ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেকদিন ধরে ভোটে দিতে পারে না। ভোট নিয়ে বিগত দিনগুলোতে যে সহিংসতা হয়েছে তাতে ভোটের দিনের ব্যাপারে মানুষের মনে আতংক বাসা বেঁধে আছে। জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পরে আগামী নির্বাচন তুলনামূলক শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশে হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় জনগণকে নির্বাচনে আগ্রহী করে তুলতে, নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে “নির্বাচনকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সংলাপ” এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেন, আধুনিক জাতিরাষ্ট্রে নির্বাচন সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এবারের নির্বাচন বাংলাদেশকে নতুন বন্দোবস্তের উত্তোরণের জন্য বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। জনতার ভোটের ওপরে নির্ভর করবে,বাংলাদেশ নতুন বন্দোবস্তে উত্তোরিত হবে নাকি আগের কলুষিত বন্দোবস্তে আপতিত হবে। এই সমীকরণে সাংস্কৃতিক কর্মীদের দায়িত্ব আরো বেশি। গানে-কবিতায়, ছড়ায়, শ্লোগানে, নাটিকায় ও উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। সেজন্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের মানুষের সাথে মিশতে হবে। বাণিজ্যের সাথে শিল্পের সংযোগকে সীমিত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব সাংস্কৃতিক কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশ সুস্থ্য ধারার জীবনঘনিষ্ট সংস্কৃতির বিকাশে যা করার তাই করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ কাশফির সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগীয় উপকমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মোরশেদুল আলম ও সদস্য হুমায়ুন কবীর শাবীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “নির্বাচনকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সংলাপ” এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা-৭ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ প্রমূখ।









