মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের তুমুল যুদ্ধ; শুরু হয়েছে কামান ব্যবহার

spot_imgspot_img

ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মির সীমান্তে লড়াই চরমে পৌঁছেছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গুলির আঘাতে তিনজন ভারতীয় সেনা নিহত হন। বৃহস্পতিবার রাতে গুলি, মর্টারের পাশাপাশি দূরপাল্লার কামানের ব্যবহারও শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কার্গিল যুদ্ধের পরে এত বেশি সময় ধরে কামান বা আর্টিলারি ফায়ার ভারত-পাক সীমান্তে হয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর অভিযোগ, বুধবার রাত থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান প্রথম এলওসি বা লাইন অফ কন্ট্রোলে গুলি চালাতে শুরু করে। ছোড়া হয় মর্টার। ভারতও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে।

বৃহস্পতিবার সকালে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নওগাম সেক্টরে পাক মর্টারে নিহত হন দুই ভারতীয় সেনা। অন্য দিকে পুঞ্চ সেক্টরে আরো এক সেনার মৃত্যু হয়। পাঁচ জন ভারতীয় সেনা আহত হন। এরপরেই ভারত আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাল্টা আঘাত করে পাকিস্তানও।

ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কামান বা আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে ভারত। ভারতীয় সেনার সাবেক লেফটন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, ভারত-পাক সীমান্তে গুলিগোলা চলার কিছু নিয়ম আছে। প্রথমে মেশিনগান ফায়ার, তারপর মর্টার, এভাবে আক্রমণের তীব্রতা বাড়তে থাকে। তবে আর্টিলারি বা দূরপাল্লার কামান যখন ব্যবহার করা হয়, তখন বোঝা যায় পরিস্থিতি সংকটজনক। বহু বছর পর কাশ্মীরে ভারত-পাক সীমান্তে সেই ঘটনাই ঘটছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভারত জানিয়েছিল, তিন সেনার প্রাণের জবাব দেয়া হবে পাকিস্তানকে। বস্তুত তার পর থেকেই গোলাগুলির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। পাকিস্তানও একইভাবে দূরপাল্লার কামান ব্যবহার করছে। তবে পাকিস্তানের দিকে এখনো কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।

পাকিস্তান অবশ্য নতুন করে তৈরি হওয়া সীমান্ত সংকট নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত এখনো মেটেনি। কোনো সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। তারই মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে তৈরি হওয়া এই সংঘাত নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img