন্য দায়ী। এসব দেশের বিরুদ্ধে আফগানদের কথা বলা উচিৎ, যাতে তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির করা যায়।”

তিনি আরো বলেন, এখনো কিছু দেশ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সমস্যা তৈরি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

খলিলুর রহমান হক্কানী বলেন, “বর্তমান সরকারকে সমর্থন করার জন্য জনগণের মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য।”

উল্লেখ্য, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান আক্রমণের ফলে ১ লাখ ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ৪৭ হাজার ২৪৫ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক ও ৬৯ হাজার আফগান সামরিক ব্যক্তি রয়েছে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণের ফলে ১০ লাখ আফগান নাগরিক প্রান হারায়। এছাড়াও সোভিয়েত সৈন্যরা বহুসংখ্যক আফগান নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে। যুদ্ধ শেষে ৭০ লাখ আফগান গৃহহীন হয়ে পড়ে।

সূত্র: তোলো নিউজ ও বিবিসি