সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করে প্রশংসায় ভাসছেন সিরিয়ার সেই মুসলিম যুবক।
শনিবার (১৫ জুলাই) ইহুদি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি পাওয়া সেই ব্যাক্তি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গনমাধ্যম।
সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, স্টকহোমে অবস্থিত ইসরাইলী দূতাবাসের সামনে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অনুমতি পাওয়া সিরিয়ার সেই মুসলিম নাগরিক।
অনুমতি প্রাপ্ত ব্যাক্তি আহমেদ এ. জানান, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো তার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং তার উদ্দেশ্য ছিল সুইডেনের এমন কিছু আইনকে সামনে নিয়ে আসা, যা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর বিরোধিতা করে না।
তিনি আরো বলেন, “এটি ছিল পবিত্র কুরআন পোড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া। আমি তাদের এটি দেখাতে চাই যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ও একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা অবশ্যই বিবেচনায় রাখা উচিত।”
তিনি বলেন, “আমি যদি দূতাবাসের সামনে একটি তাওরাত, বাইবেল ও কুরআন পুড়িয়ে দেই তাহলে এখানে রীতিমতো একটি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। তাই আমার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে এটা বোঝানো যে, এই কাজটি কখনোই করা উচিত নয়। কারণ আমরা একই সমাজে বসবাস করি। তাই আমাদের একে অপরকে সম্মান করতে হবে।”
ইতিপূর্বে ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়ার জন্য ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের পাশাপাশি কয়েকটি ইহুদি সংগঠন এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য; গত জানুয়ারিতে সুইডেনকে ন্যাটো সদস্য পদে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানায় তুরস্ক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির উগ্র রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান তুর্কি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও গত ২৮ জুন ঈদের দিন সুইডেনের বৃহত্তম মসজিদের সামনে পবিত্র কুরআন পোড়ায় একজন ইরাকি নাগরিক। আর এ দুটি ঘটনা গোটা মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় তোলে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ