বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, রাজনৈতিক সরকারকে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। বিপ্লবকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে, তাহলে অর্থনৈতিক বিপ্লব সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত অর্থনীতি পুনর্গঠনে দরকার অর্থনৈতিক বিপ্লব। এজন্য জুলাই বিপ্লবকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। দূর করতে হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য। আনুষ্ঠানিক খাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এজন্য ক্যাশলেস লেনদেন বাড়াতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে পারব।
গভর্নর আরও বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে যে রিজার্ভ ২০ বিলিয়নে নেমে এসেছে, তা ৪০ বিলিয়নে উন্নীত করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হবে। আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন।
আর্থিক বৈষম্য দূর করার তাগিদ দিয়ে গভর্নর বলেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সিংহভাগ ঋণ পাচ্ছে। এ বৈষম্য দূর করতে এজেন্ট ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমএফএস এবং এজেন্ট ব্যাংক স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করলে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বাধ্য হয়ে তারাও সুদের হার কমাবে।