বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় শাহাদাত বরণ করলেন আল জাজিরার সাহসী সাংবাদিক ওয়ায়েল আদ-দাহদুহের পুত্র সাংবাদিক হামজা ওয়ায়েল আদ-দাহদুহ।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) গাজ্জা কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলী হামলায় আরো ২জন সাংবাদিকের ইন্তেকাল হয়েছে। এতে করে শাহাদাত বরণকারী সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১০৯ জনে পৌঁছেছে। ওই ২ জন সাংবাদিক হলেন আল জাজিরার গাজ্জা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল আদ-দাহদুহের পুত্র সাংবাদিক হামজা ওয়ায়েল আদ-দাহদুহ ও সাংবাদিক মুস্তফা সুরাইয়া। দক্ষিণ গাজ্জার খান ইউনুসে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা চালায় জায়োনিস্ট ইসরাইলী বাহিনী।
ইসরাইল কর্তৃক সাংবাদিক হত্যার জঘন্য অপরাধ অব্যাহত থাকায় ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, সত্যকে বিশ্বের সামনে প্রকাশ না হতে দেওয়ার জন্যই মিডিয়াকর্মী ও সাংবাদিকদের হামলার নিশানা বানাচ্ছে জায়োনিস্ট ইসরাইল।
বিশ্বের সকল প্রেস ইউনিয়ন, মানবাধিকার ও আইন সংস্থাকে এধরণের জঘন্য অপরাধের নিন্দা জানানোর আহবান জানায় স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। আরো আহবান জানায় অবিরাম করে যাওয়া ইসরাইলী নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
এছাড়া গাজ্জায় বেসামরিক গণহত্যা বন্ধে জায়োনিস্ট অবৈধ রাষ্ট্রটির উপর চাপের মাত্রা আরো বৃদ্ধি করারও আহবান জানায় সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক ওয়ায়েল আদ-দাহদুহ হলেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার গাজ্জা ব্যুরোর প্রধান। গাজ্জায় দায়িত্ব পালনকালে ইসরাইলী বিমান হামলায় যিনি নিজ পরিবারকে হারিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নিজেও ইসরাইলী বোমা হামলার শিকার হোন। আহত হলেও প্রাণে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হোন তিনি।
এছাড়া হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও তারা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি এই অজুহাতে গাজ্জায় ৯২ দিন যাবত গণহত্যা পরিচালনা করে আসছে অবৈধ রাষ্ট্রটির জায়োনিস্ট সন্ত্রাসীরা।
আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল পরিচালিত গাজ্জা গণহত্যায় এখন পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন ২২ হাজার ৮৩৫ ফিলিস্তিনি। তাদের বর্বরতা ও নৃশংসতার শিকার হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুতুল্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ৫৮ হাজার ৪১৬ ফিলিস্তিনি।
গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আহত ও শাহাদাত বরণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।
সূত্র: আনাদোলু