বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) বর্জনের মধ্যে দিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এদিকে, গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রহণ শেষে রাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)। আর রাত ১০টার দিকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন নীল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দু’দিনে মোট ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ২৪৩ আইনজীবী তাদের ভোট প্রদান করেন। তবে নীল প্যানেল ভোটে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ অনেকটাই কম দেখা গেছে। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার লাইনে ভোটারদের জটলাও অনেক কম ছিল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, বুধবার প্রথম দিনে পাঁচ হাজার ২৮ জন ভোট দিয়েছেন। তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোটের হিসেবে গড়মিলের অভিযোগ তুলে রাতেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল।
নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে নীল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথমদিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৫টায়। এ সময় ১৪টি কাউন্টারে হিসাব করে দেখা যায় মোট ৪ হাজার ২৩টি ভোট পড়েছে। তবে এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল্লাহ আবু ৫ হাজার ২৮টি ভোট পড়ার কথা জানান। আমরা প্রত্যেক কাউন্টার থেকে আলাদাভাবে ভোটের হিসাব মিলিয়ে দেখার দাবি করি।
তিনি জানান, তখন নির্বাচন কমিশন সেই হিসাব দিতে রাজি হয়নি। এমনিতে সারাদিন চোখের সামনে অনেক অনিয়ম দেখেছি। এখন একদিনেই যদি এক হাজারের বেশি ভুতুড়ে ভোট পড়ে, তাহলে তো এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো অর্থ হয় না। তাই আমরা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্যানেলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রয়ারি) দ্বিতীয় দিনের ভোট বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি এ নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।