Home Blog Page 929

এবার লেবাননে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করল ইসরাইল

0

দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ‘এনএনএ’ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বার্তা সংস্থার মতে, দক্ষিণ লেবাননের ওদাইসেহ ও কাফারকেলা শহরের মধ্যেখানে অবস্থিত গ্রামে আল-আওয়াইদা পাহাড়ে এই বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা আরো জানিয়েছে, একই দিনে দক্ষিণ লেবাননের দাবশিশ রোডের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইল। গাড়ির উপর নিক্ষেপ করা গাইডেড মিসাইলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, সোমবার লেবাননের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলীয় সীমান্তের গ্রামগুলোর উপর দিয়ে ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান উড়তে দেখা গিয়েছে। এসময় তাদের উচ্চতা খুব কম ও সঙ্গে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিমান ছিল।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, একই দিনে সীমান্ত নিকটবর্তী শহর আয়তা সাহাবের পাশেই অবস্থিত খাল্লেত ওয়ারদা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি

অবৈধ বসতি স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নষ্ট করছে ইসরাইল : জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণ নীতির সমালোচনা করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক। অবৈধ এই রাষ্ট্রটির এমন নীতিমালার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি জানান তিনি।

সোমবার ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের একটি গ্রাম পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, “এই সকল স্থানে বসতি স্থাপন করা অবৈধ। এই ধরনের কাজ অত্র অঞ্চলে অশান্তির সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পথকেও বাধাগ্রস্থ করে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই তাদের নিজেদের ভূমিতে নিরাপত্তা, সম্মান ও আত্মমর্যাদার সাথে বাঁচার অধিকার রয়েছে।”

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, শুধুমাত্র দ্বি-রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যার ফলে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নামক দুটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।

এছাড়াও উগ্রপন্থী ইহুদীদের আক্রমণের হাত থেকে ফিলিস্তিনি গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য ইসরাইল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

গাজ্জায় যুদ্ধ বিরতির স্লোগানে বক্তব্য থামাতে বাধ্য হলেন বাইডেন

0

সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে অবস্থিত চার্লসটনের একটি গির্জায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হঠাৎ করেই পেছন থেকে ‘গাজ্জায় যুদ্ধবিরতির’ জন্য স্লোগান দিয়ে বসেন উপস্থিত এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকজনের কণ্ঠস্বরে একই স্লোগান শোনা যায়। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বক্তব্য থামিয়ে দেন বাইডেন।

একজন প্রতিবাদী বাইডেনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, “আপনি যদি সত্যিই এখানে নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন, তাহলে আপনার উচিত এসব মানুষের জীবনকে সম্মান করা ও গাজ্জায় যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানানো।”

প্রসঙ্গত, এমন সময় হঠাৎ করেই গির্জার চারদিকে ‘যুদ্ধবিরতি চাই’ বলে চিৎকার করে ওঠে উপস্থিত ব্যক্তিরা।

বাইডেন বলেন, “আমি তাদের আবেগ বুঝতে পারছি, গাজ্জায় হামলা কমানো ও সেখান থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরাইলের সাথে নীরবে কাজ করছি আমি।”

হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ কিছু কর্মীদের মতে, বাউডেন, জনসমুক্ষে ইসরাইলকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিলেও পর্দার আড়ালে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর তাগিদ দিয়েছিলেন তেল আবিবকে। তবে তার কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে : জাতিসংঘ

0

বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সোমবার রাতে জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারেক আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তিনি ভোটের পরিবেশ নিয়েও সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে রোববার ভোটের দিন বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি সহিংসতা ও দমন–পীড়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ভোটের আগের মাসগুলোতে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে বা ভয় দেখানো হয়েছে। এই ধরনের কৌশল সত্যিকারের প্রকৃত প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি যেন সব বাংলাদেশির মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আমলে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যেন সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের আগে গণগ্রেপ্তার, হুমকি, জোরপূর্বক গুম, ব্ল্যাকমেইলিং এবং নজরদারির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছে। রাজনৈতিক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো বিরোধী দলগুলো করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থকরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত দুই মাসে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী সমর্থক নিহত অথবা হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আটক অবস্থায় সম্ভাব্য নির্যাতন বা কঠোর পরিবেশ নিয়ে গুরুত্ব উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার।

তিনি বলেন, প্রচুর মানবাধিকার কর্মী আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর কিছু পালিয় গিয়েছেন ও ডজনখানেক গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নভেম্বর মাসে।

ভলকার তুর্ক বলেন, এই ঘটনাগুলো অবশ্যই স্বাধীনভাবে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ীদের অবশ্যই ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচারণা চালানোর সময় এবং নির্বাচনের দিনেও আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কঠিনভাবে এসেছিল, এটি নষ্ট হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করি- এটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও বিস্তার করবে। সব বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।

মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে : শেখ হাসিনা

0

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয়।

আজ (সোমবার) বিকেলে গণভবনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আটবার নির্বাচন করেছি।‌ এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমার চলার পথটা এত সহজ ছিল না, অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমি মুখোমুখি মৃত্যুকে দেখি, কখনও গুলি, কখনও বোমা হামলা, কখনও গাড়িতে হামলা। আমি যখন শান্তি র‌্যালি করছিলাম তখন গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে মানবঢাল রচনা করে।

অনেকে জীবন দেয়। জনগণের কথা বলতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার হয়েছি, বন্দি হয়েছি। তারপরও আমি দমে যাইনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারে। আমরা সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ করেছিল, লুটপাট করেছিল,অগ্নিসংযোগ করেছিল, স্বাধীনতার পরপর তাদের বিচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। যখন আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা; গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।

নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

0

দেশের জনগণ সরকারের প্রহসনের ডামি নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

তিনি বলেছেন, জনগণ সরকারের প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দেয়নি। ডামি নির্বাচনে সাজানো ফলাফল দেখিয়ে তা গ্রহণযোগ্য করার ব্যর্থ চেষ্টা কোন কাজে আসবে না। দলান্ধ ও দলবাজ নির্বাচন কমিশন অনেক নাটকীয়তার পরে ৪০ ভাগ ভোট কাস্টের ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে ১০ পার্সেন্ট ভোটও কাস্ট হয়নি। তাও ব্যাপক দলীয় নেতাকর্মীদের জাল ভোটের মাধ্যমে। কাজেই এটা কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামিকাল ৯ জানুয়ারি বেলা ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, জনগণ ভোট বর্জন করে সরকারকে উচিত জবাব দিয়েছে। কাজেই ডামি নির্বাচন বাতিল করে জনগণের প্রাণের দাবি জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন তফসিল ঘোষণা করে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, আলহাজ্ব হারম্নন অর রশিদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রম্নহুল আমীন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার প্রমূখ।

আফগান প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করলেন জমিয়ত সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান

0

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দের সাথে সাক্ষাত করলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ) পাকিস্তানের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয়ের মাঝে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে আফগান ব্যবসায়ীদের হেনস্তা বন্ধ, ট্রানজিট ও পণ্য আনা-নেওয়ায় জটিলতা নিরসন এবং শরণার্থীদের সাথে পাকিস্তান সরকারের রূঢ় আচরণ বন্ধের আহবান জানানো হয়।

মাওলানা ফজলুর রহমান এসময় তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, শরণার্থীদের সাথে সরকারের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠিয়েছেন তিনি।

এছাড়া পাকিস্তানের সাথে আফগান সরকারের যাবতীয় ভুল বুঝাবুঝি দূর করতে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তান সফরে এসেছেন তিনি।

এর আগে মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছলে মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ ও তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিনিধিগণ তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বরণ করে নেন।

এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ ছাড়া উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধান বিচারপতি শাইখুল হাদিস আব্দুল হাকিম হক্কানী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমির খান মুত্তাকী, হজ্ব ও ধর্মমন্ত্রী নূর মুহাম্মদ সাকিব, প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রবিবার (৭ জানুয়ারি) আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে কাবুল গিয়ে পৌঁছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ) পাকিস্তানের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান।

সূত্র: টলো নিউজ

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।

আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে দলটি। সোমবার বিকালে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

এটিএম মা’ছুম বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আমি জামায়াতের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার ও বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে পা‌কিস্তান

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে পা‌কিস্তান। দেশটির নেতাদের এ অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান হাইক‌মিশনার।

ঢাকার পা‌কিস্তান হাইক‌মিশন জানায়, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

হাইক‌মিশনার ৭ জানুয়া‌রি অনু‌ষ্ঠিত নির্বাচ‌নে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য শেখ হা‌সিনা‌কে অভিনন্দন জানান এবং পাকিস্তানের নেতা‌দের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মারুফকে অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন মোদি

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য তাকে আমি অভিনন্দন জানিয়েছি। পাশাপাশি সফলভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের জনগণকেন্দ্রিক ও স্থায়ী অংশীদারিত্ব জোরদারে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এর আগে সোমবার সকালে নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে তিনিই সবার আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও অভিনন্দন জানান। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।