ভারতে ‘জয়শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করতে কিছু মুসলিম যুবকের উপর লাঠি-তরবারি নিয়ে চড়াও হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, গত ১০ জুন রাতে মুসলিম অধ্যুষিত হায়দরাবাদের হাই-টেক সিটির রাইডুরগাম এলাকায় কিছু মুসলিম যুবকের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের লাঠি-তরবারি নিয়ে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা একটি হোটেলের নিকটে ওই মুসলিম যুবকদের জয়শ্রী রাম বলতে বাধ্য করার জন্য মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুসলিম যুবকদের উপর চড়াও হওয়া ব্যক্তিদের সকলে একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলো। মুসলিমদের ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক অবকাশে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার উদ্দেশ্যে রাতে তারা রাস্তায় বেরিয়েছিলো। মধ্যরাতে স্লোগান দিতে দিতে তারা একটি পানের দোকানে হামলা চালায়। দোকান ভাঙচুর করে এবং আশপাশের মুসলিমদের উপর আক্রমণ করে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলার শিকার মুসলিম যুবকেরা শাইকপেট এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে তারা হাই-টেক সিটির রাইডুরগামে এসেছিলেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নৃশংসতার সময় ওই যুবকদের কেউ কেউ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বাকিদের বেদম মারধর করা হয়।
মারধরের শিকার এক ভুক্তভোগী মুসলিম যুবক বলেন, তারা আমাদের ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করার জন্য মারধর করছিলো। অস্বীকার করলে আমাদের আরো বেশি মারধর করা হচ্ছিলো। গুরুতর আহত হওয়ায় আমার এক বন্ধু এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এই ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এক পর্যায়ে স্লোগানে স্লোগানে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গিয়ে জড়ো হতে থাকলে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পালিয়ে যায়। জড়ো হওয়া লোকজন স্থানীয় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা জানায়।
তারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এটি দুষ্কৃতকর্মের সাধারণ কোনো ঘটনা নয়, বরং মুসলিমদের মাঝে ভয় ছড়িয়ে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করা হয়েছে। বেছে বেছে মুসলিমদের নিশানা বানানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তায় থাকা একটি এলাকায় এমন ঘটনা, তাও ঈদের অবকাশকালীন সময়ে, পুলিশের নির্লিপ্ততা, অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এছাড়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।