Home Blog Page 4617

ইনসাফ : ইসলামী ঘরানার চেতনা গড়ার প্রতিষ্ঠান

0

সালমান সাইফ | শিক্ষার্থী : ইনসাফ সাংবাদিকতা কোর্স ও সাংবাদিক : যুবকণ্ঠ


ইনসাফ পত্রিকা! শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি ইসলামী ঘরানার চেতনা গড়ার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে পত্রিকাটি অর্ধযুগ পেরিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এজন্য তাদের অসংখ্য শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো।
ভাবা যায়? এদেশে যখন সব জায়গায় তথাকথিত হলুদ মিডিয়ার বিচরণ, ঠিক তখন তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে একেবারে নাকের ডগায় বসে ৬ বছর পার করে ৭ম বছরে চলছে তাঁদের যাত্রা!

ইনসাফ এদেশে প্রথম ইসলামী ঘরানার কোন মিডিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ৬ বছর আগে! ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার স্যারের অতুলনীয় পরিশ্রমের ঘাম আর মেধায় ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম আজ লাখো পাঠকের পত্রিকা।ইনসাফের পরপরই এদেশে আরো কয়েকটি ইসলামী মিডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারাও সুন্দর কাজ করে যাচ্ছে।

একটা সময় দেশে যখন হলুদ মিডিয়া প্রতিনিয়ত ইসলামকে ব্যঙ্গ-কটাক্ষ্য করে সংবাদ প্রকাশ করতো, তখন আমাদের মাঠে ময়দানে আন্দোলন করা ছাড়া কোন উপায় ছিলোনা। যেটা কখনো কখনো সুফলের পাশাপাশি কুফলও বয়ে আনতো।

তখন উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বা তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো এমন কোন মিডিয়া ছিলোনা যে তাদের করা সংবাদের জবাব আরেকটা সংবাদের মাধ্যমেই দিবে। কিন্তু ইনসাফ আসার পর তাদের জবাব গুলো এখন সংবাদের মাধ্যমে আমরা দিতে পারি। যেটা ইনসাফের জন্য সম্ভব হয়েছে!

কোন প্রতিপক্ষ হয়ে নয়, বরং সত্যটা কে প্রকাশ্যে আনে ইনসাফ। তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করে তাঁরা। মিডিয়ায় যেখানে নাস্তিক মুক্তমনা গুলোর বসবাস সেখানে ইনসাফ আজ বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের সুন্দর কাজের মাধ্যমে।

আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ইনসাফের কী কী ভালো লাগে?আমি প্রথমের সম্পাদক সাহেবের কথা বলবো। যে মানুষটা না থাকলে হয়তো ইনসাফের আজ এই পর্যন্ত আসা হতোনা। হয়তো ইনসাফ নামে কোন অনলাইন পত্রিকার জন্মই হতোনা। এইতো বছরখানেক আগে ইনসাফে সাংবাদিকতার উপর ট্রেনিং করেছি তখন খুব কাছ থেকে স্যার কে দেখার সুযোগ হয়েছে, মিশেছি স্যারের সাথে, কথা হতো অনেক বিষয়ে, স্যারের প্রতিটা কথা থেকেই শেখার অনেক কিছু থাকে।

যদি কেউ জিজ্ঞেস করে ইনসাফের খারাপ লাগে কি কি? তাহলে একটা কথায় বলবো এখনো পর্যন্ত খারাপ লাগার মতো কিছু পাইনি। যদি কখনো পাই সেটা না হয় স্যার কে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিবো। তারপরও যদি বলে দেখেন কোন খারাপ দিক বের করা যায় কী না! তাহলে একটু রাগান্বিত হয়েই বলবো হ্যা অনেক খারাপ দিক আছে! তার মধ্যে কয়েকটা খারাপ দিক তুলে ধরি, ইনসাফ কখনো তৈলাক্ত খবর প্রকাশ করেনা। কাউকে খুশি করতে ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে কখনো খবর প্রকাশ করেনা। হ্যা আরোও খারাপ দিক হলো ইনসাফ নিয়ে কোন নেতিবাচক আলোচনা সমালোচনা হয়না।

আজকাল দেখা যায় মিডিয়াগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে তারা সবসময় আলোচনা সমালোচনায় থেকে নিজেদের টিআরপি বাড়াবে। কিন্তু সেই জায়গায় ইনসাফ দেখিয়ে দিয়েছে যে নেতিবাচক আলোচনায় থাকা ছাড়াও একটা পত্রিকার র‍্যাংকিং বাড়ানো যায়। ভালো কাজের মাধ্যমে জনমানুষের পাঠক হওয়া যায়। তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করে মানুষের আস্থাশীল হওয়া যায়।

হ্যাঁ, আরো খারাপ দিক হলো ইনসাফের সম্পাদক সর্বমহলে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। যার গুণের মহিমায় ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম আজ ৭ বছরে পা দেয়া হাতেগড়া সন্তান।এরকম আরো অসংখ্য দিক তুলে ধরা যাবে যেগুলো কে আমি আমার ভাষায় খারাপ খারাপ বলতে পারিনা। বাকিটা লাখো পাঠকের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআ’লা যদি চান, ইনসাফ কে ভবিষ্যতে পাঠকের হাতে হাতে দেখতে চাই। যেখানে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও তাদের দৌড় থাকে বীরদর্পে। দৈনিক ইনসাফ ই-পেপার যেন প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকে সেই স্বপ্ন দেখি।

পরিশেষে ইনসাফের সকল কর্মকর্তাদের অসংখ্য ভালোবাসা অভিনন্দন। এগিয়ে যাক পাঠকের ভালোবাসার ইনসাফ।

ইনসাফ; একটি উত্থানের গল্প!

0

ওমর ফারুক | শিক্ষার্থী : মাদানীনগর


পাঠকমহলে সমাদৃত পত্রিকা ইনসাফ তার সাফল্যমণ্ডিত অর্ধযুগ পেরিয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পণের এই শুভক্ষণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

বর্তমান বিশ্ব সত্য-মিথ্যার যে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের উত্তপ্ত রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে, মিডিয়া পলিটিক্স সে যুদ্ধের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বহু আগ থেকেই পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সত্যকে মিথ্যা আর সাদাকে কালোরূপে উপস্থাপন করে ন্যায় এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিপরীতে তাদের নীল এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিশ্বজুড়ে তারা মানবতা,স্বাধীনতা ও সুস্থ সংস্কৃতির চেতনা বিকাশের ফাঁপা বুলি আওড়িয়ে ভালো-মন্দ সঠিকভাবে নিরূপণে মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলছে।

ধর্মান্ধতা, ইসলামভীতি ও জঙ্গীসহ কিছু নব্য উদঘাটিত শব্দের মাধ্যমে তাদের করা মিথ্যাচারে বিশ্বমানবতার প্রকৃত ঝাণ্ডাধারীরাই আজ নিষ্পেষিত। সংবাদ এবং সাংবাদিকতার মূল্যবোধ এমনকি নূন্যতম মনু্ষ্যত্ববোধকেও খুইয়ে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্দিষ্ট মত ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।

দুঃখের বিষয়, পশ্চিমা মিডিয়ার লেজুড়বৃত্তিতে দেশীয় হলুদ মিডিয়াগুলোও তাদের পুঁজিবাদী নব্য প্রভুদের একনিষ্ঠ অনুসারী। তাই এই মিডিয়াযুদ্ধে আমাদের কিছু আপোষহীন সত্যান্বেষী সেনাব্যারাক প্রয়োজন ছিলো।

এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আশু বাধা-বিপত্তিকে তোয়াজ না করে হেফাজতসমর্থিত ঐতিহাসিক ইসলামী বিপ্লবের শিক্ষাকে পুঁজি করে ২০১৪ সালের ৫ই মে স্রোতের বিপরীতে দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের এই বর্ণাঢ্য পথচলা শুরু হয়। সময়ে সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেশী-বিদেশী বহু নিষিদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে;শৃগালের রক্তচক্ষু,শকুনের শ্যেন দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে আজকের এই দিনে ইনসাফের অবস্থান পাঠকের হৃদয়জুড়ে।ইনসাফের এই দীপ্ত পথচলায় উজ্জীবিত হয়ে আরো নতুন নতুন ইসলামী ঘরানার অনলাইন পোর্টালের যাত্রার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সুদৃঢ় প্লাটফর্ম গড়ে উঠছে।

একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে ইনসাফের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, নিরীক্ষণ খুব মুগ্ধকর ও আস্থার বিষয়।আমি ইনসাফের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। প্রত্যাশা করি আগামীর পথচলা নির্ঝঞ্ঝাট ও সুমসৃণ হোক।

ইনসাফ : নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহর আদর্শবাদী কণ্ঠস্বর

0

আনাস বিন ইউসুফ


ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদে অর্ধযুগ অতিক্রম করে ফেলল ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ে ইসলামী ঘরনার শক্তিশালী গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। একবিংশ শতাব্দির যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার উপর মুসলিম উম্মাহর পরবর্তী ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে– তার অন্যতম হচ্ছে গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলামী ঘরানার একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও রুচিশীল মিডিয়ার শূন্যতা বিরাজমান ছিল। শাপলা-ট্রাজেডি পরবর্তী সময়ে এই শূন্যতা আরো প্রকট আকারে অনুভূত হতে থাকে—যখন কিনা প্রতিপক্ষের সম্মুখ আঘাতে জর্জরিত হয়েও সবশেষ গণমাধ্যম-অপপ্রচারের চূড়ান্ত আঘাতটা বুকে পেতে নিতে হত আমাদেরকে। এমনি এক মহাকঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইনসাফের যাত্রা শুরু হয়—শাপলা ট্রাজেডির ঠিক এক বছর পর।

পথচলার সূচনাতে ইনসাফের সাথে পরিচিত ছিলাম না। যতদিনে ইনসাফের সাথে আমার পরিচয় ঘটে ততদিন ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ে সাফল্যের প্রামাণ রেখে খানিকটা পথ অতিক্রম করে ফেলে ইনসাফ। বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও রুচিশীলতার অনন্য প্রতীক হয়ে উঠে প্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশে ইসলামী ঘরানার অনলাইন পোর্টালের সংখ্যা বর্তমানে কম নয়। বলতে দ্বিধা নেই— এ সবগুলোর পথিকৃৎ হচ্ছে ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’। ইনসাফের কল্যাণে ইসলামী চিন্তাধারার প্রতিনিধি সমাজ গণমাধ্যম শাখায় কাজের অনুপ্রেরণা যেমন অর্জন করছে, ঠিক তেমনি দেশের সাধারণ মিডিয়াগুলোও এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদেরকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আত্মঘাতী প্রবনতা পরিহারে বাধ্য হয়েছে।

ন্যায়ের চেতনায় সদা জাগরুক থেকে ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে মানুষটি দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি শ্রদ্ধেয় মাহফুজ খন্দকার ভাই। আমি প্রাণভরে দোয়া করি, আল্লাহ যেন এ মানুষটির দৃঢ়চেতা মনোবল, ইচ্ছাশক্তি এবং মেধা ও কর্মস্পৃহায় অফুরান বরকত দান করেন। আমীন।

ইনসাফকে আমি দেখি, “নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহর এক আদর্শবাদী কণ্ঠস্বর” হিসেবে। আমি আমার এ মূল্যায়নের অল্প-বিস্তর কোনো ব্যাখ্যা এখানে বলবো না। শুধু এটুকু বলবো- আপনি গুনেগুনে মাত্র এক সপ্তাহ ইনসাফকে ফলো করুন, ইনসাফের একজন মনযোগী পাঠক হয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখুন—ইনসাফ কী বলতে চায়।

মুসলিম বিশ্বের নানাপ্রান্তে নিত্য-নতুন ঘটে যাওয়া সত্যগুলো অন্য দশটি গণমাধ্যমের কাছ থেকে শুনলে আপনি হতাশ হতে পারেন। হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে পারেন। কখনোবা নিজেকে এবং নিজের অপরাপর মুসলিম ভাইদেরকে অপরাধী হিসেবে জানতে শুরু করবেন। কিন্তু ‘ইনসাফ’ আপনার কাছে সেই সত্যটিকে বিকৃতিহীন সত্যের আকৃতিতে তুলে ধরবে নির্ভয়ে, অবলীলায়। ফলে হতাশার কালো মেঘ আপনাকে আচ্ছন্ন করতে পারবে না; ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন জেগে উঠবে অন্তর-জগতে। আগত উজ্জল ভবিষ্যতের হাতছানি যেন এখনি উপলব্ধি করতে পারছেন আপনি—ইনসাফের কল্যাণে।

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর অর্ধযুগ পূর্তিতে প্রাণঢালা অভিনন্দন

0

মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী | সম্পাদক, মাসিক আদর্শ নারী


“ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম” অনলাইন নিউজ পোর্টাল হচ্ছে ইসলামী ঘরানার অনলাইন নিউজ পোর্টালসমূহের পথিকৃত। যখন “ইনসাফ টোয়েন্টিফোর-ডটকম” নামে অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠা হয়, তখন এদেশে ইসলাম নিয়ে অনলাইনে তেমন নিউজ পোর্টাল গড়ে উঠেনি। সে সময় অর্থবহ নিউজ পোর্টাল গড়ে তোলা সহজ ব্যাপার ছিলো না। কারণ, তখন নিউজ পোর্টালের পরিচালনকর্মীর যথেষ্ট অভাব ছিলো। সেই সাথে আর্থিক বিনিয়োগের দিকটি উৎসাহব্যঞ্জক ছিলো না। বলতে গেলে তখন নিজেরটা খেয়েপড়ে অপরকে সেবা দেয়াই ছিলো অনলাইন পোর্টালসমূহের আরাধ্য ভূমিকা। অবশ্য বর্তমানে বিভিন্নভাবে এদিকটায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সফল সম্পাদক সাইয়েদ মাহফূজ খন্দকারের বলিষ্ঠ সম্পাদনায় ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম শুরু থেকেই ভিন্নধর্মী ইসলামী ভাবধারার নিউজ পোর্টালরূপে গড়ে উঠে। ইসলামী ঘরানার নিউজ পোর্টালকে সমসাময়িক জেনারেল নিউজ পোর্টালসমূহের সাথে পাল্লা দিতে এর প্রয়াস ছিলো চোখে পড়ার মতো। সেই সাথে অনলাইন ময়দানে যোগ্য ইসলামী ঘরানার নিউজকর্মী তৈরীতে ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম যে অবদান রেখেছে, তা অভূতপূর্ব। এভাবে সেই সময় থেকে অদ্যাবধি ইসলামী ঘরানার অনলাইন জগতে ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর কর্মধারাকে সার্বিক বিবেচনায় সফল বলা যায়।

৫ মে—২০১৪ থেকে পথচলা শুরু করে আজ ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম সফলভাবে অর্ধযুগ পূর্তির মাইলফলকে পৌঁছেছে। এটা বড়ই আশাপ্রদ বিষয়। এ জন্য ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করে কোন অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিরবচ্ছিন্নভাবে সক্রিয় থেকে এবং পাঠক-পাঠিকাগণের জনপ্রিয়তার উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধিকে অক্ষুন্ন রেখে এভাবে অর্ধযুগের মাইলফলককে স্পর্শ করা অলৌকিক ব্যাপারের মতো মনে হয়। যা ইনসাফ-এর অনন্য উদ্যম, সক্রিয় কর্মতৎপরতা ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্বাস করি।
ইনসাফ-এর অর্ধযুগ পূর্তির এ শুভ লগ্নে মহান আল্লাহর নিকট দু‘আ করি, আল্লাহ তা‘আলা একে আরো বলিষ্ঠ মহিরুহে বিকশিত হয়ে তার ইপ্সিত লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দিন। সর্বপরি একে কবূল করে নিন এবং এর দ্বীনী সেবাকে সম্পাদক সাহেবসহ তার সকল সহকর্মী ও পৃষ্ঠপোষকগণের পরকালীন সাফল্য লাভের ওসীলা করে দিন। আমীন।

ইনসাফের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আল্লামা শফীর শুভেচ্ছা বার্তা

0

আল্লামা শাহ আহমদ শফী | আমীর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। চেয়ারম্যান, হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ। মহাপরিচালক, জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা।


ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইনসাফ পরবারকে অভিনন্দন

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম। দেশের সর্বপ্রথম ইসলামিক অনলাইন পত্রিকা। আলেম সমাজের পরামর্শে পরিচালিত এ পত্রিকাটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পণ করছে। এটা আনন্দের বিষয়। গর্বের বিষয়।

যেকোনো নিউজ পোর্টালের শুরুটা হয় চ্যালেঞ্জিংভাবে। ইনসাফের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নাস্তিক ব্লগারবিরোধী আন্দোলনের সময় অনলাইন এক্টিভিস্ট ও অনলাইন নিউজ পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম। কিন্তু ছিল না ইসলামী ঘরণার অনলাইনভিত্তিক কোন নিউজ পত্রিকা। তখন ইনসাফের একা-একা দাঁড়িয়ে যাওয়া, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন ছিল। তবুও ইনসাফ সেটা পেরেছে। ধরে রেখেছে দীর্ঘ ৭বছর ধরে।

দেশের মিডিয়া অঙ্গনে ইসলামী ধারার মিডিয়ার অভাব সেই আগ থেকে। অনেকে এগিয়ে এসেছে, আবার হারিয়ে গেছে। কারণ রাস্তাটাই এমন পিচ্ছিল। অর্থ, শ্রম ও সাহস এর পুঁজি। তাই সবাই টিকতে পারে না। আলহামদুলিল্লাহ ইনসাফ সেটা পেরেছে। অভিনন্দন ইনসাফের সাহসী টিমের প্রতি। এ পথচলা আরো সুগম হোক! দীর্ঘ হোক!

উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাণী

0

আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী | উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান : ইনসাফ


আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম ষষ্ঠ বর্ষ পূর্ণ করে সপ্তম বছরে পদার্পণ করেছে।

ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইনসাফের সকল পাঠক, শুভাকাঙ্খীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই ইনসাফের সম্পাদক, উপদেষ্টা সম্পাদক, সংবাদ কর্মী, পরিচালনা পর্ষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্যকে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের প্রথম ইসলামী মিডিয়া আজ অর্ধযুগ পূর্ণ করতে পেরেছে।

বর্তমান বিশ্বে মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক। মিডিয়া এতই শক্তিশালী যে, যেকোনো মূহুর্তে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করতে সক্ষম। বর্তমানে বাতিল তাগুতী গোষ্ঠী মিডিয়া ও শিক্ষা-সংস্কৃতিকে ব্যবহার করে ইসলামের উপর আঘাত করছে। ইসলামের উপর বাতিল গোষ্ঠী কীভাবে, কোন পথে আঘাত করছে তা আমাদের উপলব্ধি করে সেভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।

ইহুদি, খৃস্টান ও ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা চলমান মিডিয়ার মোকাবেলায় গোটা মুসলিম উম্মাহর উপর কর্তব্য হলো বাস্তবমুখী তথ্য নির্ভর শক্তিশালী ইসলামী মিডিয়া তৈরী করা। শুধু উলামায়ে কেরাম নয়; যারা আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া-সাল্লামকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে, তাদেরও কর্তব্য ইসলামী মিডিয়াকে শক্তিশালী করা।

আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের এই ইসলামী মিডিয়ার প্রয়োজন কিছুটা হলেও ‘ইনসাফ’ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী মিডিয়ার কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে ২০১৪ সালের ৫ মে পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করে। ‘ইনসাফ’ ইসলামী মিডিয়া জগতে একটি বিপ্লবের নাম। একটি ইনকিলাবের নাম। ‘ইনসাফ’ প্রতিনিয়ত বাস্তবসম্মত, তথ্য নির্ভর ও ইনসাফি’আতের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করে আসছে। সম্পাদক প্রিয় সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের দ্বারা সংবাদ, প্রতিবেদন, ভিডিও শো, সাক্ষাৎকার ও প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পাঠকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

উলামায়ে কেরামের প্রতি অনুরোধ; আপনার শ্রম, মেধা, পরামর্শ ও অর্থ দিয়ে ইনসাফের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। আপনার আমার সহযোগিতা যদি না থাকে, তাহলে ইনসাফের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে একা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা সম্ভব হবে না।

পরিশেষে বলবো, ১৪ সালের দিন আর আজকের দিনটি এক নয়। আজ এ দেশে ইসলামী মিডিয়ার একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরী হয়েছে। আমরা যদি মিডিয়ায় আরো অগ্রগামী হই, ইসলামী মিডিয়াকে উন্নত করতে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসি, তাহলে কোনো বাঁধাই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে আটকাতে পারবেনা। ইন শা আল্লাহ।

সিলেটে আরও ৩২ করোনা রোগী শনাক্ত

0

সিলেটে বিভাগে নতুন করে আরও ৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন সিলেট জেলার, ১১ জন হবিগঞ্জ, ২ জন মৌলভীবাজার ও একজন সুনামগঞ্জ জেলার।

শনিবার (১৬ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই তিন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

সিলেটে বিভাগে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ৩০ জনের মধ্যে সিলেটের ১৮ জনের খবর নিশ্চিত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

অন্যদিকে হবিগঞ্জে নতুন আক্রান্ত হওয়া ১১ রোগীর তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মখলিসুর রহমান।

এছাড়া সুনামগঞ্জে একজন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন। একইদিনে মৌলভীবাজারে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সিলেটের নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জনই জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার জানিয়ে ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, শনিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত লিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে ১৮টি পজিটিভ আসে। এদের বেশির ভাগই গোলাপগঞ্জ উপজেলার।

আর বাকিরা সিলেট নগরের স্বাস্থ্যকর্মী। এদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই সেবিকা ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সেবাদান কেন্দ্র সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ১ জন ব্রাদার রয়েছেন। তবে বাকী অন্য জনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে হবিগঞ্জে নতুন আক্রান্ত হওয়া ১১ রোগীর তথ্য নিশ্চিত করে জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মখলিসুর রহমান বলেন, রাতে ঢাকার আগারগাঁওস্থ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টার থেকে এই ১১ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে বলে আমাদের নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯ জন ও বানিয়াচং উপজেলায় দুইজন করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ বলেও জানান তিনি।

এদিন সিলেট বিভাগের আরেক জেলা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন। কিন্তু তিনি কোন ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

একইদিনে মৌলভীবাজার জেলায় নতুন করে দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া দুজনই জুড়ী উপজেলার। এদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ৩৯১ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৪ জন, সুনামগঞ্জে ৬৯ জন, হবিগঞ্জে ১২৯ জন ও মৌলভীবাজারে ৫৯ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৯ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪১ জন।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

0

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম আমফান।

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে এটি বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর প্রবল উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৬ মে) দিনগত মধ্যরাতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এ পরিণত হয়েছে। এটি ১৬ মে রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি প্রথমে উড়িষ্যার দিকে থাকলেও অভিমুখ কিছুটা পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাবে। আরও সরে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে সরাসরি আঘাত হানবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে যে গতিমুখ রয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে খুলনা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়।

করোনার প্রাদুর্ভাবে ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্ক

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | নাহিয়ান হাসান


বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন তুরস্ক।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ফুয়াত ওক্তাই’ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রচেষ্টায় অবদানের অংশ হিসাবে তুরস্ক ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা প্রেরণ করেছে।

এক অনলাইন ইন্টারভিউতে ‘ওক্তাই’ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৮০ টি দেশকে সহায়তা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই দেশগুলোর মূল চাহিদা ছিল ফেস মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাভস এবং ভেন্টিলেটর।

তিনি বলেন, বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ দেশ বা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি রাষ্ট্র তুরস্কের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সহায়তা স্বরূপ তুরস্কের চিকিৎসা সরঞ্জামাদির দ্বিতীয় চালান লিবিয়ায় এসে পৌঁছেছে।

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ত্রিপোলিতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ‘সেরহাত’ আকসেন ব্যক্তিগতভাবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের জরুরি অবস্থা প্রশাসনের ‘তৌফিক হরিশা’র কাছে মেডিকেল সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করেছিলেন।

এছাড়াও তারা তুরস্কের সহায়তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সহায়তা করার জন্য ‘হারিশা’ আঙ্কারাকে ধন্যবাদ জানায়।

১১ এপ্রিল ভাইরাসটির বিস্তার রোধে তুরস্ক যুদ্ধ-ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে তাদের প্রথম চিকিৎসা সামগ্রীর চালান পাঠিয়েছিল।

আঙ্কারা, তিউনিসিয়ায় চিকিৎসা সহায়তা সম্বলিত তার দ্বিতীয় চালান ও পাঠিয়েছে। যা ৮ ই মে তিউনিসিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। সেই চালানের মধ্যে ছিল সার্জিক্যাল মাস্ক, পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট, জীবাণুনাশক, গগলস, ফেস মাস্ক এবং ফেসশীল্ড।

অন্যদিকে মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য তুর্কি সরকার উগান্ডার ‘কোভিড-১৯ জাতীয় টাস্কফোর্সকে’ ১০০টি সাইকেলও অনুদান দিয়েছিল।

উগান্ডায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত কেরেম আল্প বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সাইকেলের চালানটি টাস্কফোর্সের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোভিড -১৯ মোকাবিলার জন্য ত্রাণ ও বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম সামগ্রী জোগাড় করার জন্য টাস্কফোর্স নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

‘আল্প’ বলেছেন, মহামারীকে কার্যকরি ভাবে প্রতিহত করতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে উগান্ডার প্রেসিডেন্টের সহায়তার আহবানে তার রাষ্ট্র তুরষ্ক সাড়া দিয়েছে।

সাইকেলগুলি সেম্বাবুল এবং কিটগাম জেলাগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য যাতায়াত সহজ করবে কেনোনা সেখানে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে পরিবহনের অভাব রয়েছে। ‘আল্পে’র তথ্যমতে, সাইকেল গুলো মহিলা ও পুরুষ উভয়ের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী রুহাকানা রুগুন্দা কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে যে ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে তা সমর্থন করার জন্য ম্যাসেভেনির আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য তুর্কি জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উগান্ডায় বর্তমানে ১৬০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে ৬৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।

তুরস্কের বেশ কয়েকটি মানবিক সহায়তা সংস্থা দুর্বল উগান্ডীয়দের জন্য খাদ্যসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী প্রদানে অবদান রেখেছে।

শুক্রুবার ন্যাটোর সহযোগী নেতৃত্ব তুর্কী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জাম বিতরণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে একটি টুইট বার্তা দিয়েছে। এই টুইট বার্তায় তারা আরো উল্লেখ করেছে যে, এধরণের গতিবিধি ন্যাটোকে সমর্থনের একটি বার্তা। এধরণের কার্যক্রম আমাদের সদর দফতরের মিশনটি সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার যোগ্য পণ্যের মজুদ তৈরিতে সহায়তা করে।

গত ডিসেম্বরে চীনে এই মহামারীর উদ্ভবের পর কোভিড-১৯ ভাইরাসটি কমপক্ষে ১৮৮ টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের কবলে পতিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইউরোপ এবং আমেরিকা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে মহামারীটি বিশ্বব্যাপী ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি লোককে আক্রান্ত করেছে এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ৩০০,০০০ এরও বেশি লোক এই মহামারীতে মৃত্যুবরণ করেছে এবং পুনরায় সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া লোকের সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

তুরস্কে বর্তমানে করোনভাইরাস সংক্রান্ত ১৪৪,৭৪৯ জনেরও বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছে। এবং মৃতের সংখ্যা ৪০০৭ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাভুয়েসালু সংহতি তুলে ধরে একটি বক্তব্য দিয়েছেন।

তুরস্কের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বোর্ডের (ডিইআইকে) আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিয়েত সাভুয়েসালু বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বলেছেন যে করোনভাইরাস মহামারী চলাকালীন অন্যান্য দেশের সাথে দৃঢ় সংহতি, একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য তুরস্ক রাষ্ট্রের ধারণাকে একীভূত করেছে।

তিনি ডিইআইকে সদস্যদের বলেছিলেন যে, ইইউর সাথে দেশটির শুল্ক ইউনিয়নের একটি ধারা নবায়নের পাশাপাশি ভিসা উদারকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতির প্রত্যাশা করছে এখন আঙ্কারা।

তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি এবং রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়েব এরদোগান উভয়ই তাদের ইউরোপীয় সহযোগীদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বাইরের দেশগুলিতে তুরস্কের সরবরাহ করা চিকিৎসা সহায়তার কথা উল্লেখ করে সাভুয়োসালু বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রথমবারের মতো আমাদের দেশ সম্পর্কে এই জাতীয় ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এটা বলছি না যে, এগুলোর দ্বারা সবকিছু সমাধান হয়ে গিয়েছে। হ্যা, তবে এটা বলতে পারি যে একটা ইতিবাচক আবাহ তৈরি হয়েছে।

তুরস্ক এমন এক রাষ্ট্র যারা তাদের মানবিক প্রচেষ্টায় গত দশকে নিজের নাম করে নিয়েছে। প্রতিদিন পৃথিবীর বহু কোণে চিকিৎসা সহায়তা প্যাকেজ প্রেরণ করে ইতোমধ্যে এই রাষ্ট্রটি রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

৩১ জানুয়ারিতে তুরস্ক চীনে প্রথমবার চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছিল। সেই সরঞ্জামাদিতে ছিল পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট, ৯৩,৫০০ মেডিকেল মাস্ক, ৫০০ চিকিৎসা প্রতিরক্ষামূলক চশমা এবং ১০,০০০ জীবাণুনাশক সরঞ্জামাদি সহ চীনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ করা হয়েছিল।

তুরস্কের সহায়তা প্যাকেজগুলির বেশিরভাগই ছিল মেডিকেল মাস্ক, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক-আশাক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং জীবাণুনাশক। সমস্ত সরঞ্জাম সামরিক মালিকানাধীন কারখানাগুলিতে এবং সেলাইয়ের ওয়ার্কশপগুলিতে তৈরি করা হয়েছিল যে কারখানা এবং সেলাইয়ের ওয়ার্কশপগুলো সেনাবাহিনীর জন্য সামরিক ইউনিফর্ম এবং অন্যান্য পোশাক তৈরি করে থাকে।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহ্য পালন করে আসছে যে, তারা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রেরণ করছে, এমনকি যাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশও সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা সেখানে মানবিক সহায়তা প্রেরণ করে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে দেশটির ভিত্তি স্থাপনের এক দশক পরে ১৯৩৮ সালে তুরস্ক সুদূর প্রাচ্যে কলেরার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চীনে ওষুধ পাঠিয়েছিল। একইভাবে ১৯৪১ সালে তুরস্ক গ্রীক সেনাবাহিনীর কাছে ওষুধ পাঠিয়েছিল গ্রিসের অনুরোধে। অথচ গ্রিস মুক্তিযুদ্ধের সময় তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহ অন্যান্য বহু দেশে তুরস্ক কর্তৃক একই ধরণের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপ্লব অনিবার্য: হামাস

0

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, দখলদার ইহুদিদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপ্লব অনিবার্য এবং এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।

হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের উস্কানিমূলক তৎপরতা, তাদের হুমকি এবং সন্ত্রাসবাদ কোনো কিছুই ফিলিস্তিনিদেরকে প্রতিরোধ সংগ্রামের পথ থেকে দুরে সরাতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের মুসলমানরা ফিলিস্তিন ইস্যুকে কখনোই ভুলে যাবে না এবং ইসলামের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদ তাদের হৃদয়ে থাকবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রতি ইঙ্গিত করে মুখপাত্র বারহুম বলেন, এসব পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে প্রতিরোধ সংগ্রাম ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিলিস্তিনের সব প্রতিরোধকামী শক্তিগুলোর সামর্থ্য ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুখপাত্র ফুজি বারহুম।

সূত্র: পার্সটুডে