Home Blog Page 2427

যারা দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়, তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : চরমোনাই পীর

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করীম বলেছেন, আসুন সকলে মিলেমিশে দেশকে বাঁচাই। যারা দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়, তাদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকি।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি আওয়ামী লীগের কেউ নন, যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে দল? পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী। এর দায় বর্তমান সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারবে না।

চরমোনাই পীর বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এদেশ আওয়ামী লীগের একার নয়, এদেশ ১৭ কোটি জনতার। কাজেই দেশকে আওয়ামী লীগের কাছে বন্ধক দেয়া হয়নি। অবিলম্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। দায়ছাড়া বক্তব্য দিয়ে সরকার পার পাবে না।

আওয়ামী লীগ নয়, বাইরের দেশে ধরনা দেয় বিএনপি : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

0

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও মূল উৎস বাংলাদেশ। বাইরের দেশে ধরনা দেয় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। যারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান তারা বিভিন্ন সময় আমেরিকার কাছে ধরনা দিয়েছেন, অন্যান্য দেশে ধরনা দিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে ধরনা দিয়েছেন। সাহায্য চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ কখনো ধরনা দেয় না।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জয় বাংলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাওয়ার ক্ষমতা বা দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের শক্তি ও ক্ষমতা দেশের মানুষ।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ টুঙ্গিপাড়া ও পিরোজপুর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শিয়া স্কলারের কওমী মাদরাসা সফর

0

সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার


বেশ কয়েকটি কওমী মাদরাসায় ইরানের একজন শিয়া ”মেহমানের” সফর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষের কাছে শিয়াদের বিষয় স্পষ্ট নয়। তারা শিয়াদের একটি মাজহাব হিসেবেই মনে করে।

এর অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন বাংলাদেশে শিয়া জনগোষ্ঠীর মানুষ কম থাকা, ইরানী বিপ্লব, রেডিও তেহরান কেন্দ্রিক ইরানী মিডিয়ার প্রভাব ও ইরানী দূতাবাসের ”দাওয়াতী” কার্যক্রম।

(এক)
ইরানী বিপ্লবের পর আমাদের দেশের ইসলামপন্থী নেতৃত্বের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শিয়াদের বিষয়ে সফট কর্নার দেখিয়ে ইরানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে। এই নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছিলো। তখন থেকে বাংলাদেশের একাধিক ইসলামী রাজনৈতিক দল ইরানকে ”আকিদাগত মতপার্থক্যের” বাহিরে রেখে ইসলামি বিপ্লবের আইডল হিসেবে প্রাধান্য দিত!

আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞ আলেম-উলামারাও ইরানের বিপ্লবকে শিয়াদের বিপ্লব হিসেবে না দেখে ইসলামের বিপ্লব হিসেবে দেখলেন।

তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে আফগানিস্তানে যুদ্ধ, ইরাকে হামলা ও সিরিয়া-ইয়েমেনের ধ্বংসের পর। আফগান যুদ্ধে হামলাকারীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলো এই ইরানীরা। ইরাক যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রীতিমত সুন্নি মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে ইরানীরা। রক্তপিপাসু বাসার আল আসাদের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ায় ইতিহাসের নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এই ইরানীরা। তাদের হস্তক্ষেপের কারণে ইয়েমেন ধ্বংসের মুখে। যদিও ইয়েমেনে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সৌদি ও আমিরাতী রাজপরিবারগুলো।

উল্লেখিত প্রত্যেকটি ঘটনায় ইরান মুসলিম রাষ্ট্র নয় শিয়া রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। সুন্নি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করতে কথিত ”চিরশত্রুকেও” সহযোগিতা করেছে।

(দুই)
বাংলাদেশের মূল ধারার মিডিয়া ইসলামী বিশ্বের খবর এড়িয়ে চলে। যে কয়েকটা মিডিয়া মুসলিম বিশ্বকে গুরুত্ব দেয়, এদের অনেকে সূত্র হিসেবে নির্ভর করে রেডিও তেহরান বা পার্স টুডের ওপর। এর অন্যতম কারণ রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ বেশ একটিভ। বিশেষ করে কাশ্মীর-ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা মজলুমদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে থাকে।

তবে একই সাথে তারা সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও ইয়েমেন ইস্যুতে নিজ ধর্ম ও আকিদার পক্ষে অবস্থান নিয়ে জালিমদের সহযোগিতা করে।

মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে আমাকে বেশকিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে কাসেম সোলেমানীর মৃত্যুর পর ইনসাফে প্রকাশিত কিছু নিউজ নিয়ে আমাকে নানা রকম প্রশ্ন করা হয়েছে। সিরিয়া-ইরাকের গণহত্যার অন্যতম মহানায়ক কাসেম সোলেমানীকে এই দেশের মানুষের সামনে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যখন এর বিপক্ষে আমরা অবস্থান নিয়ে বাস্তবটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, তখন এক শ্রেণীর কথিত উদারবাদীগণ আমাদের নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠেছিলো।

(তিন)
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ইরানী দূতাবাসের কথিত ”দাওয়াতী কার্যক্রম” পরিচালিত হয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে তারা ছাত্রদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, মাঝে মধ্যে ওয়ার্কশপ করায়, বই পড়তে দেওয়া হয় ইত্যাদি। ইতোমধ্যে তারা সফলতাও পেয়েছে। তাদের চিন্তায় প্রভাবিত তরুণের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। অনেকে শিয়াদের আকিদাকে সমর্থন করছেন। আর কেউ বা তাদের আকিদাকে মাজহাব হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। এসব কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন আমাদের মধ্য থেকেই কিছু মানুষ।

(চার)
এবার আসি মূল কথায়। এবারের ইরানী স্কলারের মাদরাসা সফর আমার দৃষ্টিতে আহামরি কোন সমস্যা নয়। একজন বিদেশী ভিন্ন ধর্মী স্কলার আমাদের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এই নিয়ে অতি মাতামাতির কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত পাকিস্তানেও শিয়াদের সাথে সমন্বয় করে চলে থাকেন দেওবন্দী আলেম-উলামারা।

পাকিস্তানে একটি রাজনৈতিক জোট আছে। নাম মুত্তাহিদা মজলিশে আমাল। এটি ২০০২ সালে গঠিত হয়েছিল। এর বর্তমান সভাপতি জমিয়তের মাওলানা ফজলুর রহমান। এই জোটে জামায়াতে ইসলামী যেমন আছে, তেমনি শিয়াদের দল তেহরিকে জাফরিয়াও আছে। গত নির্বাচনেও জোটগতভাবে ভোট করেছে এই দলগুলো।

পাকিস্তানের সম্মেলিত মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ”ইত্তেহাদ-এ-তানজিমাত মাদারিস পাকিস্তান”। এই বোর্ডের বর্তমান সভাপতি মুফতী তাক্বী উসমানী। আর সেক্রেটারি রেজভী আকিদার মুফতী মুনিবুর রহমান। মোট ৬টি বোর্ডের সমন্বয়ে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ছয়টি বোর্ড হচ্ছে, কওমীদের বেফাকুল মাদারিস, রেজভীদের তানজিমুল মাদারিস, আহলে হাদিসদের বেফাকুল মাদারিস সালাফিয়্যা, শিয়াদের বেফাকুল মাদারিস আল শিয়া ও রাবতাতুল মাদারিস।

পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রে, যেখানে শিয়াদের হাতে অসংখ্য বিশিষ্ট আলেমদের প্রান দিতে হয়েছে, সেখানে যদি শিয়াদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট ও সরকার গঠন করা যায়, শিক্ষা বোর্ড পরিচালনা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে একজন শিয়া আলেমের মাদরাসা সফর নিয়ে বিতর্ক করার কি আছে!

তবে অবশ্যই শিয়াদের শিয়া হিসেবেই দেখতে হবে। তাদের চার মাজহাবের মতো আরো একটি মাজহাব হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। তারা শুরু থেকেই নিজেদের আলাদা করে রেখেছে। তারা মুসলিম বিশ্বের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে জন্মলগ্ন থেকেই। সাফাভী থেকে হাসান সাবা, তাদের ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকতার।

#ইনসাফসম্পাদকেরকথা

আমি রোজ দুবেলা কোরআন পড়ি : শামীম ওসমান

0

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলকে (স.) পেতে হলে কিছু সোর্স লাগে। সব বান্দা যদি সমান হতো তাহলে তো দুনিয়া বেহেশত হয়ে যেত, কিন্তু সব বান্দা তো সমান নয়। কিছু পরশ পাথর লাগে। যে পাথরের ঘষায় আমরা নিজেদের পবিত্র করতে পারি। ইসলামকে জঙ্গিবাদ বানিয়ে দেওয়া হয়, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। এমনকি কোনো ধর্মেই নেই।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাকের পার্টির বিশ্ব ফাতেহা দিবস-২০২২ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের কেন্দ্রীয় মিশন সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, কোনো ধর্মই খারাপ কিছু সমর্থন করে না। ইসলাম হল শান্তির ধর্ম। আর শান্তির বিধান হল কোরআন। আমি কোরআন পড়ি রোজ দুবেলা। কোরআনে স্পষ্ট লেখা আছে, কেউ যদি একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল, তাহলে সে সমস্ত মানুষকে হত্যা করল। আর কেউ যদি একজন মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করল। মানুষ বলা হয়েছে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান বলা হয়নি। বলা হয়েছে যেই এলাকায় মুসলিম বেশি থাকবে, সেই এলাকায় যদি কোনো বিধর্মী থাকে তবে তাদের দেখে রাখতে।

তিনি আরও বলেন, বেশি কিছু লাগে না, আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর বিদায় হজের ভাষণটিই যথেষ্ট। অল্প সময়ের সেই ভাষণে সারা পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান তিনি দিয়ে দিয়েছেন। সাদা আর কালার (বর্ণবাদ) মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, কেউ কারও ওপর প্রভুত্ব করতে পারবে না, নারী ও পুরুষে কোনো পার্থক্য নেই। নারীর পুরুষের ওপর যেমন অধিকার আছে, তেমনি পুরুষের ওপর নারীর অধিকার আছে। শ্রমিকের মাথার ঘাম পায়ে পড়ার আগেই তার মূল্য পরিশোধ করো, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে শেষ হয়ে যাবে। এ রকম বেশ কিছু পয়েন্ট তিনি উল্লেখ করেছেন।

উপস্থিত সকলের কাছে দু’আ চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, পৃথিবীতে একটা সত্য সকলের সঙ্গেই ঘটবে, সেটা হল মৃত্যু। আপনাকে আমাকে একদিন মরতে হবে ভাই, মরতে হবেই হবে। ওই কবর খোঁড়া হবে, মাটি চাপা দেওয়া হবে। সবাই বলবে দ্রুত মাটি চাপা দেন এবং খুব দ্রুত মাটি চাপা দেওয়া হবে। জবাব কী দিব? আপনি যদি আপনার জবাব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তো বেশ। আমি আমার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। আমি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের সালাতের পর দুই রাকাত শুকরান সালাত আদায় করি, কারণ আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। জেনে না জেনে করা পাপের জন্য দুই রাকাত তওবার সালাতও আদায় করি। কেন, কারণ সকাল বেলায় ঘুম থেকে আমি নাও উঠতে পারি।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম শক্তির ধর্ম না, শান্তির ধর্ম। আমার আচার-আচরণ ও চাল-চলনে সন্তুষ্ট হয়ে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করবে, গায়ের জোরে না। কিন্তু আমরা কেন যেন ধর্মকে নষ্ট করে ফেলছি। ২০০১ এর পরে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম, দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতাম। পকেটে পয়সাকড়ি নেই। তবে যাদের কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম তাদের প্রতি আমার কোনো আক্ষেপ নেই। বরং তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি। তাদের জন্যই আমার জীবন বদলে গেছে। একদিন গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার সাথে কথা হচ্ছিল ফোনে, অনেক উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলছিলাম। আপা আমাকে বললেন, তুমি কি হতাশ হয়ে গেছো? হতাশ হলে নবী হজরত মোহাম্মদ (স.) এর জীবনী পড়। আল্লাহর রসুলকে যদি দুনিয়াতে এত কষ্ট করতে হয়, তুমি আর আমি কে? সেদিনের সেই কথায় জীবন বদলে গেছে।

দেশকে শকুনদের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই : শামীম ওসমান

0

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আসুন সবাই এক হই। এক হয়ে মাঠে নামি প্রমাণ করি-এই নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর নারায়ণগঞ্জ ছিল আছে থাকবে। আসুন আমরা প্রমাণ করি নেত্রীর উপর আঘাত আসলে আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বো। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের উপরে কোনো শক্তি নাই।

শনিবার (২০ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।

এ সময় শামীম ওসমান বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচনে হবে সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। এর আগে কিছু আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটা মোকাবেলা করতে হবে।

আগামী ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২৭ তারিখ সমাবেশ হবে। নারায়ণগঞ্জের সব স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকদের এক মঞ্চে চাই। মঞ্চে উনারা বক্তব্য দিবেন আমি নিচে দাঁড়িয়ে কর্মীদের মতো স্লোগান দিব। আমি কর্মী হয়ে স্লোগান দিতে চাই, নেতা হয়ে মঞ্চে বক্তব্য দিতে চাই না। আমি বাংলাদেশকে শকুনদের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই। আমি শেখ হাসিনাকে বলতে চাই আপনার উপর আঘাত আসলে এ নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, কার লোক কে, আমার বেশি তোমার কম এটা দেখাবেন না। সামনে লড়াই করতে হবে। আর বিভেদ করার সময় নেই, এক হয়ে লড়তে হবে। এলাকায় এলাকায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের সবাইকে ডাকতে হবে শুধু আওয়ামী লীগ না। সবাই মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ব্যাপকভাবে যাবেন। আমি যদি নাও থাকি এ মিটিং হবে। কারণ দেশ বাঁচানোটা প্রথম কাজ।

‘বিএনপির অনেক নেতা এখনো আওয়ামী লীগে যোগদানের অপেক্ষায় আছে’

0

বিএনপির অনেক নেতা এখনো আওয়ামী লীগে যোগদান করার জন্য অপেক্ষা করে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দরজা খুলে দিলে টের পাবেন বিএনপি থেকে কত নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করতে লম্বা লাইন ধরে আছে। দরজা খুলে দিলে তখন টের পাবেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়াম জাতীয় শোক দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে যখন আটক ছিলেন এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে কবর খুরে রাখা হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার লাশটা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও, কত ভালোবাসা ছিল এদেশের মানুষ প্রতি। সেই নেতার (বঙ্গবন্ধু) হত্যা পরে সমাধিতে ফুল দিতেও পারিনি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুকালে আমরা যে ডাক (এক সঙ্গে আন্দোলন করবো) দিতে,ব্যর্থ হয়েছি এই আক্ষেপ সারাজীবন থেকে যাবে।

তিনি বলেন, ১৭৫৭ সালের পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাকতা ছিল সর্বকালের সেরা বিশ্বাসঘাকতা। বিশ্বের সবচেয়ে নিঃস্বতম হত্যাকাণ্ড ছিল ১৫ আগস্ট।

রাশিয়ার প্রতিটি হামলার প্রতিশোধ নেবে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

0

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশে রাশিয়ার প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে।

শনিবার (২০ আগস্ট) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা একটি হামলারও জবাব না দিয়ে থামবো না। আমরা প্রত্যেক দখলদারকে তাদের কর্মকাণ্ডের জবাব দেব। আমরা তাদের সবাইকে কোনো না কোনোভাবে বিচারের আওতায় আনব। কোনো খুনি লুকিয়ে থাকতে পারবে না। আমি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবো।

এদিকে শস্যবোঝাই আরও দুই জাহাজ ইউক্রেন ছেড়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৬ হাজার ৩শ টন সূর্যমুখী তেল এবং ২৫ হাজার টন গম নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে জুমরাত আনা এবং এমভি ওসেন এস নামের দুটি জাহাজ। খবর বিবিসির।

দুদিন আগেই অপর একটি জাহাজ ইউক্রেনের চরনোমোরস্ক বন্দর ছেড়েছে। ফলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৭টি শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে গেছে। কিন্তু জুমরাত আনা এবং এমভি ওসেন এস জাহাজ দুটি কোন দেশের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

0

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৬ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং একই সময়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৬ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৬ জন এবং ঢাকার বাহিরে সারাদেশে ২০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট ৪৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৬৪ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট চার হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট তিন হাজার ৬১৮ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৭২৬ জন।

বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত তালেবানি চক্র : ইনু

0

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, শুধু বিএনপিই নয়; জামায়াত-হেফাজত তালেবানি চক্র। এ দুই চক্রের মিলনে দেশে তালেবানি শাসন কায়েম ও অস্বাভাবিক একটি সরকার তৈরির পাঁয়তারা চলছে, যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের জনগণের যাপিত জীবনকে পুঁজি করে তারা ঘোলা পানিতে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত।

শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জাসদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দেশের সংবিধান বিচারবহির্ভূত হত্যা স্বীকার করে না। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল যে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে সরকারও সেই পক্ষে। এসব বিষয় পুঁজি করে যারা সরকার অদলবদলের স্বপ্ন দেখছেন, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।

বরিশাল জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হাই মাহাবুবের সভাপতিত্বে জাসদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, জাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য হাসানুল কবির বাদল, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ অন্য নেতারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না : জিএম কাদের

0

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

তিনি বলেন, এমন বক্তব্যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো-কোটি টাকা পাচার হচ্ছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে, সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কিন্তু এখন দেশে চলছে, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। এখন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না, এখন মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্যদেশে যাচ্ছে সবাই।

জিএম কাদের বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে হাস্যকর হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে সারাবিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যেবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আবার প্রতিনিধি পছন্দ না হলে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন করার অধিকার চায়। প্রজাতন্ত্র মানে দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের। দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের না থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কখনোই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিম চন্দ্র ভৌমিক, সুব্রত চৌধুরী, জে এল ভৌমিক, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, নকুল চন্দ্র সাহা, সুমন কুমার রায় প্রমুখ।