Home Blog Page 4544

করোনা: বাংলাদেশকে ৭৩২ মিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ

0

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদ মোট ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে।

জরুরি আমদানি-রফতানির ভারসাম্য এবং অর্থবছরের ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ র‌্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি এবং র‌্যাপিড ফিন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্ট (আরএফআই) এর অধীনে বাংলাদেশকে এই জরুরি সহায়তা অনুমোদন করেছে। খবর বাসসের।

আইএমএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, র‌্যাপিড ক্রেডিড ফ্যাসিলিটি’র (আরসিএফ) অধীনে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) হিসোবে ১৭৭.৭৭ মিলিয়ন (প্রায় ২৪৪ মিলিয়ন অথবা কোটার ১৬.৬৭ শতাংশ) এবং আরএফআই অধীনে পারচেস অব এসডিআর হিসাবে ৩৫৫.৫৩ মিলিয়ন ( যা প্রায় ৪৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অথবা কোটার ৩৩.৩৩ শতাংশ) অনুমোদিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় এই অর্থ স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও সামষ্ট্রিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা, জরুরি ব্যালেন্স -অব পেমেন্টের চাহিদা এবং অর্থবছরের ঘাটতি মেটাতে সহায়ক হবে।

মহামারীর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সম্ভাবনা ধরে রাখতে আইএমএফ কতৃপক্ষ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারকে দ্রুত খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে নগদ সহায়তা, রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ এবং ব্যবসায়ী ও কৃষকদের চলতি মূলধন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

আইএমএফ ঘনিষ্ঠভাবে বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। প্রয়োজনে আরো পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। জরুরি অর্থায়ন যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।

করোনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, এবার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন মা ও বাবা

0

চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছেলের মৃত্যুর কয়েকদিন পর উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন তার মা ও বাবা।

গত ১৯ মে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় ঢাকা ফেরত মানিক সরকারের।

২৮ মে মৃত্যু হয় তার বাবা মজিবুর রহমান বাচ্চু সরকারের (৮০) এবং শনিবার (৩০ মে) মারা গেলেন মা ফজিলুতুন্নেছা (৬৫)।

মৃত মজিবুর রহমান বাচ্চু সরকার কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তাদের বাড়ি কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরী গ্রামে।

কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন জানান, মানিকের মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। করোনা সংক্রমণ-রোধে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর মানিক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামে এসে দু’মাস বাড়িতে থাকেন। এরপর অফিস থেকে ফোন দেওয়ার পর তিনি ঢাকা যান। পরিবারের অন্যরা বাড়িতেই ছিলেন। ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে নিয়ে আসার দু’দিন পর তার মৃত্যু হয়। ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে তার বাবা মজিবুর রহমান মারা যান। আর ১০ দিনের মাথায় শনিবার (৩০ মে) মারা গেলেন তার মা।

সাবেক এমপি জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদের ইন্তেকাল

0

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা জামায়াতের (পশ্চিম) নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

শনিবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর মেডিক্যাল কলেজ এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

মুহাদ্দিস আবু সাঈদ সারাজীবন জামায়াতের রাজনীতির পাশাপাশি চৌগাছা উপজেলার পদ্মবিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সাবেক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিজানুর রহমান খান বলেন, দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোরের একটি ক্লিনিকে নেন। পরে চিকিৎসকরা জানান, স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান। তিনি করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, এবার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন মা ও বাবা

0

চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছেলের মৃত্যুর কয়েকদিন পর উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন তার মা ও বাবা।

গত ১৯ মে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় ঢাকা ফেরত মানিক সরকারের।

২৮ মে মৃত্যু হয় তার বাবা মজিবুর রহমান বাচ্চু সরকারের (৮০) এবং শনিবার (৩০ মে) মারা গেলেন মা ফজিলুতুন্নেছা (৬৫)।

মৃত মজিবুর রহমান বাচ্চু সরকার কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তাদের বাড়ি কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরী গ্রামে।

কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন জানান, মানিকের মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। করোনা সংক্রমণ-রোধে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর মানিক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামে এসে দু’মাস বাড়িতে থাকেন। এরপর অফিস থেকে ফোন দেওয়ার পর তিনি ঢাকা যান। পরিবারের অন্যরা বাড়িতেই ছিলেন। ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে নিয়ে আসার দু’দিন পর তার মৃত্যু হয়। ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে তার বাবা মজিবুর রহমান মারা যান। আর ১০ দিনের মাথায় শনিবার (৩০ মে) মারা গেলেন তার মা।

বাইতুল মুকাদ্দাসের খতিব শাইখ ইকরামাকে গ্রেফতার করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল

0

ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেমে অবস্থিত বাইতুল মুকাদ্দাসের গ্র্যান্ড খতিব ও ইমাম শায়খ ইকরামা সাঈদ সাবরিকে গ্রেফতার করেছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনী।

শুক্রবার (২৯ মে) জেরুজালেমে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার একটি ইউনিট শাইখ ইকরামার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মসজিদে আকসার জুমআ’র খুতবায় দখলদারিত্বের বিষয়ে কথা বলায় শাইখ ইকরামা সাবরিকে এক সপ্তাহের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শাইখ ইকরামাকে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাঈল হানিয়া বলেছেন, খতিব ইকরামা সাবরিকে আটকের মাধ্যমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ ও ইবাদতের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। মুসলমানদের এ অধিকারের উপর আঘাত হানা হয়েছে।

খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজের কবর ধ্বংস করলো শিয়া সমর্থিত আসাদ বাহিনী

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আরিফ মুসতাহসান


সিরিয়ায় শিয়া সমর্থিত ক্ষমতাসীন আসাদ বাহিনীর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো উমাইয়া খলিফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ.) এর কবর।

বুধবার (২৭ মে) সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত আল নোমান অঞ্চলের দার আল শারকি গ্রামের একটি ঘরে খলিফা, তাঁর স্ত্রী ও কিছু কর্মচারীদের কবরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে আসাদ বাহিনী।
তবে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ উমাইয়া বংশের একজন খলিফা। খুলাফায়ে রাশেদীনের চার খলিফার পর উমর ইবনে আব্দুল আজিজকে পঞ্চম ধার্মিক খলিফা হিসেবে মানা হয়। তিনি মায়ের দিক থেকে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. এর বংশধর। তিনার মা লাইলা বিনতে আসেম বিন উমর রাযি.।

হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক এবং জুলুমের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি মুসলমানদের শিক্ষার প্রসারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। ইলমে শারি’য়াহ ও হাদীস সংকলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর শাসনামলে মুসলমানরা এক সোনালী যুগের সাক্ষী হতে পেরেছিল।

উল্লেখ্য, শিয়া সমর্থিত আসাদ বাহিনী প্রায়শই সুন্নী অঞ্চল গুলোতে হামলা চালিয়ে সেখানকার সবকিছু ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। ইতিপূর্বে তারা বিভিন্ন কবর ধ্বংস করে তাদের মাথার খুলি নিয়ে খেলার ধৃষ্টতা পর্যন্ত দেখিয়েছে।

তালেবানের হামলায় ১৪ আফগানী সেনা নিহত

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আবিদ ইলাহী


পূর্ব আফগানিস্তানে তালেবানের হামলায় ১৪ জন আফগানী সেনা নিহত হয়েছে। তবে আফগান কর্মকর্তারা বলছেন তারা তালেবানদের সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো আলোচনা করে যাচ্ছেন।

পাকিয়ালিয়া প্রদেশে তালেবানরা তাদের করা হামলার দায় স্বীকার করে এবং এই হামলাটিকে একটি প্রতিরক্ষামূলক হামলা বলে অভিহিত করে। তবে এই হামলার ব্যাপারে কোনোধরনের বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা তারা করেনি।

দেশে এক দিনে করোনায় মৃত্যুবরণ করলেন ২৮ জন, আক্রান্ত আরও ১৭৬৪

0

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৬৪ আরও জন।

এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৪৪৬০৮ জন।

এসময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৯৮৭টি।

আজ শনিবার এক অনলাইন ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ২৮ জন।

এনিয়ে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৬১০ জন।

এসময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৬০ জন।

গত ৩ মাসে করোনার চেয়ে ক্যান্সারে মানুষ মারা গেছে চার গুণ বেশি

0

লকডাউনের জেরে দেশে দেশে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ প্রায় স্তব্ধ। ব্যবসা বাণিজ্য নেই, উৎপাদন ক্ষেত্র ধুঁকছে, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এখনো আবিষ্কার হয়নি এই মহামারির কোনও প্রতিষেধক। এই অবস্থায় মানুষের মনে করোনা নয়, আতঙ্কই এখন বড় ভাইরাস হিসেবে ধরা দিয়েছে। করোনা ভাইরাস যতটা না বিপজ্জনক তার চেয়েও বেশি ভয়াল রূপ ধারণ করেছে এই মহামারি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক।

হিসাব দেখলে চোখ কপালে উঠবে। প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মৃত্যু হচ্ছে অন্যান্য রোগ ও দুর্ঘটনায়। বিশ্বব্যাপী করোনার বাইরে মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান যা বলছে- তাতে এই মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যাটা একেবারেই হালকা মনে হতে পারে। চলতি বছরে গত তিন মাসে মানুষের মৃত্যুর জরিপ এমনটাই বলছে।

দেখা যাচ্ছে, গত তিন মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৭ জনের। অথচ এক ক্যান্সারেই এই তিন মাসে বিশ্বে মানুষের মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ ৬৭ হাজারেরও বেশি। একই সময়ে সাধারণ ঠাণ্ডা ও সর্দি-কাশিতে মৃত্যু ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জনের, ম্যালেরিয়ায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৪ জনের, আত্মহত্যা করেছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৬ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৯ জনের, এইচআইভিতে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৫০ জনের, মদপানে প্রাণ গেছে সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি এবং ধূমপানে ৮ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মৃত্যু।

এই হিসাবে করোনায় মৃত্যু নেহায়েতই কম। অথচ বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক এত ভয়াবহ আকারে পৌঁছেছে যে, পৃথিবীতে স্তব্ধতা বিরাজ করছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেওয়া তথ্য মতে বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬০ লাখ ২৬ হাজারের কিছু বেশি, যা থেকে ২০ লাখ মানুষই সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মানুষের। করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার এই হার বিশ্বব্যাপী কান্সারের মৃত্যুর তুলনায় অনেক কম।

তাই করোনা মহামারিতে দেশে দেশে চলমান লকডাউনে স্থবির বিশ্বকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনার চেয়ে বড় ভাইরাস হিসেবে মানুষের মনে বাসা বেঁধেছে এই মহামারি আতঙ্ক। কিন্তু প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই করোনা ভয়কে জয় করা সম্ভব। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদৎবার্ষিকী আজ

0

আজ ৩০ মে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদৎবার্ষিকী।

১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এই স্বপ্নদ্রষ্টা।

শোকাবহ এই দিনটি স্মরণে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বলা হয় আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁঁকি নিয়ে। ১৯৭১ সালে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছেন তিনি। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার এ অতুলনীয় ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’। তার শাহাদাতের পর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার জনগণের ভোটে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান।

জিয়াউর রহমান আমৃত্যু যুদ্ধ করেছেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শ্রেণিবৈষম্য ও নিরক্ষতার বিরুদ্ধে। জাতিকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশকে তিনি গণতন্ত্রের আস্বাদ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তীতে তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তার ডাক নাম ছিল ‘কমল’। বাবা মনসুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে কমল ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় তার বাল্যপাঠ শুরু হয় সেখানকার হেয়ার স্কুলে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সাথে করাচি চলে যান তিনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কমিশন পান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি কাবুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ইন্সপেক্টর হন এবং একই বছর শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে।

বিএনপির ভিন্নধর্মী কর্মসূচি :

শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্য বছরের মতো এবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকছে না। এবার ভিন্নধর্মী কর্মসূচি পালন করবে দলটি। গত ১৮ মে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সভায় নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি গ্রহণ করেন। সভায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এরমধ্যে থাকবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বস্ত্রবিতরণ ও আর্থিক সহযোগিতা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে- আজ ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। বেলা ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত। বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। এরপর ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’, ‘গণতন্ত্র, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বিএনপি’, ‘শহীদ জিয়া, উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতি,’ ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক সংস্কার,’ ‘শহীদ জিয়া ও কৃষি বিপ্লব’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু কল্যাণ,’ ‘কর্মসংস্থান ও শ্রমিক কল্যাণ’, ‘শিক্ষা ও গণশিক্ষা’, “পল্লী বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ উন্নয়ন’, ‘শহীদ জিয়ার বিদেশ নীতি’ এবং ‘শহীদ জিয়ার যুব উন্নয়ন’। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সারা দেশে সব ইউনিট কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে ভোর ৬টায় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

এ দিকে আজ শনিবার দুপুর ১টায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এতে থাকবে ভোরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনায় যথাসম্ভব শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোয়া মাহফিল, গরিব ও দুস্থদের মঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ। কালো ব্যাজ ধারণ।