ট্রান্সজেন্ডার বিরোধী ক্যাম্পেইন চালানোই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও কট্টর ইসরাইলপন্থী এক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক হত্যা হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে মার্কিন তদন্তকারীরা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডেইলি জাঙ্গের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, চার্লি কার্ককে হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা টাইলার রবিনসন ট্রান্সজেন্ডার মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন। এক ট্রান্সজেন্ডার নারীর সাথে প্রেমও করে বেড়াতেন। তারা রুমমেট এবং লিভ টুগেদারে ছিলেন। ছিলেন বামপন্থায় বিশ্বাসী।
উটাহের গভর্নর স্পেন্সার কক্স রবিবারের এক টকশোতে জানান, ট্রান্সজেন্ডার এক্টিভিস্টরা চার্লি কার্কের হত্যার সাথে জড়িত কি না এই তদন্তে রবিনসন তাদের সহযোগিতা করছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগ আনা হবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, চার্লি কার্ক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ও কট্টর ইসরাইলপন্থী এক্টিভিস্ট। তিনি অতি রক্ষণশীল হিসেবেও বেশ পরিচিত। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে আমেরিকান তরুণ ও যুবকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ট্রান্সজেন্ডার মতবাদেরও ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। এবিষয়ে নিয়মিত ক্যাম্পেইন চালাতেন। ট্রাম্প ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার বাতিল করার পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে ট্রান্স এক্টিভিস্টদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিলো।