বৃহস্পতিবার | ২৮ আগস্ট | ২০২৫

মধ্য এশীয় প্রতিনিধিদের আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দু আফগানিস্তান

তাশখন্দে মঙ্গলবার আফগানিস্তানকে ঘিরে সর্বশেষ রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন মধ্য এশিয়ার বিশেষ দূতেরা। এতে অংশ নেন কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে তারা জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে যৌথ উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি কার্যকর ও কাঠামোবদ্ধ আঞ্চলিক ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

প্রতিনিধিরা মনে করেন, আফগানিস্তান সম্পর্কিত আলোচনাগুলো নিয়মিত ও সুসংগঠিতভাবে চালাতে একটি স্বাধীন ও কাঠামোবদ্ধ আঞ্চলিক কাঠামো অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে কেবল অঞ্চল নয়, আফগানিস্তানের জনগণেরও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

তারা স্মরণ করিয়ে দেন, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আস্তানায় অনুষ্ঠিত মধ্য এশীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের ষষ্ঠ পরামর্শ বৈঠকের যৌথ বিবৃতি এবং ২০২৫–২০২৭ সালের আঞ্চলিক সহযোগিতা রোডম্যাপে একটি ‘কন্টাক্ট গ্রুপ’ গঠনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তাদের মতে, এই গ্রুপ হবে একটি স্বাধীন আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে যৌথ স্বার্থের বিষয়ে নিয়মিত সংলাপ চালানো সম্ভব হবে।

বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, সীমান্তপারের হুমকি এবং মানবিক সংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলা জরুরি।

অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন, মধ্য এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নয়, বরং অভিবাসন চাপ সামলানো, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায়ও সহায়ক হবে।

যদিও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, বাণিজ্য ও মানবিক সহায়তার মতো বাস্তব বিষয়ে তারা কাবুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছে। এতে স্পষ্ট হয়, স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকলেও তালেবান সরকারের সাথে বাস্তব সহযোগিতা কার্যত শুরু হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা সরাসরি মধ্য এশীয় রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করছে তালেবানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান প্রশাসন।

সূত্র : আরিয়ানা নিউজ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img