Home Blog Page 931

আল আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরাইল

0

পূর্ব জেরুসালেমে অবস্থিত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে প্রবেশে মুসল্লিদের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। শুক্রবার জুম্মার নামাজে ১৫ হাজার মুসল্লির বেশি প্রবেশের অনুমতি পাবে না বলে জানিয়েছে দখলদার কর্তৃপক্ষ।

আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি জানিয়েছে জেরুসালেমের ইসলামি ওয়াকফ ডিপার্টমেন্টের এক সদস্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তার মতে, এই ধরনের নির্দেশনার পূর্বে প্রতি সপ্তাহে আল আকসা মসজিদে জুম্মার নামাজে প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লী অংশগ্রহণ করত। তবে এমন নিষেধাজ্ঞার পর মসজিদের ভেতরে ও আঙিনা প্রায় ফাঁকা পড়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র বৃদ্ধ ব্যক্তিদেরই মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য অনুমতি প্রদান করে ইসরাইলি পুলিশ। অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার কড়া নিরাপত্তায় থাকে পুলিশ।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

যুদ্ধ জিততে পারলে গাজ্জা পরিচালনায় কাকে বসাতে চায় ইসরাইল

0

অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে তা ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অথবা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দ্বারা পরিচালিত হবে না বলে জানিয়েছেন অবৈধ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) গ্যালান্টের অফিস এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজ্জার বাসিন্দারা যেহেতু ফিলিস্তিনি, তাই তাদের মধ্য থেকেই শাসনভার অর্পণ করা হবে। তবে তারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি বা আমাদের উপর আবারো আক্রমণ করবে না এমন শর্ত দেওয়া হবে তাদের উপর।”

প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্যালান্টের এমন পরিকল্পনার বিপরীতে ভিন্ন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের বেশ কিছু মন্ত্রী। দেশটির উগ্রপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছে, গাজ্জায় যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সেখানে হামাসের কোন স্থান থাকবে না। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ ছিট মহলে ইসরাইলি নাগরিকদের স্থানান্তরিত করা হবে এবং গাজ্জা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করবে তেল আবিব।

বিবৃতিতে, গাজ্জায় যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে বেশ কিছু বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হামাসের টানেল ধ্বংস করা, স্থল ও আকাশ পথে বোমা হামলা চালানো এবং বিশেষ বাহিনীর অভিযান।

সূত্র: আল জাজিরা

৩ মাসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ৬৭০ অপারেশন চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

0

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ৩ মাসে ৬৭০টি অপারেশন চালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক টেলিভিশন বার্তায় এ বিষয়টি জানান শিয়া সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।

তিনি বলেন, “ইসরাইলি সেনাবাহিনী কোথায় কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখি আমরা। তবে আমাদের হামলায় আহত সৈনিক ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না ইসরাইল, যা তাদের একটি চিরাচরিত রীতি।”

তিনি আরো বলেন, “লেবাননের উপর এত বড় লঙ্ঘন কোন প্রতিক্রিয়া বা শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাবে না। যুদ্ধক্ষেত্রেই এর জবাব দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি

হামাসের অর্থদাতাদের ধরতে ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা আমেরিকার

0

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ৫ জন প্রধান অর্থদাতা সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ১ কোটি মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির আর্থিক উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারলেও মিলবে এ পুরষ্কার।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ৫ জন ব্যাক্তি হলেন আবদেল বাসিত হামজা আল হাসান খায়ের, আমের কামাল শরীফ আল শাওয়া, আহমেদ সাদু জাহলেব, ওয়ালিদ মুহাম্মাদ মুস্তফা জাদাল্লাহ ও মুহাম্মাদ আহমেদ আব্দ আল-দাইম নাসরুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, এসকল ব্যাক্তিরা বেশ আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা তথাকথিত ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে স্বীকৃত।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,

অর্থদাতাদের মধ্য থেকে সুদানে হামাসের হয়ে কাজ করেন হামজা আল হাসান। সেই সঙ্গে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ওমার বশির ও ইসলামিস্ট গ্রুপগুলোর সাথে জড়িত। পাশাপাশি তিনি হামাসের ভেতরের বহুসংখ্যক কোম্পানি পরিচালনা করে থাকেন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হামাসের কাছে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানান্তর করার অভিযোগ এনেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

অন্য তিনজন অর্থদাতা কামাল শরীফ, আহমেদ সাদু ও ওয়ালিদ মুস্তফাকে তুরস্কে হামাসের বিনিয়োগ শাখার সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পঞ্চম অভিযুক্ত নাসরুল্লাহ সম্পর্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তার। সেই সঙ্গে হামাস ও তার সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের কাছে ২০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার অর্থ স্থানান্তরের সাথে জড়িত তিনি।

এছাড়াও গত অক্টোবর মাসে তিনি কাতারে ছিল বলে দাবি জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ জমা দেবে লেবানন

0

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ডেপুটি প্রধান সালেহ আল আরুরীকে হত্যার পর, ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করতে যাচ্ছে লেবানন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) লেবাননের সরকার কর্তৃক এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে, লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বৌ হাবিবকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘লেবাননের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করে নতুন ইসরাইলি লঙ্ঘনের’ বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।

বিবৃতিতে, তেল আবিবের এই হামলাকে ‘নতুন ইসরাইলি অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।

শুধু তাই নয়, এই হামলার মাধ্যমে লেবাননকে চলমান যুদ্ধে জড়ানোর প্রচেষ্টা করছে ইসরাইল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান যুক্তরাজ্যের জন্য লজ্জাজনক: স্কটিস ফাস্ট মিনিস্টার ইউসুফ

0

অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় অবিলম্বে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর ব্যর্থতা যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি ‘লজ্জাজনক’ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ।

সেই সঙ্গে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে যুক্তরাজ্য সরকারকে গাজ্জায় অবৈধ দেশটির বাচবিচারহীন আক্রমণ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করার করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ফাস্ট মিনিস্টারের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “গাজ্জায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, গাজ্জা উপত্যকায় ১৯ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাস্তচ্যুত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ থেকে উদ্বেগ প্রকাশের পরপরই তার এই বিবৃতিটি এসেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গাজ্জায় গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হলেও তা বর্তমানে সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। সুতরাং, যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত এ বিষয়টি তাদের স্পষ্ট ও জোরালোভাবে জানিয়ে দেওয়া।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

রাজধানীতে ট্রেনে আগুন, এখন পর্যন্ত ৫ লাশ উদ্ধার

0

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আগুনে বেশ কয়েকজন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে।

ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে আগুন লেগেছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, কমলাপুরের গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রওনা হয়। পরে আরো কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি কমলাপুর আসছিল। কমলাপুর পৌঁছার কিছু আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের কাছে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। অন্তত চারটি বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মাসউদ উসমানীকে গুলি করে হত্যা

0

পাকিস্তানের সুন্নি উলামা কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাসউদুর রহমান উসমানীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মাওলানা মাসউদুর রহমান উসমানীর গাড়িতে অজ্ঞাত এক মোটরসাইকেল আরোহী গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এতে শাহাদাত বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

সূত্র : জিও নিউজ

রাজধানীর ট্রেনে ভয়াবহ আগুন

0

রাজধানীর সায়দাবাদের গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এরই মধ্যে ট্রেনের ৪টি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁও ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ৫টি ইউনিট কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ফায়ার স্টেশনে জরুরি সংবাদ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্রান্সজেন্ডারবাদ একটি কুফরী মতবাদ : হেফাজত

0

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, “ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া)” আমাদের নজরে এসেছে। আর বিভিন্ন সূত্র মারফত আমরা এটিও জানতে পেরেছি যে, আইনটি অচিরেই পাশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। হেফাজতে ইসলাম এ মর্মে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে, এ আইনটিকে যদিও হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। হিজড়া বলতে বোঝানো হয় এমন মানুষকে, জন্মগতভাবে যার মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয়ের চিহ্ন বিদ্যমান থাকে। পক্ষান্তরে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি হল, জন্মগতভাবে সে পুরুষ কিংবা নারী। কিন্তু কোনো কারণে সে নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের মনে করে। যেমন, কোনো পুরুষ নিজেকে নারী মনে করল অথবা কোনো নারী নিজেকে পুরুষ মনে করল। আর এর ভিত্তিতেই তাকে ভিন্ন লিঙ্গের ঘোষণা করা ট্রান্সজেন্ডারবাদের দাবি।

আজ (৫ জানুয়ারী ২০২৪) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বলাবাহুল্য যে, শুধু মনে করার কারণে কারো লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে না। এমনকি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না। এভাবে না কোনো পুরুষ নারী হয়ে যায়, আর না কোনো নারী পুরুষ হয়ে যায়। এরপরও যদি কেউ এমনটি মনে করে বা এর স্বীকৃতি দেয় তাহলে সে মূলত আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন সাধন করল। যা স্পষ্ট হারাম ও মস্তবড় পাপ। এরচেয়েও ভয়াবহ বিষয় হল, এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দেওয়া শরীয়ত এবং কুরআন-সুন্নাহর বিকৃতি সাধনের মতো কুফরি গুনাহ।

তারা বলেন, হিজড়া তথা খুনছার বিষয়ে শরীয়তের সুস্পষ্ট বিধান ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবসমূহে উল্লেখ রয়েছে। সে বিধান বাস্তবায়ন করলেই তাদের অধিকারের প্রকৃত সুরক্ষা হবে। পক্ষান্তরে তা না করে ট্রান্সজেন্ডার নামে যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে তা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে বিকৃতি ও আল্লাহর শরীয়ত পরিবর্তনের মতো কুফরি গুনাহ। এর মাধ্যমে ইসলামের বিয়ে, তালাক, বংশ পরিচয়, পর্দা ও মীরাস-উত্তরাধিকারসহ নারী-পুরুষ সংক্রান্ত কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামের সকল বিধানের পরিবর্তন ও বিকৃতি ঘটবে। আর সমকামিতা ও ব্যভিচারের মতো ঘৃণ্য ও মহাপাপগুলো আইনি বৈধতা পাবে। যার ফলশ্রুতিতে একদিকে যেমন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতি-নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে। তেমনি আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি ও শরীয়তের মধ্যে বিকৃতি ও পরিবর্তনের মতো গুনাহয় লিপ্ত হওয়ার দরুন তারা আল্লাহর গযব ও লানতেরও শিকার হবে।

তারা আরো বলেন, উল্লেখ্য যে, এ আইনটি শুধু ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থীই নয়; বরং মানব সম্প্রদায়ের স্বভাবজাত রুচি- প্রকৃতি বিরোধীও বটে। তাই যেকোনো ধর্মের সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি ও রুচিসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি এর সমর্থন করতে পারে না। আরো উল্লেখ্য যে, কোনো মুসলিম দেশ না বুঝে এমন আইন পাশ করে ফেললেও বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর দ্রুতই তারা তা বাতিল করে ফেলেছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, অতএব মানুষের স্বভাবজাত ও সুস্থ রুচি পরিপন্থী এবং ইসলাম ও কুরআন-সুন্নাহবিরোধী এহেন কুফরি আইন, যা দেশ-জাতি ও সমাজে ভয়াবহ অবক্ষয় ডেকে আনবে তা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি মুসলিম দেশের সরকার প্রধানের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।