Home Blog Page 94

যতদিন আছি নিশ্চিত থাকেন দেশের অনিষ্ট হবে এমন কোনও কাজ হবে না: ড. ইউনূস

0

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। আমি যতদিন আছি নিশ্চিত থাকেন দেশের অনিষ্ট হবে এমন কোনও কাজ হবে না।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। রাতে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়সমূহ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানেই এসব কথা জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর লিডাররা প্রফেসর ইউনূসকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংস্কার-বিচার-নির্বাচন এর জন্য যে কাজ শুরু করা হয়েছে তার প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। এ সকল কাজে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন।

প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে ড. ইউনূস বলেন, আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে যত রকমভাবে পারে চেষ্টা করছে দেশবিদেশের অনেকেই। এটা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বিভাজন থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি এটা যেন সামনের দিকে যায়। এ সময়, সবাই একসঙ্গে বসাতে তিনি মনে সাহস পেয়েছেন বলেও জানান।

নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৩০ জুনের পর কখনোই যাবে না। এতে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

প্রেস কনফারেন্সের শেষ পর্যায়ে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের তিনটি বড় কাজ হচ্ছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। প্রথমে সংস্কার করতে পারলে ইলেকশনের বিষয়ে সকলের আস্থা পাওয়া যাবে।

মাঝপথে ড. ইউনুসকে সরে না যাওয়ার আহ্বান ইসলামী দলগুলোর

0

পরিস্থিতি যেমনই হোক, সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝপথে প্রধান উপদেষ্টা যেন হাল না ছেড়ে দেন, এমন আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণকারী ইসলামী দলসমূহের নেতারা।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা শায়েখ সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসেন রাজী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। বিপদের সময় ধৈর্য ধরতে হয়। বিগত সরকারের আমলে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০০-এর বেশি মিথ্যা মামলা আগামী জুনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নারী সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ কোরআন-হাদিসের পরিপন্থী। এজন্য এমন কোনো সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিতর্ক তৈরি করছেন, প্রয়োজনে পরিষদ পুনর্গঠনের কথাও বলা হয়েছে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে মানুষের ব্যাপক অবদানের ফলে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কোনো কারণে যদি কাজের সুযোগ না দেয়া হয় এবং মাঝপথে ফেলে যাওয়া হয়, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না করলে আবারও পূর্বের মতো নির্বাচন কলঙ্কিত হবে। ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার করতে হবে এবং জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আগে যদি স্থানীয় নির্বাচন হয়, তবে আবারও কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার দেখা যাবে। আমরা সবাই দেশ গড়ার কাজে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

তিনি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, জুনের একদিন পরেও এই সরকার দায়িত্বে থাকবে না। একইসঙ্গে স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো ভেবেচিন্তে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রধান উপদেষ্টা যেন মাঝপথে হাল ছেড়ে না দেন, এ বিষয়ে আমরা তাকে অনুরোধ করেছি এবং তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তিনি জানিয়েছেন, জুনের পর এক ঘণ্টাও দায়িত্বে থাকবেন না। চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াটি কী পরিমাণে বাস্তবায়িত হবে, তা স্পষ্ট করতে হবে। বিগত আওয়ামী লীগ আমলের হত্যাকাণ্ডে দায়ী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।”

তিনি জানান, “মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে দেশবিরোধী কিছু হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেছেন। হেফাজতের মামলাগুলো প্রত্যাহারে তিনি সরাসরি তদারকি করবেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। নারী সংস্কার বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কিছু হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন। নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ চাওয়া হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ছাত্র উপদেষ্টাদের অপসারণ করতে হবে অথবা তাদের পদত্যাগে উৎসাহিত করতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে যিনি উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি তুলেছেন, সেটিও গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়া দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছি। মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোনো একতরফা সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা চাই, এই সরকারই নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন করুক।”

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে মৌলিক সংস্কার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে জাতিকে নির্বাচনের পথে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।”

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করেছি। সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে বলেছি। জুলাই আন্দোলনের বিচার দৃশ্যমান হওয়া উচিত। যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিবেচনা করতে বলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

সংস্কার-নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে ইসলামী আন্দোলনের

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম, বলেছেন, ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরিত্র বুঝতে হবে। এটা কেবলই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে গঠিত কোন অন্তবর্তী সরকার না। বরং অজস্র মানুষের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ উৎখাতের পরে মু্ক্তিকামী জনতার সরকার। নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের দায়িত্ব তবে তারও আগে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই মৌলিক কাজ সম্পন্ন করতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

আজ রবিবার (২৫ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বৈঠক পরবর্তী বিফ্রিংয়ে বলেছেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে আপনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন জয়-পরাজয় একসাথে হবে। রণে ভঙ্গ দেয়ার কোন সুযোগ নাই। ইনশাআল্লাহ আমরা সকলে মিলে এমটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারবো।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানকে কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

১. প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময়সীমার ওপরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আস্থা রাখে।

২. ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুততার সাথে তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।

৩. স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। কারণ, তাতেই সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে।

৪. বিতর্ক তৈরি করে এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও আলাপ আলোচনা করে নিলে অহেতুক ভুল বোঝাবোঝি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

‘ইনসাফ’-এর প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

0

দেশের প্রথম ইসলামী ধারার অনলাইন পত্রিকা ‘ইনসাফ’-এর প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে অবস্থিত ইনসাফের প্রধান কার্যালয়ে এই প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পত্রিকার মালিকানা ও প্রকাশনার দায়িত্ব হস্তান্তরের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে পদোন্নতি ও নতুন নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি সভায় ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ‘স্ট্যান্ড ফর ইনসাফ’ ট্রাস্ট-এর কাছে পত্রিকার মালিকানা ও প্রকাশনার পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ আরিফ মুসতাহসান নতুন প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সভায় ইনসাফের বিভিন্ন বিভাগে নতুন নিয়োগ ও রদবদলের ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্পাদক, প্রকাশকসহ মোট ১৫ জনের পদ ও দায়িত্ব পুনঃনির্ধারণ করা হয়।

ক্রনামপদদায়িত্ব গ্রহণ
সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারসম্পাদক


৫ মে ২০১৪
মুহাম্মাদ আরিফ মুসতাহসানপ্রকাশক


২৪ মে ২০২৫
মারজান হুসাইন চৌধুরীনির্বাহী সম্পাদক২৭ জুলাই ২০১৮
রায়হানুল কাবীরসহ সম্পাদক২৪ মে ২০২৫
ফয়জুল গনি জাহেদউপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক২৪ মে ২০২৫
তৌফিক আল ফারিসনিউজরুম এডিটর (ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক)১৭ মার্চ ২০২৫
নাহিয়ান হাসান মাহিরজ্যেষ্ঠ অনুবাদকজুন ২০২৪
মাহবুব রাস্তীনসহকারী নিউজরুম এডিটর২৪ মে ২০২৫
আবু হোরায়রা আয-যাহরানসহকারী নিউজরুম এডিটর২৪ মে ২০২৫
১০সাজিদ আহসানঅনুবাদক২৪ মে ২০২৫
১১যিকরুল্লাহ সিরাজীফিচার উপস্থাপক২৪ মে ২০২৫
১২নাদিম আশরাফরিপোর্টার২৪ মে ২০২৫
১৩নাঈম রিশান খানরিপোর্টার২৪ মে ২০২৫
১৪সাঈদ ইবনে আজাদভিডিও এডিটর১৭ মার্চ ২০২৫
১৫মাহবুবুল মান্নানচট্টগ্রাম প্রতিনিধি৮ জুন ২০২৪

 

দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারকে বলেছি : নুর

0

ছাত্র প্রতিনিধি দুই উপদেষ্টাকে অপসারণ করা বা তাদেরকে বুঝিয়ে পদত্যাগের দিকে যাওয়ার জন্য সরকারকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

রোববার (২৫ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের আন্দোলনকারী ছাত্র নেতৃত্বের মধ্যে যারা উপদেষ্টা রয়েছেন, তারা যেহেতু একটি দল করেছেন, বাইরে এ কথাটি প্রচলিত আছে যে, এই দলটি সরকারের সুবিধা পাচ্ছে এবং সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনসিপির দুইজনকে অপসারণ করা বা তাদেরকে বুঝিয়ে পদত্যাগের দিকে যাওয়া সরকারের দিক থেকে একটি ভালো দিক হবে।

নির্বাচন ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না; এতে সবাই সন্তুষ্ট : প্রেস সচিব

0

নির্বাচন ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না। এতে বিভিন্ন দলের নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার (২৫ মে) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, পার্টির লিডাররা প্রফেসর ইউনূসকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা যে সংস্কার করছি, আমরা যে বিচার কাজ শুরু করেছি, নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করেছি, সেটাতে তারা সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

‘তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকবেন।’

শফিকুল আলম বলেন, আরও অনেকগুলো বিষয়ে কথা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করবেন। ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না। এতে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবাজদের কঠোর হাতে দমন করবে : ডা. শফিকুর রহমান

0

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ চাই। এখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। মানুষ শান্তিতে দু’বেলা খেতে পারবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি উৎখাত করবে। দুর্নীতিবাজদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা গরু-ছাগল চোরদের ঘৃণা করি।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আয়োজনে কুলাউড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, যারা কলমের খোঁচায় রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে, তাদের বেলায় আমরা নীরব থাকি। তা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা পেশা ও ধর্ম দেখে মানুষকে মূল্যায়ন করব না। শত নির্যাতন সত্ত্বেও আমাদের কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও তার পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না। তারা সাড়ে ১৫ বছর অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে, আয়নাঘরে বন্দি করেছে, সম্পদ লুণ্ঠন করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে রাজকীয় অট্টালিকা গড়ে তুলেছে, বেগম পাড়া বানিয়েছে। এমন একটি সময় ছিল তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করত না।

জামায়াত আমির বলেন, মানুষের সাথে পশুর মতো আচরণ করে আজ তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দুঃখের বিষয় যাবার আগে তারা তাদের নেতাকর্মীদের কিছু না বলে নিজেদের জান নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে কাউকে বসবাস করতে দেয়নি। তারা জুলুমের সীমা অতিক্রম করেছিল। তা সত্ত্বেও আমরা এই জালিমের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলাম।

যুবকদের উদ্দেশে আমিরে জামায়াত বলেন, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত কল্যাণকর কাজ হয়েছে তা যুবকদের হাত ধরেই হয়েছে। আমাদের বিশ্রামের কোনও সময় নেই। দেশের প্রতিটি ঘর-বাড়িকে ইসলামী আন্দোলনের ঘাঁটি বানাতে হবে। আল্লাহ যদি কবুল করেন তাহলে আমাদের বিশ্রাম হবে জান্নাতুল ফেরদৌসে। যুবকেরা এগিয়ে আসলে আমরা বাংলাদেশকে একটি শান্তিময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা তাজুল ইসলাম, মুহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস নোমান প্রমুখ।

বাগরাম ছিলো চীন-রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রধান ঘাঁটি: মার্কিন কংগ্রেসম্যান বোস্ট

0

আফগানিস্তানের বাগরাম চীন-রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রধান সামরিক ঘাঁটি ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কংগ্রেসম্যান (সাংসদ) বোস্ট।

রবিবার (২৫ মে) টলো নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, হাউস কমিটির ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ও মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক বোস্ট, এক সাক্ষাৎকারে বাগরাম বিমান ঘাঁটিকে প্রতিপক্ষের মোকাবেলার জন্য দেশের সবচেয়ে অগ্রসর ও প্রধান বিমান ঘাঁটি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সত্ত্বেও সরকার বিমান ঘাঁটিটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখার পরিকল্পনা করেছিলো বলে জানান।

এছাড়া তড়িঘড়ি করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ায় বাইডেন সরকারের সমালোচনা করেন। কেননা এটি ছিলো চীন-রাশিয়াকে মোকাবিলা করার প্রধান ঘাঁটি, যেখানে প্রায় ৩,৫০০-৫,০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন ছিল।

আফগানদের জন্য আবার অনলাইন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ভারত

0

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য আবার অনলাইন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ভারত।

রবিবার (২৫ মে) টলো নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, ভারত সরকারের এক সূত্র ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আফগানরা ব্যবসা, চিকিৎসা এবং বিভিন্ন শ্রেণীর ভিসা পাচ্ছেন। ভিসা অনলাইন পোর্টাল indianvisaonline.gov.in–এর ওয়েবসাইটে ‘নতুন আফগান ভিসা’ নামে একটি পোর্টাল যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আফগান নাগরিকরা অনলাইন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তালেবান নেতৃত্বাধীন ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার ২০২১ সালে আফগান প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে শরীয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠা করলে ভারত সরকার দেশটির নাগরিকদের জন্য সবধরণের ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে দেয়। বন্ধ করে দেয় দূতাবাস ও কনস্যুলেট। কিন্তু গত মাসের শেষ সপ্তাহে ভিসা স্থগিতাদেশ, দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

পোর্টালে তালিকাভুক্ত ভিসার ক্যাটাগরিগুলো হলো, ছাত্র, ব্যবসা, চিকিৎসা, চিকিৎসা সহকারী, প্রবেশ এবং জাতিসংঘ কূটনীতিক।

পোর্টালে আরো বলা হয়েছে, যেসব আফগান ভারতে সম্পত্তির মালিক, উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে আসা ছাত্রের নির্ভরশীল পিতা-মাতা, এবং ১৮ বছরের নিচের ছাত্রের পিতা-মাতা, তারাও ভারতের প্রবেশ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।

শিক্ষা খাতে বাজেটের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০ দফা দাবি ছাত্র আন্দোলনের

0

শিক্ষা খাতে বাজেটের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

রোববার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেট প্রস্তাবনা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ প্রস্তাব পেশ করেন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর।

২০ দফা দাবি-
১। গবেষনাবান্ধব শিক্ষামুখী বাজেট প্রদান করতে হবে।
২। দেশের সকল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
৩। নৈতিকতা সমৃদ্ধ জাতিগঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। প্রাথমিক স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকল্পে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান।
৫। শিশুদের জন্য পাঠদান কে আনন্দঘন ও আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাদান নিশ্চিতকল্পে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বরাদ্দ প্রদান।
৬। কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান
৭। একটি আন্তর্জাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান
৮। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যয়ভার কমাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
৯। শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহজ শর্তে ঋণগ্রহণ ব্যবস্থা চালু ও তা সহজলভ্য করতে হবে।
১০। নারী শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাফেরা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
১১। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্টিনে খাবার মান বৃদ্ধি ও হলে যথাযথ সিট ব্যবস্থা করতে হবে।
১২। কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নে থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।
১৩। কওমি মাদরাসার তাকমিল (মাস্টার্স) এর সার্টিফিকেট কে সাধারণ মাস্টার্সের সার্টিফিকেটের মত সমমানের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৪। কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দেশে ও দেশের বাহিরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৫। আলিয়া শিক্ষার অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান।
১৬। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কামিল মাদ্রাসার স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।
১৭। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বেশি বাজেট প্রদান করতে হবে।
১৮। মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।
১৯। মুখস্ত নির্ভর ও সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২০। গণমানুষের চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিতকল্পে চিকিৎসক তৈরিতে প্রতিটি জেলায় একটা করে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে। ও তাদের কর্মসংস্থান তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

খাতভিত্তিক প্রস্তাবনা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা:
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত না হওয়া রাষ্ট্রের বড় ব্যর্থতা। এখনো প্রতি ৪ জনে একজন নিরক্ষর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৮,৮১৯ কোটি টাকা। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে এই বরাদ্দ কমপক্ষে ২০% বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা:
দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য এই শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১৭.২% এবং শিক্ষিত বেকার ৪৭%। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১,৭৮৩ কোটি টাকা। আমরা এ খাতে বরাদ্দ ৩০% বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়:
গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অভ্যন্তরীণ আয়ের নামে বেতনবৃদ্ধি ও কৃচ্ছতা সাধনের নামে সুযোগ-সুবিধা হ্রাস বন্ধ করতে হবে। বাজেটের অন্তত ১০% গবেষণায় বরাদ্দ দিতে হবে।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়:
বেশিরভাগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই মানসম্মত শিক্ষা, রয়েছে শিক্ষক সংকট ও অনিয়ম। ১১৬টির মধ্যে ৯০টির কার্যক্রম অনুমোদিত, কিন্তু শিক্ষার্থীর তুলনায় সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল। সরকারিভাবে নজরদারি এবং আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়:
দেশের বৃহৎ এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ শিক্ষার্থীপিছু বার্ষিক ব্যয় মাত্র ৭০২ টাকা, যা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং অসম। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলার শামিল। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

কওমি মাদ্রাসা:
দেশে ১৯ হাজারের বেশি কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। দাওরায়ে হাদীসের স্বীকৃতি দেওয়া হলেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। কওমি শিক্ষার্থীদের জাতীয় ধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে এবং কারিগরি শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে বাজেটে ন্যূনতম ১০% বরাদ্দের দাবি জানানো হচ্ছে।

আলিয়া মাদ্রাসা:
শতবর্ষী আলিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামো এখনও দুর্বল। মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে। এ খাতে বাজেট বরাদ্দ ১০% বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে।

মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ:
গবেষণা, ল্যাব উন্নয়ন, ইন্টার্ন ভাতা, আবাসন, নিরাপত্তা, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। মেডিকেলে মানবিকতা ও ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক পৃথক কোর্স চালু করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন ফান্ড’ গঠনের দাবি জানানো হচ্ছে।

ল কলেজ:
বিচার বিভাগ উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও ইসলামি আইন সংক্রান্ত কোর্স যুক্ত এবং বার কাউন্সিল উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।

শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান:
দেশে বছরে ২০-২২ লাখ নতুন কর্মক্ষম মানুষ যুক্ত হলেও চাকরির সুযোগ অপর্যাপ্ত। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়িয়ে, ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পে জামানতবিহীন ঋণ এবং নারীদের জন্য কুটির শিল্প ও নিরাপদ পরিবেশে কাজের সুযোগ তৈরিতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি করা হচ্ছে।

বেকারত্ব নিরসন ও সামাজিক নিরাপত্তা:
দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ বেকার এবং ৩.৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। শিক্ষিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও কার্যকর বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হুসাইন নূর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সরোয়ার, দাওয়াহ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল, অর্থ ও কল্যান সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, কওমি মাদরাসা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ ইমাম মাহদী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল আজিজ নোমান, কার্যনির্বাহী সদস্য এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ, সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেন ফজলে, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর সহ-সভাপতি নেয়ামতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর-এর সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জসিম উদ্দীন প্রমুখ।