জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ঢাকা। আইন অমান্য করে মেট্রোরেলের পিলার, ফ্লাইওভারসহ সড়ক ও অলিগলি সব জায়গায় সাঁটানো হচ্ছে এসব। এমনকি পোস্টারের জঞ্জালে ঢেকে যাচ্ছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চিহ্ন, বিপ্লবের গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনও।
তরুণ্যের অভ্যুত্থানের পর যে শহরটা নতুনরুপে সেজে উঠেছিলো গ্রাফিতি আর আল্পনায়, সেখানে আবার ফিরেছে ঘুনে ধরা জঞ্জাল। গোটা নগরকে যেনো পরিনত করা হয়েছে এক নির্বাচনি মঞ্চে। যেখানে আত্মপ্রচারের পসরা সাজাচ্ছেন যে যার ইচ্ছে মতো।
রাজধানীকে কুৎসতি করার এই অসৎ প্রতিযোগিতায় প্রায় সবাই জড়িত। পথেঘাটে শত-শত ছবি টাঙিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কিংবা মেট্রোরেলের পিলার কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় পোস্টার-ফেস্টুনে ঢেকে দিয়েছে অভ্যুত্থানের চিহ্ন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা রাজনীতিবিদদের কাছে কী চাচ্ছি তা আসলে তারা বুঝতে পারেন না। রাজনীতিবিদরা শুধু তাদের প্রচারণায় ব্যস্ত। আমরা যদি ভোট দিতেও চাই, তা মন থেকে সাড়া দিচ্ছে না।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঢাকা শহরকে দূষণে ঠেলে দেয়া কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হতে পারে না। এই দূষণ ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে সিটি করপোরেশনকে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এগুলো পরিবেশ দূষণ করছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন আমাদের অ্যাকশন নিতে হবে। পোস্টারের এই জঞ্জাল সরাতে শিগগিরি রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেয়া হবে।
পুরোনো ধাচের এসব প্রচারণা নয়, নতুন বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিই দেখতে চান সাধারণ মানুষ।









