Home Blog Page 88

বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জামায়াত

0

গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধনকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

সোমবার (২৬ মে) দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত রাত ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানার গুদারাঘাট এলাকায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধনকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয়। দেশের নাগরিকদের জানমাল রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি সরকার জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নিহত কামরুল আহসান সাধনের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

কোরবানি শেষে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

0

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিনদিন কোরবানি চলবে। প্রথম দিন প্রায় ৯০ শতাংশ গরু কোরবানি করা হয়ে যায়। এরপরও কিছু কিছু কোরবানি হয়। আমরা বলেছি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রশাসকরা আমাদের কথা দিয়েছেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’

সূত্র: বাসস

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিলের রায় আগামীকাল

0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে মঙ্গলবার রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এটিএম আজহারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ইনশাল্লাহ আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আশা করছি এ টি এম আজাহারুল ইসলাম আপিলের রায়ে খালাস পাবেন।

এর আগে গত ৮ মে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়।

বুধবার জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা; একশ’ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার আশা

0

আগামী বুধবার (২৮ মে) চার দিনের সরকারি সফরে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সফরকালে জাপানের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। টোকিওতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। সেখানে তিনি ২৯-৩০ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০ মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

সূত্রে থেকে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরকালে দেশটির সঙ্গে ৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিজনেস টু বিজনেস (ব্যবসায় পর্যায়ে) ২টি, এনার্জি খাতে ১টি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃপক্ষ-বিডার সঙ্গে ২টি, বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সহায়তা নিয়ে ২টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

জাপান সফর শেষে ৩১ মে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের।

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের দেশ মাল্টা

0

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ মাল্টা। ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত দক্ষিণ ইউরোপিয়ান দ্বীপ দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (২৬ মে) মাল্টা টুডে পত্রিকার বরাতে তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা আগামী মাসেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন গাজ্জায় চলমান মানবিক সংকটের ওপর।

গাজ্জায় ইসরাইলের লাগাতার বোমাবর্ষণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা বলেন, এই মানবিক ট্র্যাজেডির দিকে আমরা চোখ বন্ধ রাখতে পারি না, যা প্রতিদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মাল্টার নৈতিক দায়িত্ব এবং আগামী ২০ জুন এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পর এই স্বীকৃতি কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা আরও বলেন, তিনি বিশেষভাবে মর্মাহত হয়েছেন সেই ভয়াবহ ঘটনায়, যেখানে গাজ্জার দক্ষিণের খান ইউনূস শহরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের শিশু চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জারের ৯ সন্তান নিহত হয়েছেন। হামলায় ডাক্তারের স্বামীও গুরুতর আহত হন এবং এখন একমাত্র জীবিত সন্তান মা-বাবা, ভাইবোন হারিয়ে শোক বয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা জানান, মাল্টা সরকার ডা. আলা আল-নাজ্জার ও তার পরিবারকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, মাল্টা ইতোমধ্যে একটি ফিলিস্তিনি দূতাবাসকে স্বাগতম জানিয়েছে এবং গত বছরের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে এখনো দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।

দেশে কিছু হলেই বিএনপির দোষ দেয়: আমিনুল হক

0

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দেশে কিছু হলেই- ভালো হোক আর মন্দ হোক- বিএনপির দোষ বলে একটি গোষ্ঠী চালিয়ে দেয়। বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে। এ দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা- সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করে।

রোববার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসমসয়, নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়- এমন প্রশ্ন রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? এ দেশের মানুষ আপনাদের কাছে জানতে চায়। আমরাও জানতে চাই।

হজের নতুন খতিব শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ; অনুবাদ সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ২০ ভাষায়

0

চলতি বছরের হজের দিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় আদেশে তাকে এই নিয়োগ দেন।

রোববার (২৫ মে) সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।

পবিত্র কাবার ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা সিনিয়র স্কলারস কাউন্সিলের সদস্য। বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। গবেষক আলেম হিসেবেও তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩৫ বছর হজের খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আশ শায়খ। ২০১৬ সালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর নেন।

২০১৬ সালে হজের খুতবা দেন মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম ও খতিব ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস। এর পর থেকে প্রতিবছর একজন করে হজের খতিব নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরাফাতের ময়দানে দেওয়া হজের খুতবা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়। এবার বাংলাসহ ২০ ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হবে। ভাষাগুলো হলো- বাংলা, ফ্রেঞ্চ, মালয়, উর্দু, ফারসি, চাইনিজ, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, ১১, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইটালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো ও জার্মান।

যতদিন আছি নিশ্চিত থাকেন দেশের অনিষ্ট হবে এমন কোনও কাজ হবে না: ড. ইউনূস

0

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। আমি যতদিন আছি নিশ্চিত থাকেন দেশের অনিষ্ট হবে এমন কোনও কাজ হবে না।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। রাতে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়সমূহ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানেই এসব কথা জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর লিডাররা প্রফেসর ইউনূসকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংস্কার-বিচার-নির্বাচন এর জন্য যে কাজ শুরু করা হয়েছে তার প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। এ সকল কাজে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন।

প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে ড. ইউনূস বলেন, আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে যত রকমভাবে পারে চেষ্টা করছে দেশবিদেশের অনেকেই। এটা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বিভাজন থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি এটা যেন সামনের দিকে যায়। এ সময়, সবাই একসঙ্গে বসাতে তিনি মনে সাহস পেয়েছেন বলেও জানান।

নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৩০ জুনের পর কখনোই যাবে না। এতে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

প্রেস কনফারেন্সের শেষ পর্যায়ে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের তিনটি বড় কাজ হচ্ছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। প্রথমে সংস্কার করতে পারলে ইলেকশনের বিষয়ে সকলের আস্থা পাওয়া যাবে।

মাঝপথে ড. ইউনুসকে সরে না যাওয়ার আহ্বান ইসলামী দলগুলোর

0

পরিস্থিতি যেমনই হোক, সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝপথে প্রধান উপদেষ্টা যেন হাল না ছেড়ে দেন, এমন আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণকারী ইসলামী দলসমূহের নেতারা।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা শায়েখ সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসেন রাজী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। বিপদের সময় ধৈর্য ধরতে হয়। বিগত সরকারের আমলে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০০-এর বেশি মিথ্যা মামলা আগামী জুনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নারী সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ কোরআন-হাদিসের পরিপন্থী। এজন্য এমন কোনো সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিতর্ক তৈরি করছেন, প্রয়োজনে পরিষদ পুনর্গঠনের কথাও বলা হয়েছে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে মানুষের ব্যাপক অবদানের ফলে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কোনো কারণে যদি কাজের সুযোগ না দেয়া হয় এবং মাঝপথে ফেলে যাওয়া হয়, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না করলে আবারও পূর্বের মতো নির্বাচন কলঙ্কিত হবে। ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার করতে হবে এবং জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আগে যদি স্থানীয় নির্বাচন হয়, তবে আবারও কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার দেখা যাবে। আমরা সবাই দেশ গড়ার কাজে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

তিনি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, জুনের একদিন পরেও এই সরকার দায়িত্বে থাকবে না। একইসঙ্গে স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো ভেবেচিন্তে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রধান উপদেষ্টা যেন মাঝপথে হাল ছেড়ে না দেন, এ বিষয়ে আমরা তাকে অনুরোধ করেছি এবং তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তিনি জানিয়েছেন, জুনের পর এক ঘণ্টাও দায়িত্বে থাকবেন না। চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াটি কী পরিমাণে বাস্তবায়িত হবে, তা স্পষ্ট করতে হবে। বিগত আওয়ামী লীগ আমলের হত্যাকাণ্ডে দায়ী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।”

তিনি জানান, “মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে দেশবিরোধী কিছু হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেছেন। হেফাজতের মামলাগুলো প্রত্যাহারে তিনি সরাসরি তদারকি করবেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। নারী সংস্কার বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কিছু হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন। নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ চাওয়া হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ছাত্র উপদেষ্টাদের অপসারণ করতে হবে অথবা তাদের পদত্যাগে উৎসাহিত করতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে যিনি উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি তুলেছেন, সেটিও গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়া দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছি। মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোনো একতরফা সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা চাই, এই সরকারই নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন করুক।”

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে মৌলিক সংস্কার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে জাতিকে নির্বাচনের পথে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।”

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করেছি। সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে বলেছি। জুলাই আন্দোলনের বিচার দৃশ্যমান হওয়া উচিত। যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিবেচনা করতে বলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

সংস্কার-নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে ইসলামী আন্দোলনের

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম, বলেছেন, ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরিত্র বুঝতে হবে। এটা কেবলই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে গঠিত কোন অন্তবর্তী সরকার না। বরং অজস্র মানুষের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ উৎখাতের পরে মু্ক্তিকামী জনতার সরকার। নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের দায়িত্ব তবে তারও আগে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই মৌলিক কাজ সম্পন্ন করতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

আজ রবিবার (২৫ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বৈঠক পরবর্তী বিফ্রিংয়ে বলেছেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে আপনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন জয়-পরাজয় একসাথে হবে। রণে ভঙ্গ দেয়ার কোন সুযোগ নাই। ইনশাআল্লাহ আমরা সকলে মিলে এমটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারবো।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানকে কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

১. প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময়সীমার ওপরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আস্থা রাখে।

২. ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুততার সাথে তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।

৩. স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। কারণ, তাতেই সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে।

৪. বিতর্ক তৈরি করে এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও আলাপ আলোচনা করে নিলে অহেতুক ভুল বোঝাবোঝি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।