পশ্চিমতীরে চলমান সংঘর্ষের মাঝেই আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের শীর্ষ সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মরোক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বোরিতা। দেশটিতে আগামী গ্রীষ্মকাল না আসা পর্যন্ত এ সম্মেলন বিলম্বিত করা হবে।
এ সিদ্ধান্তটি এমন একটি সময়ে এসেছে ঠিক যখন ইহুদিবাদী ইসরাইল পশ্চিমতীর জুড়ে দখলদারিত্ব বৃদ্ধি ও জেনিনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে ৫ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে।
তবে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের শীর্ষ সম্মেলন পেছানোর জন্য তিনি এসব বিষয়কে দায়ী করেননি।
কিন্তু পশ্চিম তীর জুড়ে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণের নিন্দা জানিয়ে তিনি এটিকে “একতরফা ও উস্কানিমূলক” বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দখলদার ইসরাইলের এসব পদক্ষেপ অত্র অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এদিকে, মরক্কো পূর্ব থেকেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সমাধান হিসেবে ‘দ্বি-রাষ্ট্র’ তত্ত্বের উপর জোর দিয়ে আসছে। যার মাধ্যমে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত বলে মনে করে দেশটি।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েল সরকারের বিভিন্ন নীতি আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত হলেও তা প্রতিরক্ষা চুক্তিকে প্রভাবিত করতে পারেনি।
উল্লেখ্য; আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে স্বাক্ষর করা চারটি দেশের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো। সাম্প্রতিককালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনস্থ দেশগুলোর পাশাপাশি মরক্কোও ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ক্লায়েন্ট হয়ে উঠেছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর