পুলিশী নিরাপত্তায় আগাম ঘোষণা দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি আহমদ বিন হামদ আল খলিলি।
সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে সুইডেনের বড় বড় অপরাধ যেনো যথেষ্ট নয় যে সকলের সামনে ঈদের নামাজের পর কোনো এক গর্দভকে আল্লাহ পাকের নাজিলকৃত পবিত্র কুরআন পোড়ানোরও অনুমতি দিতে হয়েছে তাদের! সমর্থন স্বরূপ পুলিশী নিরাপত্তাও দিয়েছে দেশটি!
আল্লাহ পাক মানুষকে যে স্বভাব ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের উপর সৃষ্টি করেছেন তার বিরুদ্ধেও ইসলামের শত্রুতা উঠে পড়ে লেগেছে। পত্রপত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ব্রেইন ওয়াশের জন্য এক মুসলিম শিশুকে তার পিতা-মাতার কাছ থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা মুসলিম উম্মাহর জন্য ভয়ানক সতর্কবার্তা।
এসব জঘন্য অপরাধের মোকাবিলা করবে সেই মুসলিমরা কোথায়? কোথায় পূর্বের-পশ্চিমের মুসলিমরা যারা এই আবশ্যকীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিবে! এসব মারাত্মক অপরাধের মোকাবিলায় (আবশ্যকীয় দায়িত্ব পালন সম্ভব না হলে) তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট তো অন্তত পক্ষে করা যায়!
মুসলিম বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্র, সংস্থা বা ব্যক্তি হোক না কেনো অপরাগতার সুরতে তার উপর ওয়াজিব হলো তাদের সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাদের উৎপাদিত পণ্য বয়কট করা।
পরিশেষে তিনি সূরা ইবরাহীমের ৪২ নং আয়াত উল্লেখ করেন যার অর্থ – “জালেমরা যা করে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে গাফেল মনে করো না। ”
সূত্র: টুইটার