শুক্রবার | ৪ জুলাই | ২০২৫

ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয় স্থাপন ও সমকামী দূত নিয়োগে হেফাজতের নিন্দা; প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান

spot_imgspot_img

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে উদ্যোগ এবং সমকামী কূটনীতিক নিয়োগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) হেফাজতের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।

তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশে এক আত্মঘোষিত সমকামী কূটনীতিককে আবাসিক সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ এবং ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ ৯২% ধর্মপ্রাণ মুসলমানের দেশের মুসলিম জনতার ধর্মিয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুলমানদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্যে সকল রাজনৈতিক অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মুসলিম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

মাওলানা আল হাবীব বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের সংবিধান, সমাজ ও আইন ধর্মীয় মূল্যবোধে গঠিত। জাতিসংঘের এমন একজন আত্মঘোষিত সমকামীকে কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দেশের ধর্মীয় চেতনার ওপর আঘাত করে ইসলাম বিরোধী পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অনতিবিলম্বে জাতিসংঘের এ নিয়োগ ও মানবাধিকার অফিস বাতিল এবং সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাগ্রিমো প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাচ্ছি ।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দেশের প্রচলিত আইনে নিশ্চিত করার জন্যে প্রয়োজন হচ্ছে সরকার, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সদিচ্ছা। কিন্তু উক্ত কাজে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস অনুমোদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সঠিক নয়। মানবাধিকার সুরক্ষার দোহাই দিয়ে বেহায়া, বেলেল্লাপনা, সমকামিতা ও অবাধ যৌনাচার, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দান সহ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোন অপতৎপরতা দেশপ্রেমিক জনতা কখনো মেনে নিব না।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি, জাতিসংঘ মুসলিম দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা নিজেদের দায় এড়াতে মুসলিম দেশগুলোতে ঢুকে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালায়। মানবাধিকারের নামে বাংলাদেশে যদি ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোতে হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে ঈমানদার জনতা তা সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দেবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিযে তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে এ মানবধিকার কার্যালয় ও দূত নিয়োগ প্রত্যাহার করুন, অন্যথায় আপামর তাওহীদি জনতা কঠিন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img