বৃহস্পতিবার | ১০ জুলাই | ২০২৫

আফগান সরকারের স্বীকৃতি রুখতে আইসিসির পরোয়ানা গুরুত্বপূর্ণ: জাতিসংঘ প্রতিনিধি

spot_imgspot_img

রাশিয়ার পর অন্যান্য দেশগুলো যেনো আফগানিস্তানের ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকারকে স্বীকৃতির পথে না হাটে, সেজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা জারিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন জাতিসংঘের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট।

বুধবার (৯ জুলাই) আমু টিভির এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

রিচার্ড বেনেট বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সেসব সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা, যারা তাদের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা ভাবছে।

এক এক্স বার্তায় একে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি লিখেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে, দায়মুক্তি চিরকাল থাকবে না। একই সঙ্গে এটি রাষ্ট্রগুলোকেও স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন একটি সরকার ও শাসনব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিও না, যারা আফগান জনগণের অর্ধেক অংশের মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা অস্বীকার করে।

তিনি আফগান আমিরুল মুমিনীন শায়েখ হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি শায়েখ আব্দুল হাকিম হক্কানীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করার আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানান।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মঙ্গলবার আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার ঘোষণা করে যে, আখুন্দজাদা ও হক্কানীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়ন, কারাবাস, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এই অভিযোগসমূহ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট (যেদিন তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসে) সেদিন থেকে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংঘটিত হয়েছে।

আদালতের মতে, তালেবান নেতৃত্ব এমন এক ধারাবাহিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য নীতি প্রয়োগ করেছে, যা নারী, মেয়ে ও অন্যান্য দুর্বল জনগোষ্ঠীকে তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, নারীদের জন্য শিক্ষার ও কর্মসংস্থানের উপর নিষেধাজ্ঞা, চলাচলের ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ এবং ভিন্নমত দমন।

প্রতিক্রিয়ায় দেশটির তালেবান নেতৃত্বাধীন ইমারাত সরকার আইসিসির অভিযোগ এবং এর বৈধতাকে প্রত্যাখ্যান করে বার্তা দেয়। যেখানে তারা বলেছে, তারা এই আদালতের অস্তিত্ব ও কর্তৃত্ব স্বীকার করে না।

তারা আরো বলেছে, এই ধরণের রায় ভিত্তিহীন এবং কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এসব পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই একে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।

এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাশিয়ার মতো বিশ্ব পরাশক্তির দেশ তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিভিন্ন দেশও আফগানিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সেই পথ অনুসরণের চিন্তাভাবনা করছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img