Home Blog Page 4549

ইনসাফ সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে | রাবেতাতুল উম্মাহ বাংলাদেশ

0

ইনসাফের ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরাজনৈতিক ও আর্তসামাজিক সংগঠন রাবেতাতুল উম্মাহ বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের মাঝে যে কাজের চিন্তা ছিলো না। সে কাজটিই প্রথম শুরু করলেন সম্পাদক সাইয়্যেদ মাইফুজ খন্দকার। যদিও কাজটি ছিলো অনেক কঠিন ও কন্টকাকীর্ণ তবু মাহফুজ ভাই সাহস ও উদ্দীপনায় একঝাক নবীন ও তরুনদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনসাফের আরেকটি ব্যতিক্রম আয়োজন ছিল ইনসাফ শো।

ইনসাফ অতীতের ন্যায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে আগামী দিনেও ভূমিকা রাখবে এটা জাতির প্রত্যাশা। ইনসাফ এর সহযোগিতায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।

আগামীর পথচলা আরও দীপ্তিময় ও বর্ণাঢ্য হোক

0

আলী হাসান তৈয়ব | আলেম সাংবাদিক


ইসলামী তথা কওমী ঘরানার প্রথম দিককার এবং প্রথম স্থানীয় পূর্ণাঙ্গ অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের অর্থযুগ পূর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাই। আমি পত্রিকার উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও দীর্ঘ অধিষ্ঠান কামনা করি। পত্রিকাটির আগামীর পথচলা আরও দীপ্তিময় ও বর্ণাঢ্য হোক।

এ এক্ষেত্রে আমার কিছু প্রস্তাবনা :
১– পত্রিকাটিকে সার্বিকভাবে আরো পেশাদারি ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন হতে হবে।

২– সংবাদগুলো বিশেষত লিড নিউজগুলোর পরিধি ও আকার আরেকটু বড় করতে হবে।

৩– সংবাদ বিশ্লেষণের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৪– প্রতিবেদক ও চৌকস অনুবাদকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

৫– পাঠক অভিমত ও নানান রকমের প্রতিযোগিতা ও ব্লগ আইটেমের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

৬– বানান নিখুঁত করার জন্য দক্ষ ভাষাসম্পাদক ও প্রুফ রিডার পার্মানেন্টলি নিয়োগ দিতে হবে।

৭– সাক্ষাতকার ও বার্নিং ইস্যুগুলোতে শীর্ষ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত-মতামত আরো বাড়াতে হবে।

৮– আলেম-উলামা ও ইসলামে ঘরে না বাইরে সাধারণ পাঠককে নানা সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করতে হবে।

৯– ডেস্ক বাড়িয়ে তার জন্য পর্যাপ্ত সাব-এডিটর নিয়োগ দিতে হবে।

১০– বিজ্ঞাপন ও আয় বৃদ্ধির নানা পথ খুঁজে বের করতে হবে।

ইনসাফ সংবাদমাধ্যমগুলোর অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকুক

0

সরোয়ার আলম | প্রধান সংবাদ সমন্বয়ক, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল, আনাদোলু এজেন্সি, তুরস্ক


ইন্টারনেটের এই যুগে যখন ভুয়া সংবাদ আর মিথ্যা তথ্যের মাঝে সত্যটা খুঁজে পাওয়া কঠিন ঠিক সেই মুহূর্তে স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে বরং বাংলাদেশের অনলাইন সংবাদ জগতের একটা গুরুত্বপূর্ণ অভাব পূরণ করতে যাত্রা শুরু করেছিল ইনসাফ।

স্রোতের বিপরীতে পথচলা চাট্টিখানি কথা নয়। যখন চাঞ্চল্যকর খবর লুফে নিয়ে অনলাইনে পাঠক বৃদ্ধির হিড়িক পড়েছিল সেই সময়ে শালীন, বস্তুনিষ্ঠ, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির একেবারে ভিতর থেকে তথ্য -উপাত্ত্ব দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন ও প্রচার বড় চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। এই কাজটিতেই এখনো পর্যন্ত সফল ইনসাফ।

অনলাইন পত্রিকাটি আরো অনেকদূর এগিয়ে যাক। স্রোতের বিপরীতে চলার যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে, সে যাত্রা আরো অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকুক অনেক বছর। ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অনেক শুভকামনা রইল।

ইনসাফ নামই যথেষ্ট

0

মুসা আল হাফিজ | কবি ও সাহিত্যিক


‘ইনসাফ’, এ নামই যথেষ্ট। আর কোনো স্লোগানের দরকার নেই। এ নামে নিহিত অঙ্গীকার ও দায় একটি পত্রিকাকে যদি শাসন করে, সে সত্য ও তথ্যের সুষম সমন্বয় ঘটাতে বাধ্য। ইনসাফ নিজের শব্দ ও শিরোনামে, বর্ণনা ও বিশ্লেষণে ইনসাফের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার চেষ্টা করেছে। ফলত সে ইয়েলো জার্নালিজমের (হলুদ সাংবাদিকতা) কাছে প্রতারিত হয়নি। পাঠককেও সপে দেয়নি নিজেদের মনোমতো রংচড়ানো সংবাদ ও সাংবাদিকতার হাতে। এর মানে সাংবাদিকতার সততার প্রতি সে ছিলো আন্তরিক।

‘সততা ও আন্তরিকতা’ এ দুই প্রত্যয় আজ খুবই উপেক্ষিত হচ্ছে। সাংবাদিকতা এখন প্রতিপত্তিশীল রাঘববোয়াল আর পুঁজিপতিদের স্বার্থের গোলামীতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ মাত্রা বেড়েই চলছে কেবল। ফলে পুঁজিবাদী শোষণ ও কালোটাকার মালিকের ভূড়ি বা স্বার্থের পাহারাদারিতে খুবই সতর্ক থাকছে মিডিয়া। জনতার সত্য ও তথ্য লাভের অধিকার তার কাছে মৌলিক গুরুত্ব হারাচ্ছে। দেশ ও জাতির প্রতি সত্যিকার অঙ্গীকার ও দায়বোধের অভাব থাকায় তাদের পরিবেশিত সংবাদ ও বিশ্লেষণ দেশ ও জাতিকে যতোটা পথ দেখায়, তার চেয়ে বেশি পথ ভোলায়। ইনসাফ এই গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

আগে বলা হতো, সংবাদমাধ্যম গণমতের প্রতিফলন ঘটায়। এখন কিন্তু সংবাদমাধ্যম গণমত তৈরীও করে। ফলে উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডার অভিযোগে বহু সংবাদমাধ্যম কলুষিত। দেশি, বিদেশী বিভিন্ন গণবিরোধী শক্তির বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্দেশ্য হাসিলের অনুকূলে তারা মানুষের মন-মানসিকতাকে প্রস্তুত করার কাজ করে। ভোগবাদ, পর্নোসংস্কৃতি, বস্তুবাদ, পুঁজিবাদ ইত্যাদির খেদমত তারা করে চলে। অনেকেই নানা উপায়ে ইসলামোফোবিয়া ছড়াতে থাকে। একটি মুসলিমপ্রধান জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দেয়ার কাজে তারা থাকে মগ্ন। এ রকম সংবাদ মাধ্যমের দৌরাত্ম্য বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রকট। এই পরিস্থিতিতে ইনসাফ কাজ করে চলছে। দেশ ও জাতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থেকে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে তার এই পথচলা বেগবান হোক আরো, প্রসারিত হোক আরো।

আদর্শিক লড়াইয়ে অবিচল থেকে অর্ধযুগ অতিক্রম করল ইনসাফ

0

মাহমুদ হাসান সিরাজী | পরিচালক : মাদরাসা হজরত উসমান ইবনে আফফান


গভীরভাবে লক্ষ্য করে আসছি যে, সুচনার শুরু লগ্ন থেকে অদ্যবদি ইনসাফ তার আদর্শে অটল ও অবিচল থেকে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্ধযুগ সময়টা একেবারে কম নয়। উল্লেখ করার মত একটা সময়। দীর্ঘ এ সময়ে অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। হতে হয়েছে অনেকের বিরাগভাজন। তবে হাজারো সমস্যা আর প্রতিকূলতা সত্বেও কখনো পিছপা হতে দেখিনি।

পল্টনের মত কমার্শিয়াল এমন একটা এড়িয়ায় মোটামুটি সাইজের একটা অফিস আর কর্মীদেরকে নিয়ে এভাবে টিকে থাকা অনেক কঠিন। কিন্তু ইনসাফ সে কঠিন কাজটা করতে পেরেছে। সামনের রাস্তা হয়তো আরো কঠিন হবে। আশা করি সে পরিস্থিতিও মোকাবেলা করে পত্রিকাটি এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী মিডিয়াটা আমাদের জন্য কতটা জরুরী ছিল তা অনেক আগে উপলব্ধি করতে পারলেও ২০১৩ সালটা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেলো। নিজেদের মিডিয়া না থাকলে কতটা তথ্য সন্ত্রাসের স্বিকার হতে হয় রক্তাক্ত শাপলার পর তা আমাদের মুরুব্বীরা বুঝতে পারলেন।

২০১৪ সালে সে রক্তাক্ত দিবসে শুহাদায়ে শাপলার নীতি আর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ইনসাফের আত্মপ্রকাশ হয়ে ছিল। এরপর থেকে প্রতিটি আদর্শিক লড়াইয়ে ইনসাফ তার জানান দিয়ে যাচ্ছে।

উম্মাহর দরদ, ই’ লায়ে কালিমাতুল্লাহর অবিক্রীত অর্থ, দীনের মানহাজ অনুযায়ী সংবাদ প্রচার, ইনসাফ এ যতটুকু পেয়েছি তা সর্বমহলে যেমন প্রশংসার দাবী রাখে তেমনি পরবর্তী অনুজতূল্য পত্রিকাগুলোর জন্যও অনুকরণীয় হওয়ার মান রাখে।

ইনসাফের অর্ধযুগ পুর্তিতে আশা করি, ইনসাফ তার নীতি ও আদর্শের জায়গায় অটল থেকে দীন, দশ ও দেশের কল্যাণে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সামনের কণ্টকাকীর্ণ পথকে মসৃন করে এ দেশে ইসলামী মিডিয়ার জায়গাটা প্রসস্থ করে দিবে ইনশাআল্লাহ।

ইনসাফ দেশ ও ইসলামের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে | বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ইনসাফ-এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপদেষ্টা, সম্পাদক, শুভাকাঙ্খী ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

শুভেচ্ছা বানীতে নেতৃদ্বয় বলেন, এক সময় ইসলামী দলগুলোর নিউজ দেওয়ার মতো এমন কোনো অনলাইন পত্রিকা ছিলো না। যার কারণে ইসলামী তৎপরতাগুলো চোখ অন্তরালে থেকে যেতো। আলহামদুলিল্লাহ এখন দেশ ও ইসলামী তৎপরতা জাতির সামনে উপস্থাপনে বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা কাজ করছে। তার মধ্যে প্রথম অনলাইন প্রত্রিকা ইনসাফ দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে সম্পাদক সাইয়্যেদ মাহফুজ খন্দকারের নেতৃত্বে একঝাক তরুন, নবীন লেখক ও সাংবাদিক নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তাদের এ ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।

নেতৃদ্বয় বলেন, হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে ইনসাফ দেশ ও ইসলামের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে এবং সত্য প্রকাশে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা ইনসাফের এ অগ্রযাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি কামনা করি।

ইনসাফ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে

0

ইয়াছার সৌরভ | কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, চট্রগ্রাম


অর্ধযুুগ পেরিয়েছে বাংলাদেশে ইসলামি ঘরানার প্রথম অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা ইনসাফ।আমি শুরু থেকে এই নিউজ পোর্টালকে অনুসরণ করি। অর্থাৎ যেদিন আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী (হাফি.) এটির উদ্বোধন করেছিলেন।

সময়ের প্রয়োজনে ইনসাফ এর পথচলা শুরু হয়েছিল।২০১৩ সালের শাপলা ট্রাজেডির পর যখন চারদিক থেকে মিডিয়াকে ব্যাবহার করে উলামায়ে কেরামের ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অর্ধসত্য সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনগনকে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছিল তখন ইনসাফের জন্ম।যেই মিশন এবং ভিশন নিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটা সামনে রেখে ইনসাফ পরিবার কাজ করে যাচ্ছে। তাইতো আজ ইনসাফ বাংলাদেশের ধর্মপ্রিয় সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।আশাকরি, ইনসাফ এর এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

আমি ইনসাফের সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব মাহাফুজ খন্দকার, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ,সাংবাদিক, কলাকৌশলি সহ ইনসাফ পরিবারের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইনসাফের সাফল্তা কামনা করছি।

ইনসাফ আমাদের চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করেছে

0

সুলতান মাহমুদ বিন সিরাজ


একটা সময় ছিলো যখন দেখতাম বামপন্থী বা পশ্চিমা মিডিয়াগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। মানুষের সামনে ইসলামকে বাজেভাবে উপস্থাপন করছে। কিন্তু ইসলামী কোনো মিডিয়া না থাকায় তাদের সাথে মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। তখন আফসোস করে বলতাম, হায় আমাদের কোনো মিডিয়া নেই! আজ যদি আমাদের অঙ্গনে ইসলামী সাংবাদিকতার চর্চা থাকতো, তাহলে ঐ তাগুতের গোষ্ঠীকে আমরা লিখনির মাধ্যমে পরাজিত করতাম! এ চিন্তা সবসময় মাথায় ঘুরপাক খেতো। অপেক্ষা করতাম, কেউ কি আসছে ইসলামী মিডিয়া শক্তি নিয়ে? কেউ কি শুনছে আমাদের হৃদয়ের কাকুতি?

আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর কেটে ঘোর অমানিশায় উদিত হলো নতুন এক সূর্য। সম্ভাবনাময় একটি নাম ইনসাফ। আমরা আশাবাদী হলাম। বিগত ছয় বছর থেকে ইনসাফ আমাদের চাওয়াকে পাওয়ায় পরিণত করেছে। আমাদের অপূর্ণতাকে পূর্ণ করে দিয়েছে। ইনসাফ এখন ইসলামী অঙ্গনের একটি আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা। আমরা বুক উঁচিয়ে বলতে পারি, আমাদেরও এখন মিডিয়া আছে।

আমরা দেখেছি, ইনসাফ আত্মপ্রকাশের পর থেকে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর সৃজনশীল কাজে পাঠকমহল মুগ্ধ। ইনসাফ এদেশের তৌহিদী জনতার একটি বিপ্লবী চেতনার নাম।

ইনসাফের সবচে’ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ‘ইনসাফ শো’ সবার মতো আমাদেরও প্রভাবিত করেছে। দেশের বড় বড় ওলামায়ে কেরাম এতে অংশগ্রহণ করেন। আমরা অনুপ্রাণিত হই।

ইনসাফ এর সবচে’ ভালো দিক হলো, সে তার আদর্শিক অবস্থানে অটল। কোনো কিছুর কাছে বিক্রি হয়নি। ইসলামী মিডিয়ার আইডল ইনসাফের ছয় বছরের অর্জনে আমরা মোবারকবাদ জানাই।
ইনসাফ এগিয়ে যাক লক্ষপানে। আলো ছড়াক হৃদয়ে হৃদয়ে। ইসলামী বিপ্লব ঘটাক লিখনির মাধ্যমে। দু’আ ও শুভ কামনা সবসময়।

ইনসাফ মিডিয়ার অঙ্গনে নতুন চেতনার সঞ্চার করেছে

0

রাশেদ আব্দুল্লাহ | শিক্ষার্থী : জামিয়া শারইয়্যাহ, মালিবাগ, ঢাকা


বাংলাদেশে প্রথম ইসলামি নিউজ পোর্টাল হিসেবে ইনসাফ-এর আবির্ভাব হয়। ইতিমধ্যে অর্ধযুগ অতিক্রম করেছে ইনসাফ। ইনিসাফ-এর আবির্ভাব অন্যকোনো নিউজ পোর্টালের ন্যায় ছিল না। ২০১৪ এর ৫মে তে ৫মে,২০১৩এর চেতনা বুকে ধারণ করেই ইনসাফের সূচনা।

যুগ যুগ ধরে এ দেশের মিডিয়া ইসলাম ও আলেমসমাজকে ঘিরে যে কোন ইস্যুতে মুসলিম সমাজকে হতাশ করেছে। বিভ্রান্ত করেছে সাধারণ মানুষকে। সেক্যুলার মিডিয়ার প্রতারণা ও প্রোপাগাণ্ডায় জর্জরিত হয়েছে নবীপ্রেমীরা।

আলহামদুলিল্লাহ, ইনসাফের আবির্ভাব সেই স্রোতের মুখে ভিন্ন চেতনার সঞ্চার করেছে। গণমানুষের ভালোবাসার ডানায় ভর করে শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ছয় বছরের মাথায় সফলতার মাইলফলকে পৌঁছেছে।

মাদরাসার ছাত্র হিসেবে ইসলাম নিয়ে হলুদ মিডিয়ার বিভ্রান্তি সবসময় ভীষণ ব্যথিত করত আমাকে। বিশেষতঃ ২০১৩ ও তার পরবর্তী ট্রাজেডি সমূহ। সে ব্যথা থেকে মিডিয়ার অঙ্গনে কাজ করার লক্ষ্য স্থির করি। স্বপ্ন লালন করি নতুন কিছু করার। পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বারংবার। তবে সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারের মতন তারুণ্য আমাদের স্বপ্নের পথ সুগম ও প্রশস্ত করেছেন। ইনসাফের সাফল্য আমাদেরকে করেছে আশ্বস্ত।

ইনসাফ হয়ে এদেশে আরও বহু ইসলামি নিউজ পোর্টাল জন্ম লাভ করেছে। ভবিষ্যতে আরও করবে। প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিকসহ সকল অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে ইসলামি মিডিয়া এবং ছাড়িয়ে যাবে সবাইকে। ইন শা আল্লাহ। এ সবকিছুর কৃতিত্ব ও নেতৃত্ব একক ইনসাফেরই প্রাপ্য। আগামীদিনে ইনসাফ-এর পথচলা সুগম ও স্বার্থক হোক, এই কামনা করি আল্লাহর কাছে।

ইনসাফ চেতনার বাতিঘর

0

মারুফ বিল্লাহ তাকী


ইনসাফ শব্দটির মাঝে লুকিয়ে আছে একটি চেতনা, অফুরন্ত আশা, দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা। অর্ধযুগ পেরিয়ে ইনসাফ পদার্পণ করলো সপ্তমবর্ষে। তিলে-তিলে গড়ে ওঠা এই ইনসাফ নিয়ে মনের মনিকোঠায় লুকিয়ে আছে অনেক কথা। জেগে উঠতে চেয়েছিল আবেগ, উচ্ছাস, ভালোবাসা ও ব্যথা। কিন্তু দমিয়ে রেখেছিলাম বহুদিন যাবত। ভাবছি, ইনসাফের অর্ধযুগ তো হলো। এবার নাহয় একটু মুখ খুলি? উম্মাহ’র নিকট মনের ব্যথাগুলো বলি?

পাঠক ভাবছেন হয়তো, ইনসাফ আবার কী ব্যথা দিলো আমায়। তারা তো মাশাআল্লাহ ভালোই কাজ করছে। অন্যদের তুলনায় দ্বীনি কার্যক্রমে সর্বাগ্রে। শত বাধা-বিপত্তির মাঝেও তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তবুও তাদের নিয়ে মুখ খোলার কী আছে?

আসলে ব্যথাটা ইনসাফকে নিয়ে নয়; ইনসাফের জন্য বরং গর্ব হয়। ব্যথাটা এজন্যই, কেন ইনসাফ আজ তিনযুগে পদার্পণ করলো না? কষ্ট লাগছে, কেন ইনসাফ নামে দৈনিক পত্রিকা হলো না? বিষন্নমনে ভাবছি, ইনসাফ নামে একটি দ্বীনি টেলিভিশনের মুখ কেন আজও দেখতে পারলাম না?

প্রশ্নগুলোর একটিই উত্তর- চিন্তার সীমাবদ্ধতা। চিন্তার যে সীমা অতিক্রম না করলে ইনসাফ নামক একটি মিডিয়া বিপ্লব ঘটতো না, মিডিয়ায় ইসলামি ঘরানার আশ্রয়স্থল জন্ম হতো না এবং স্বপক্ষীয় মিডিয়ার এই ভুবনেরও হয়তো দেখা মিলতো না। আমাদেরও উচিত চিন্তার এই সীমাবদ্ধতা তুলে, শরীয়তের আলোকে মুক্ত চিন্তা করা।

আলহামদুলিল্লাহ! ইনসাফ পেরেছে। তাদের সে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে মুসলিম উম্মাহ’র নতুন শক্তি সৃষ্টি হয়েছে, মিডিয়া দখলের নতুন স্বপ্ন জন্ম নিয়েছে মুমিন মনে, ডিজিটাল পৃথিবীতে সেকেলে থাকার মনমানসিকতায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে ইনসাফের কারণে এবং যুগোপযোগী চিন্তাভাবনা করার মতো কিছুটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জনমনে।

ইনসাফের এই সফল পথচলা আমাদের অনেককিছু শিখায়। তন্মধ্যে বিশেষভাবে আঙুল দিয়ে ইনসাফ দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের একগুঁয়ে চিন্তা বদলাতে হবে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বদলেছে তাই আমাদেরকেও নতুনভাবে সবকিছু ভাবা শিখতে হবে৷ ইনসাফ আমাদের আরো শিখায়, শরীয়তের গণ্ডীতে থেকেও কিভাবে আধুনিক হওয়া যায়, ডিজিটাল কার্যক্রমে হাত দেয়া যায় এবং কিভাবে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন্দুকের নিন্দায় পরোয়া না করে দ্বীনি কার্যক্রম চালানো যায়।

আসুন, ইনসাফ থেকে শিখি। ইনসাফের মতো করে ভাবি। ইনসাফের চেতনা সকলে লালন করলে, সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়; যেদিন এ দেশের মিডিয়া নয় কেবল পুরো দেশজুড়ে কালিমা খচিত বিজয়ী নিশান পতপত করে উড়বে৷ এরই সাথে ফিরে আসবে ইনসাফপূর্ণ জীবনব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ।

ইনসাফ! ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে। অজস্র ভালোবাসা তাদের জন্য, যারা ইনসাফ নামক একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং সেসব খাদিম, যারা এখনো নিঃস্বার্থ খিদমত করে যাচ্ছে। আপনারা ও ‘আমাদের ইনসাফ’ এগিয়ে যাক। আরো মসৃণ হোক পথচলা, এই কামনা।