Home Blog Page 2425

ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে আরও দুটি শস্যবোঝাই জাহাজ

0

আরও দুটি খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ আগস্ট) জাহাজ দুটি খাদ্যশস্য বোঝাই করে ইউক্রেনের চরনোমরস্ক বন্দর ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ২২ জুলাই ইস্তানবুলে তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা ‘ব্লাক-সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ নামে পরিচিত চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের এ খাদ্যশস্য রপ্তানি করা হচ্ছে।

এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে আসা এবং ইউক্রেনের বন্দর ত্যাগ করা প্রতিটি জাহাজ উত্তর ইস্তানবুলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা করছে যাতে শস্য ছাড়া অন্য কিছু এসব জাহাজে পাচার করা না হয়।

কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদ করিডোরের মাধ্যমে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখায় আঙ্কারাকে ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২১ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

১০টা ২৯ মিনিটে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এরপর ১০টা ৩০ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় দলটির তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী মারা যান। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। আহতদের অনেকে এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ষড়যন্ত্র এখনও চলছে : প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টেও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল তারই ধারাবাহিকতা। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে।

কলঙ্কময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

একইসঙ্গে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

হামলাকারীরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া, গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংস, জজ মিয়া নাটকের বিষয় তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সত্য কখনও চাপা থাকেনি।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আশা করি, সকল আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় দ্রুত কার্যকর হবে। এই রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে এবং বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত হবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয় : নাছিম

0

বিএনপি সিরিজ বোমা হামলা ও জঙ্গিবাদের উত্থানের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এরা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের সংগঠন। এরা দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়।

শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি সিরিজ বোমা হামলা ও জঙ্গিবাদের উত্থানে জড়িত। এরাই একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা করেছে। এই খুনি ও সাম্প্রদায়িক দলকে কানাডার আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিল। এদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড। আদালতের রায়ে এটি প্রমাণিত এবং এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন রাজনৈতিকভাবে এতটাই দেউলিয়া হয়ে গেছে, তারা যাদের কোনো জনসমর্থন নেই এমন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিটিং করে। তাদের নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর চিন্তা করে। দেশের মানুষ এখন এদের চিনেছে। এদের কোনো জনসমর্থন নেই। দেশের মানুষ এখন আর বিএনপিকে সমর্থন করে না।

আওয়ামী লীগের প্রতি পুলিশের দুর্বলতা সব সময় দেখেছি : ভূমিমন্ত্রী

0

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, পুলিশকে সাধারণত তার দিক নির্দেশনায় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি পুলিশের এক ধরনের দুর্বলতা সব সময়ই দেখেছি।

শনিবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছি। আমি সংগ্রাম দেখেছি। আমাদের বাড়ি অনেক কিছুর সাক্ষী। ৭৫ পরবর্তী সমস্ত মিটিং, আলাপ আলোচনা আমাদের বাড়িতে হতো। তখন ঢাকা থেকে বড় নেতারাও আমার বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে চট্টগ্রামে আসতেন। আমার বাবাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।

পুলিশ আওয়ামী লীগের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের সবসময় আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। সব সময় শেল্টার দেওয়া বা সহযোগিতা করার প্রবণতা বেশি বলেই আমি দেখেছি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তখন পুলিশ প্রশাসন যদি কঠিন হতো কিংবা আরো মারমুখী হতো, আওয়ামী লীগের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যেত। সেই কারণে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। খারাপ সময়ে আপনারা প্রমাণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকৃতজ্ঞ নন উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পুলিশ অনেক পিছিয়ে ছিল। বিগত কোনো সরকার পুলিশকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীর খেয়াল রেখেছে। তাদের বেতন কাঠামোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ বাহিনীকে যে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে পুলিশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

কিছু কিছু কর্মকাণ্ডে পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের অনেক ভালো কাজ আছে, যেগুলো নিয়ে আমরা গর্ব করি। কিন্তু থানায় গেলে সাধারণ মানুষ এখনো হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষকে সঠিকভাবে সেবা দিতে হবে।

পুলিশের কাছ থেকে আমরা সব সময় সহযোগিতা পেয়েছি মন্তব্য করে এই নেতা বলেন, সামনের দিনগুলোতেও আপনাদের সহযোগিতা চাই। তবে আমি কোনো অন্যায় সহযোগিতা চাই না। জনগণকে একটু ভালো সেবা দিন। জনগণ যেন ভালোভাবে থাকতে পারে।

‘মোমেন আওয়ামী লীগ নেতা, আব্দুর রহমানের বক্তব্য সঠিক নয়’

0

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. একে আবদুল মোমেন দলের কেউ নন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট আওয়ামী লীগের দুটি ইউনিটে সদস্য এবং উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।

জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বর্তমানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।

এমন বক্তব্যের পর ড. মোমেনকে নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার পর ড. মোমেন সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন- আমি বলেছি, কিছু কিছু লোক সময় সময় অনেক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। আপনার দেশেও কিছু দুষ্ট লোক আছে, আমার দেশেও দুষ্ট লোক আছে। তারা তিলকে তাল করে। আপনার সরকারের একটা দায়িত্ব হবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব আছে যে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া। আমরা যদি এটা করি তাহলে সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা থাকবে না। আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হবো।

বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ড. মোমেন আরও বলেন- আমি বলেছি, শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন, তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের যে মশাল…। ভারতে গিয়ে আমি যেটা বলেছি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? উনি বললেন, শেখ হাসিনার সেই জিরো টলারেন্স টু টেরোরিজম- এটা ঘোষণার পরে, আর দ্বিতীয়ত, উনি বলেছেন, বাংলাদেশ ক্যাননট বি এ হাব ফর টেরোরিস্ট (বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের আস্তানা হতে পারে না)। এর পরে আসাম, মেঘালয়- সবগুলো জেলায় আর সন্ত্রাসী তৎপরতা নাই। সন্ত্রাসী তৎপরতা না থাকায় তাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উনি বললেন, আমার এখানে বহু হাসপাতাল, বহু ইনভেস্টমেন্ট আসছে। যেহেতু আমাদের এই আসামে কোনো সন্ত্রাসী নেই। এই জন্য শেখ হাসিনা, তার আহ্বানে এটা হয়েছে।

এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে- এমনকি খোদ আওয়ামী লীগে এ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।

এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমান শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক আলোচনা সভায় বলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ড. মোমেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন। মহানগরের আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্যের পাশাপাশি দলটির সিলেট জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হিসেবে ৩ নাম্বার নাম রয়েছে তার। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি পায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ড. মোমেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য। তিনি সিলেট আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জেলা আওয়ামী লীগের ৩য় উপদেষ্টা। জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটিতে তাকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দিন আহমদ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, সিলেট নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটিতে ৩ নং সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন। ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর ওই কমিটি ঘোষিত হয়। কমিটিতে ১ নং সদস্য রাখা হয় আবুল মাল আবদুল মুহিতকে (সদ্য প্রয়াত) ও ২ নং সদস্য রাখা হয় ড. এ কে আবদুল মোমেনকে। ভুল যদি না হয় তবে এই কমিটি এখনও বহাল রয়েছে। তখন মরহুম বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসাদউদ্দিন আহমদ ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে : শেখ ফজলে বারী মাসউদ

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, সিইসি’র বক্তব্য যেমন প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার রাতের ভোটের সরকার ঠিক তেমনিভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে এ সরকার জনগণের সরকার নয়। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে বার বার কেন নানান সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তা আজ জনগণের সামনে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। একথা স্পষ্ট এ সরকার জনবিরোধী সরকার। দেশ পরিচালনায় চরমভাবে ব্যর্থ একটি সরকার।

আজ (২০ আগস্ট) শনিবার রাজধানীর আস-সাঈদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুলে সত্য প্রকাশ করে থাকলে আওয়ামী সরকারের উচিৎ জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করা। আর যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করে থাকেন তবে স্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতার কারণে তার মন্ত্রীত্ব বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এমন তাঁবেদার ও দালাল মন্ত্রীদের শাস্তি না দিলে সরকারকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।

নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর উত্তর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন পরশ, দফতর সম্পাদক মুফতী নিজাম উদ্দিন, সহকারী দফতর সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক ডাক্তার মুজিবুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আলহাজ্ব আমীনুল হক তালুকদার, মহিলা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক মুফতী আব্দুল কুদ্দুস সহ নগর নেতৃবৃন্দ।

 

সব দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় ভারত: দোরাইস্বামী

0

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। একইভাবে ভারতও বাংলাদেশের সব দলের কাছে বন্ধুত্ব আশা করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে সরকারই থাক না কেন ভারতের পূর্বসূরীরা এ দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য এককভাবে কাজ করেছেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মাষ্টমী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব বাঙালী জন্মাষ্টমী উৎসবে অংশগ্রহণ করায় অভিভূত হয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে সব বিশ্বাসের মানুষ যে উৎসবই হোক না কেন তাতে যোগ দেয়, তার রঙ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্যগুলো আমাদের দুই দেশের সংযোগের মূল।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব একে অপরের প্রতি সন্মান এবং অভিন্ন স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে। দুই পক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণের জন্য যতগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দুই দেশের অংশীদারত্বকে আরও গভীর করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত একা কোনো উন্নতি করতে পারবে না। আন্ত:সংযুক্ত উপ-অঞ্চল, নিরাপদ পরিবেশ, স্থীতিশীলতা এবং শান্তি বজায় রাখতে আমাদের একে অপরের সহযোগিতা প্রয়োজন। সব দেশের সমান সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যারা দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়, তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : চরমোনাই পীর

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করীম বলেছেন, আসুন সকলে মিলেমিশে দেশকে বাঁচাই। যারা দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়, তাদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকি।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি আওয়ামী লীগের কেউ নন, যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে দল? পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী। এর দায় বর্তমান সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারবে না।

চরমোনাই পীর বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এদেশ আওয়ামী লীগের একার নয়, এদেশ ১৭ কোটি জনতার। কাজেই দেশকে আওয়ামী লীগের কাছে বন্ধক দেয়া হয়নি। অবিলম্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। দায়ছাড়া বক্তব্য দিয়ে সরকার পার পাবে না।

আওয়ামী লীগ নয়, বাইরের দেশে ধরনা দেয় বিএনপি : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

0

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও মূল উৎস বাংলাদেশ। বাইরের দেশে ধরনা দেয় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। যারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান তারা বিভিন্ন সময় আমেরিকার কাছে ধরনা দিয়েছেন, অন্যান্য দেশে ধরনা দিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে ধরনা দিয়েছেন। সাহায্য চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ কখনো ধরনা দেয় না।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জয় বাংলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাওয়ার ক্ষমতা বা দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের শক্তি ও ক্ষমতা দেশের মানুষ।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ টুঙ্গিপাড়া ও পিরোজপুর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।