Home Blog Page 4540

যাত্রী স্বল্পতায় আজ অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছে ‘বিমান’

0

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার (২ জুন) অভ্যন্তরীণ তিন রুটে মোট ৬টি ফ্লাইট ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। কিন্তু যাত্রী স্বল্পতা থাকায় সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার।

তাহেরা খন্দকার বলেন, আজ (২ জুন) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে বিমানের ৬টি ফ্লাইট ছিল। কিন্তু যাত্রী না থাকায় আমরা ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছি। তবে বুধবার (৩ জুন) বিমানের নির্ধারিত যে ৪টি ফ্লাইট রয়েছে সেগুলো যথারীতি চলবে।

করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গত ২৪ মার্চ চীন ছাড়া সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তীরণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ২ মাস ৭ দিন গত ১ জুন অভ্যন্তরীণ তিন রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। শুরুর একদিনের মাথায় যাত্রী সংকটে পড়লো রাষ্ট্রয়াত্ত এই উড়োজাহাজ সংস্থা।

প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে দু’টি, সিলেটে দু’টি ও সৈয়দপুরে তিনটি ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বাংলাদেশে ২৯ রোহিঙ্গার করোনা শনাক্ত, লকডাউনে ১৬ হাজার

0

বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় কন্দ্রে ২৯ জন রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (২ জুন) প্রথমবারের মতো একজন রোহিঙ্গার মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পগুলোতে।

একইসাথে তাদের সংর্স্পশে আসা ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ছয়শ’ পরিবারের ১৬ হাজার মানুষ ক্যাম্পে লকডাউনে রয়েছে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পে প্রথমবারের মতো করোনায় একজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দাফন করা হয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং (পূর্ব) ক্যাম্পের সিআইসি (ইনচার্জ) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান খান জানান, তার ক্যাম্পের সি ব্লকের এক রোহিঙ্গা মারা গেছে। তার সংর্স্পশে আসা ও পরিবারের লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে : নেজামে ইসলাম পার্টি

0

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

আজ (২ জুন) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পার্টির কেন্দ্রীয় আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, দেশের এই চরম সংকট উত্তরণে জনগণের মৌলিক চাহিদা পুরণে সরকার সম্পুর্ন ব্যার্থ। নাগরিক সুবিধা প্রায় শুন্যের কোঠায়। উপরন্তু জনসাধারণের জীবন যাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দিয়ে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

তারা বলেন, গণপরিবহনের ভাড়া ষাট পার্সেন্ট বৃদ্ধি, ওয়াসার বিল পঁচিশ পার্সেন্ট বৃদ্ধিসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর রক্তচোষা বাণিজ্যিক আগ্রাসন জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। সরকারের এই প্রহসন ও শোষণনীতি জনগণ বেশিদিন সহ্য করবে না।

নেতৃদ্বয় জনগণকে এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করার আহবান জানান। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জনগণের উপর সকল বর্ধিত ব্যায় অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

নেতৃদ্বয় সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও ইস্তেগফার বেশি বেশি করার অনুরোধ জানান।

দেশে একদিনে রেকর্ড ২৯১১ জনের করোনা শনাক্ত, আরও ৩৭ জনের মৃত্যু

0

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড ২৯১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে।

এসময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২৪০৮ টি।

আজ মঙ্গলবার এক অনলাইন ব্রিফিং-এর মাধ্যমে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এছাড়া, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭০৯ জনের।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুখ বন্ধ রাখতে বললেন পুলিশ প্রধান

0

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন হৌস্টন পুলিশের প্রধান আর্ট আচেভেদো।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করায় প্রেসিডেন্টকে চুপ থাকতে বললেন ওই পুলিশ প্রধান। খবর সিএনএন।

আর্ট আচেভোদো নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যদি আপনি গঠনমূলক চিন্তা করতে না পারেন, তবে আপনার মুখ বন্ধ রাখুন।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছেই। বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর। এদিকে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তিনি গভর্নরদেরকে দুর্বল বলে উল্লেখ করে বলেছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এমন কি বেশ কয়েকজন গভর্নরের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এক ভিডিও কনফারেন্সে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গভর্নরদেরকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গভর্নরদের চাপ প্রয়োগ করছেন।

গত ২৫ মে পুলিশের নির্যাতনের পর মারা যান জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ। তাকে পুলিশের নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও প্রকাশ হতেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে যুক্তরাষ্ট্রে। এক শহর থেকে আরেক শহরে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আগুন।

জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে : ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন

0

জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে। এক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের নির্যাতনের পর তার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। খবর বিবিসি।

গত ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েডকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়। তাকে পুলিশের নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও প্রকাশ হতেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে যুক্তরাষ্ট্রে।

ঘাড়ে ও পিঠে ক্রমাগত হাঁটু দিয়ে চাপ দিয়ে রাখার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। মিনিয়াপলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় চেপে ধরেন। আট মিনিটের বেশি সময় ধরে এভাবে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। ময়নাতদন্তের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এমনটাই জানিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প।

তিনি জানান, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফ্লয়েডের। একই সঙ্গে তার ওপর পুলিশ কর্মকর্তা চেপে বসে থাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। বার বার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বলে কাতর কণ্ঠে জানিয়েছিলেন ফ্লয়েড। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার মন গলেনি তাতে।

পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জর্জের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।

বেন ক্রাম্প জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা পাওয়া যাচ্ছিল না। ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্ট নিয়ে তাদের সন্দেহ ছিল। সে কারণে জর্জের পরিবার আলাদা করে বেসরকারিভাবে ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।

অগ্নিগর্ভ আমেরিকায় রাবার বুলেটে চোখ হারালেন সাংবাদিক

0

অগ্নিগর্ভ আমেরিকায় বিক্ষোভের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে চোখ হারালেন এক সাংবাদিক।

দুই সন্তানের মা লিন্ডা টিরাদো নামে ৩৭ বয়সী ওই সাংবাদিকের দাবি, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে। সে সময় রাবার বুলেট তার চোখে আঘাত করেছে। ফলে চিরদিনের মতোই তার ওই চোখ দৃষ্টি হারালো বলে জানিয়েছেন লিন্ডা। খবর ডেইলি মেইল।

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার বিক্ষোভ কভার করতে শুক্রবার ন্যাশভিল থেকে মিনিয়াপলিসে যান ওই চিত্র সাংবাদিক। বিক্ষোভের নানা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার সময় হঠাৎ করেই একটি রাবার বুলেট ছিটকে এসে তার চোখে লাগে।

লিন্ডা বলেন, ওই মুহূর্তে মনে হয়েছিল আমার মুখ বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করে তার চোখ থেকে গুলি বের করা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তিনি ওই চোখে ভবিষ্যতে আর দেখতে পাবেন না।

অস্ত্রোপচারের পর কমপক্ষে দু’সপ্তাহ আগে তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। রোববার সামাজিক মাধ্যমে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।

আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় গত সপ্তাহ থেকেই উত্তাল আমেরিকা। মিনিয়াপলিস থেকে নিউইয়র্ক হয়ে লস অ্যাঞ্জেলস, সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। টানা চার রাত প্রবল উত্তজেনার পর মিনেসোটায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলায় উত্তেজনাপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে আরও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কয়েকটি শহরে ইতোমধ্যেই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পারিবারিক উপার্জন কমেছে ৭৪ শতাংশ, ১৪ লাখের বেশি প্রবাসী শ্রমিক বেকার

0

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন একটি সংকটময় মুহুর্তে উপনীত হয়েছে। এই মহামাারির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষকে অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত করেছে। এতে দেশের প্রায় ১০ কোটি ২২ লাখ (১০০.২২ মিলিয়ন) মানুষ অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত দুর্বলতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৭৪ শতাংশ পরিবারের উপার্জন কমে গেছে। আর ১৪ লাখেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন বা ফিরে আসছেন।

ব্র্যাক, ডেটা সেন্স এবং উন্নয়ন সমন্বয়-এর এক যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার “কোভিড-১৯ এবং জাতীয় বাজেট ২০২০-২০২১: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কৌশল পুনর্বিবেচনা” শীর্ষক এই সমীক্ষার ফলাফল এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন আইসোশ্যাল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অনন্য রায়হান।

প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

সমীক্ষাটিতে ব্র্যাক, বিআইজিডি, পিপিআরসি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত গবেষণা-সমীক্ষার পর্যালোচনার পাশাপাশি একটি জরিপও পরিচালনা করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত ফলাফল সমন্বয় করে মূল প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। জরিপটি দেশের ২৫ জেলায় দৈবচয়নে নির্বাচিত ৯৬২ জন উত্তরদাতার অংশগ্রহণে মে মাসের ১৫-১৮ তারিখের মধ্যে সম্পাদন করা হয়।

গবেষণা ফলাফলে দেখানো হয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৩৬ লাখ (৫৩.৬৪ মিলিয়ন) মানুষ চরম দরিদ্র (দৈনিক আয় ১.৯ ডলার)। এদের মধ্যে নতুন করে চরম দরিদ্র হয়ে পড়া পরিবারগুলোও রয়েছে। উচ্চ অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে থাকা চরম দরিদ্রের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৩ লাখ (৪৭.৩৩ মিলিয়ন) এবং উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন ৩ কোটি ৬৩ লাখ (৩৬.৩৩ মিলিয়ন) মানুষ।

জরিপ বলছে, কোভিড-১৯-এর কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর বহুবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যেসব পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৩৪.৮% পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গড় পারিবারিক উপার্জন প্রায় ৭৪% কমে গেছে। দিনমজুরসহ অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উৎপাদন খাতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। উদাহরণ হিসেবে, তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি এপ্রিল ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ সালের এপ্রিলে ৮৪% হ্রাস পেয়েছে। এ বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে ৭ই এপ্রিলের মধ্যে ১,১১৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষিত হয়েছে এবং চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক (২.১৯ মিলিয়ন) শ্রমিক।

সমীক্ষায় আরো জানানো হয়, নিম্ন আয়ের মানুষের এই রোগের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এসব পরিবারের উপার্জনশীল সদস্যের মৃত্যু হলে নারী ও শিশুদের মধ্যে অনাহার এবং অপুষ্টির শিকার হওয়ার উচ্চ আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। দেশব্যাপী সমন্বয়ের অভাবের কারণে দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের কাছে সরকারের দেয়া খাদ্য এবং নগদ সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও গবেষণা-সমীক্ষা থেকে প্রতীয়মান হয়।

কোভিড-১৯ নতুন অর্থনৈতিক বিভাজন, সামাজিক বিভাজন এবং ডিজিটাল বিভাজন সৃষ্টি করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ৩৪% পরিবারের স্মার্টফোন রয়েছে এবং ৫৪% পরিবারের টিভি দেখার সুযোগ রয়েছে। অতএব এর নিচের অংশে বসবাসকারী শিশুরা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে।

১৪ লাখেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক চাকরি হারানোর কারণে ফিরে এসেছেন বা দেশে ফিরে আসছেন। বিদেশে থাকা অভিবাসীরাও এখন ঋণচক্র ও সামাজিক কলঙ্কের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছেন।

কোভিড-১৯ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলোকে আরো বেশি অসুবিধার মুখে ঠেলে দিয়েছে। ড. আতিউর রহমান বলেন, মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে, তারপর স্বপ্নপূরণ আর সুখে থাকার চিন্তা। তাই এবারের বাজেট হোক বেঁচে থাকার বা টিকে থাকার বাজেট। কোভিড-১৯ এর এই মহামারিতে সবচেয়ে হুমকির মুখে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। মধ্যবিত্তরাই চিকিতসাসেবা পাবেন কি না সেই আতঙ্কে আছেন, দরিদ্রদের অবস্থা তো আরো করুণ। স্বাস্থ্যখাত ঠিক না করলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না, আমাদের অর্থনীতিও আগাবে না।

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে বটম অফ দি পিরামিডে শুধু শ্রমিকেরা নয়, অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাও আছেন। প্রণোদনা দেয়ার পরেও শ্রমিকদের ৬০% বেতন দেয়া হয়েছে। তাদের বাসা ভাড়া ও অন্যান্য খরচ তো কমেনি। তাই এই মুহূর্তে বেঁচে থাকার জন্য যাদের প্রয়োজন বেশি তাদের প্রণোদনা বা ভর্তুকির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এখন নতুন তালিকা তৈরির সময়ক্ষেপনের দিকে না গিয়ে আগের তালিকা ধরেই কাজ করা শ্রেয়। ৭৮ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে যে ১০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে, তা এখনই ৫০০ টাকায় উন্নীত করা দরকার। এতে করে সঠিক জায়গায় সহায়তা পৌঁছানো অনেকটা নিশ্চিত হবে। শুধু বরাদ্দ করলেই হয় না, সবার কথা, সুবিধা-অসুবিধা শুনে দক্ষতাপূর্ণ, কার্যকর ও কৌশলী বাজেট করতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে হাঁটতে হবে। এই গবেষণার আলোকে জাতীয় বাজেট ২০২০-২০২১-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়।

সীমান্ত ঘেঁসে উড়ছে চীনা যুদ্ধবিমান, উদ্বিগ্ন ভারত

0

ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। লাদাখে সীমান্তের কাছে চীনের সেনাবাহিনী ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত আছে। পশ্চিম লাদাখ সীমান্তের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে ঘোরাফেরা করছে চীনের যুদ্ধবিমান।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম লাদাখের কাছাকাছি চীনের বিমান বাহিনীর এয়ার বেসে হামলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি যুদ্ধবিমান। হোটান ও গারগুনসা নামে দুটি এয়ার বেসে তৈরি রাখা হয়েছে ফাইটার জেটগুলো।

একটি সূত্র জানাচ্ছে যে, সেখানে জে-৭ ও জে-১১ ফাইটার এয়ারক্রাফট রয়েছে যেগুলো ভারতীয় সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। যদিও এই দূরত্বকে খুব বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে না ,তবুও ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। যেকোনো মুহূর্তে সীমান্তের একেবারে ঘাড়ের কাছে চলে আসতে পারে চীনের ওইসব যুদ্ধবিমান।

মে মাসের শুরুতেই পশ্চিম লাদাখের কাছে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারত। সেই সময় ভারতের যুদ্ধবিমান ও চীনের হেলিকপ্টার আকাশে একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছিল।

লাদাখের কাছে হোটান নামে ওই এয়ারবেসে চীনের সঙ্গে যৌথ মহড়া চালায় পাকিস্তান। তাই ওই এয়ারবেসের ওপর প্রায় এক বছর ধরে ভারতীয় বিমান সেনাদের বিশেষ নজর রয়েছে।

গত ২৫ দিন ধরে লাদাখে মুখোমুখি ভারত-চীন সেনা বাহিনী। বাড়ছে তিক্ততা। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখের দুই প্রান্তে ভারী যুদ্ধ সামগ্রী, অস্ত্র, আর্টিলারি গান এবং কমব্যাট ভেহিকল মজুত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এমন খবরই জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

এদিকে, দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে। এমন অবস্থায় সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়ছে। বিতর্কিত এই অঞ্চলে আকাশ পথে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বিমনাবাহিনী।

বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তের ল্যাব

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারস) এ স্থাপিত করোনা শনাক্তের ল্যাব বন্ধ হয়েছে।

সোমবার থেকে এটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। সাধারণ ছুটি তুলে নিয়ে গতকাল রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও নিজস্ব অফিসিয়াল কার্যক্রম সীমিতভাবে শুরু করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তের ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আর তাই করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর করোনা ভাইরাসের কোন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারস) ভবনে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য তৈরি ল্যাবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তখন থেকে এ ল্যাবে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হতো।

উপাচার্য বলেন, আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আর্থিক কারণে নয়, আমাদের আগে থেকেই কথা ছিল ৩১ মে পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাব। গত ২৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর তাছাড়া আমাদের এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল নয়। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সময় দিতে হবে। ল্যাবের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো এখন সেখানে গবেষণার কাজে প্রয়োজন হচ্ছে। সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে আবার সেখানে স্থাপন করতে হবে। মূলত এজন্য করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজটা আর হচ্ছে না।’

তবে এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবসহ মৌলিক চারটি কারণে ল্যাব বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটি।

চিঠিতে জানানো মৌলিক কারণগুলো হচ্ছে:

১. করোনা পরীক্ষার ল্যাবে কাজ করে তারা স্পেশালিস্ট না। তারা তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তাদের কোন মেডিকেল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। যে কারণে তারাও কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন।

২. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি বিশ^বিদ্যালয়। প্রতিমাসে ১৫-২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তাই এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভর্তুকি দিয়ে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

৩. স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা কাজ করছে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, গবেষণা করে। সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খোলা হওয়ায় তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন। আবার যারা কাজ করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা, লজিস্টিক সাপোর্ট পাচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়নি।এমনকি স্বাস্থ্য প্যাকেজের অধীনেও রাখা হয়নি।

৪. লজিস্টিক সাপোর্ট, বিভিন্ন অনুষদ এবং বিভাগের ইকুয়েপমেন্ট, যন্ত্রপাতি নিয়ে উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এটি স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের যন্ত্রপাতিগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কারণ, তাদের গবেষণার বিষয় রয়েছে। তাদের বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয় রয়েছে।