বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

আরবদের মতো দেখতে বলেই কি হত্যা করা হল কিশোর নাহেলকে?

গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) ফ্রান্সের একটি শহরে ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণ দেখিয়ে নাহেল নামক এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে দেশটির পুলিশ। এরপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির জনগণ। নিহতের মায়ের দাবি নাহেলকে আরবদের মতো দেখতে বলেই তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা। এতে করে একদিকে যেমন কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষের প্রসঙ্গ উঠছে তো অন্যদিকে ধর্মীয় বিদ্বেষের ফলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তার পদবী প্রকাশ করা হয়নি। তবে এতটুকু জানান হয়েছে যে, তিনি ছিলেন একজন ডেলিভারি বয়। এছাড়াও গত তিন বছর ধরে সে ‘পাইরেটস অব নাঁনতেরে রাগবি ক্লাবের’ সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আবারো প্রশ্নের মুখে পড়েছে ফ্রান্সের আগ্নেয়াস্ত্র আইন। ২০১৬ সালে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন করে দেশটির সরকার। সংশোধিত আইন অনুযায়ী চালক গাড়ি থামানোর নির্দেশ অমান্য করলে তার ওপর গুলি চালাতে পারবে পুলিশ। যার ফলে ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত গাড়ি না থামানো ১৩ জন ব্যক্তি নিহত হয় পুলিশের হাতে।

ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্লেষকরা এ আইনটিকে ‘অস্পষ্ট’ বলেও অভিহিত করেছেন। তারা নেহালের মৃত্যুর জন্য এই আইনকেই দায়ী করেছেন।

অন্যদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ফলে চলমান বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। ১ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৩৫ জন সদস্য আহত হয়েছে। যার দরুন পুরো ফ্রান্স জুড়ে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতেই দোকান ও ভবন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা।

চলতি বিক্ষোভে চরম চাপের মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আরেক দফা প্রেসিডেন্ট পদে থাকার জন্য ১০০ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে এই বিক্ষোভে তাঁর পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। এছাড়াও বিক্ষোভের একদিন পরে একটি কনসার্টে যোগদান করায় আরও তোপের মুখে পড়েন তিনি।

এনডিটিভি

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img