Home Blog Page 926

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জালিমের জুলুমকে প্রতিহত করতে হবে : জামায়াত

0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও নির্মমভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশকে জুলুমতন্ত্রে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক এদেশে জনগণকে এখন আর ভোট প্রদানের কোনো সুযোগই দেওয়া হয় না। এমতাবস্থায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জালিমের জুলুমকে প্রতিহত করতে হবে।

রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের বার্ষিক পরিকল্পনার ওরিয়েন্টেশন এবং থানা ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মুজিবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও নির্মমভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশকে জুলুমতন্ত্রে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক এদেশে জনগণকে এখন আর ভোট প্রদানের কোনো সুযোগই দেওয়া হয় না। দেশে গণতন্ত্র নির্বাসিত, জনগণের কথা বলার ন্যূনতম অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। এমতাবস্থায় দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াতের দায়িত্বশীলদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জালিমের জুলুমকে প্রতিহত করতে হবে। অবৈধ ও জালিম আওয়ামী সরকারকে প্রতিহত করতে হলে ঢাকার জনগণকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াত কাজ করে যাচ্ছে।

একইসঙ্গে জামায়াত সব সময় জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে জামায়াতকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আগামী দিনে যেকোনো নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে সকল বাঁধা উপক্ষো করে অগ্রসর হতে হবে। সেইসঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের সমাজের মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকে মানবতার সেবা করতে হবে।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চরম ইসলাম বিদ্বেষী দল। তারা যেমন তাদের দলের নাম থেকে মুসলিম ছেটে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষ সেজেছে, তেমনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও সাহিত্য সংস্কৃতি থেকেও ইসলামী নীতি-আদর্শ বাদ দিয়ে পৌত্তলিকতা সংযুক্ত করেছে। একইভাবে রাজনীতি থেকেও ইসলাম তথা আদর্শিক ভাবধারা নিশ্চিহ্ন করতে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জামায়াতের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের এমন অনৈতিকতার জবাব আমরা রাজপথে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই দিবো। জাতিকে দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত করেই ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ।

দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

শহীদ সালেহ আল-আরুরির দুই বোনকে ধরে নিয়ে গেল ইসরাইলি সেনারা

0

বর্বর ইসরাইলি সেনারা জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে হামাসের নিহত ডেপুটি প্রধান শহীদ সালেহ আল-আরুরির দুই বোনসহ বহু মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে। দখলদার সেনারা আজ ভোরে রামাল্লাসহ পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে হানা দিয়ে এসব ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে যায়।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা মাজরা’ আল-গারবিয়া, আরুরা ও বিরজিত শহরের পাশাপাশি জালাজোন শরণার্থী শিবিরে হানা দেয়। আজ ভোররাতে দখলদার সেনারা সাঁজোয়া যান ও সামরিক জিপে করে এসব শহরে ঢুকে পড়ে।

ইহুদিবাদী সেনারা বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ও সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা প্রচুর সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। আটকদের মধ্যে সালেহ আল-আরুরির বোন দালাল আল-আরুরি ও ফাতিমা আল-আরুরি রয়েছেন।

হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরিকে গত ২ জানুয়ারি লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দাহিয়া এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য ইজ্জাত আর-রিশক ওই হত্যাকাণ্ডকে কাপুরুষোচিত গুপ্তহত্যা বলে অভিহিত করেন।

শহীদ আরুরি হামাসের সিনিয়র পলিটব্যুরো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সামরিক দিকটি বেশি দেখাশুনা করতেন। এর আগে তিনি পশ্চিম তীরের যোদ্ধাদেরকে সশস্ত্র সংগ্রামে নামতে উদ্বুদ্ধ করেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইরের অভ্যন্তরে ঢুকে যে হামলা চালিয়েছিল তার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সালেহ আল-আরুরি।

পার্সটুডে

১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে সব সেনা সরাতে বলল মালদ্বীপ

0

মালদ্বীপ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে সব ভারতীয় সেনা সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।

গতকাল শনিবার চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পরপরই এ নির্দেশ দিলেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পাবলিক পলিসি সেক্রেটারি আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম বলেন, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা মালদ্বীপে অবস্থান করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ও তাঁর প্রশাসনের নীতি এটাই। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মালদ্বীপে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আজ রোববার ভারত ও মালদ্বীপের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

মালেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মালদ্বীপে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

নাজিম বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এর বিষয়বস্তু ছিল ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে ভারতকে অনুরোধ জানানো। এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ডামি সরকারের হাতে দেশের ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিরাপদ নয় : মুফতী ফয়জুল করীম

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম থেকে কৌশলে ইসলাম ও ইসলামী সংস্কৃতি বিদায় করে দেয়া হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে যৌন শিক্ষার নামে কোমলমতি শিশুদের ধ্বংসের পাঁয়তারা হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই ডিভাইস ব্যবহারের জন্য উদ্ধুদ্ধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিভাইসমুখি করে দিয়ে মেধা শূণ্যের ষড়যন্ত্র পাকাপোক্তভাবে করা হয়েছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে মেধাহীন ও ইসলাম শূণ্য জাতি সৃষ্টি হবে। এছাড়া পড়া বিমুখ হয়ে নাস্তিক্যতাবাদের দিকে ধাবিত হওয়া নিয়েও আতঙ্কিত অভিভাবকগণ। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এটি বাতিলের কোনো বিকল্প নেই। কারণ উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করলে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী এই শিক্ষানীতি ও সিলেবাস প্রত্যাখান করবে।

আজ (১৪ জানুয়ারি) রোবাবর বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্বের জামিয়া নগর শাখা আয়োজিত নবীন আলেম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি ছাত্রনেতা ইউসুফ পিয়াস, আলহাজ্ব এম.এইচ মোস্তফা, রফিকুল ইসলাম, শাওন সাব্বির, নোমান, তানভীর হোসাইন, ইউসুফ আহমদ।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, রিজার্ভ শূণ্যের কোঠায় চলে এসেছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশ দেউলিয়ার পথে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ফেলে দিয়েছে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘ডামি সরকার’ গঠন করে সরকার দেশকে একদলীয় বাকশালের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এখন সরকারের উচিত হবে দেশকে যা পঙ্গু করছে, সামনে আরো ভয়াবহ সংকটে ঠেলে না দিয়ে পদত্যাগ করে সমাধানের পথে আসবে। তিনি প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।

পুরো রাষ্ট্র আজ ডান্ডাবেড়িতে আবদ্ধ : মান্না

0

পুরো রাষ্ট্র আজ ডান্ডাবেড়িতে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিতে ছাত্রদল নেতাকে বাধ্য করার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুরো রাষ্ট্র আজ ডান্ডাবেড়িতে আবদ্ধ। শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতি করার অপরাধে পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তাকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে হলো। এমনকি বাবার কবরে মাটি দেওয়ার সময়ও দেওয়া হয়নি তাকে। শুধুমাত্র অবৈধ ক্ষমতার জন্য মানুষের সঙ্গে এই নিষ্ঠুরতা, এদেশের জনগণ কোনদিন ভুলে যাবে না। ঘৃণার যে বারুদ জমা হচ্ছে মানুষের মনে, তা যে কোনো দিন বিষ্ফোরিত হবে। সেই বিষ্ফোরণের স্ফুলিঙ্গে অবৈধ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার মসনদ পুড়ে ছাই হবে।

রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের উপর যে দমন, পীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে তা ইতিহাস ঘৃণাভরে স্মরণ রাখবে। একদিন প্রতিটি নিপীড়নের বিচার হবে, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।

প্রতিটি আঘাতের হিসাব হবে, প্রতিটি গুলির হিসাব হবে। সেই দিন খুব দূরে নয়। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবাকে শেষ বিদায় জানানো নাজমুল মৃধারাই এই আবদ্ধ রাষ্ট্রকে মুক্ত করবে।

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে ৪ হাজার ইসরাইলি সৈন্য বিকলাঙ্গ

0

গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে, অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে ৪ হাজার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সৈনিক বিকলাঙ্গ হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) হিব্রু সংবাদ ওয়েবসাইট ‘ওয়াল্লা’ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দীর্ঘ সংখ্যক বিকলাঙ্গ ইসরাইলি সৈন্যকে গ্রহণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০০ দিন পরে, প্রায় ৪ হাজার সৈন্য ইতিমধ্যে বিকলাঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই পরিসংখ্যানটি ৩০ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, “গত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা ইসরাইলকে যুদ্ধক্ষেত্রে টেনে নিয়ে যায়। তবে এত সংখ্যক হতাহত সৈনিকের সংখ্যা দেখেনি ইসরাইল। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তাদের জখমগুলো মারাত্মক।”

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আহত সৈন্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেনি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। কারণ তারা ভয় পায় এতে তাদের জনগণের মনোবল ভেঙে পড়তে পারে।”

ইসরাইলের বিকলাঙ্গ সৈনিকদের জন্য গঠিত ‘আইডিএফ ডিসএবল ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের’ চেয়ারম্যান এডান ক্লেইম্যান বলেন, “আমি গত ৩০ বছর ধরে এই সংগঠনে রয়েছি। কিন্তু এত বড় সংখ্যক আহত ব্যক্তির সম্মুখীন কখনো হইনি। এখানে প্রচুর আহত সৈনিক রয়েছে যাদের মধ্যে অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, কেউ অন্ধ হয়ে গেছে ও কেউ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছে।”

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘আজকের মতো গর্ব কখনো অনুভব করিনি’

0

গত ২৮ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে এনে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই মামলা করতে পেরে গর্ববোধ করছেন স্বয়ং দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এই মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের মতো গর্ভ কখনো অনুভব করিনি।’

রামাফোসা বলেন, গাজ্জায় গণহত্যা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে এই অভিযোগ জমা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে কিছু মানুষ সতর্ক করেছে। তারা বলছে, আমরা একটি ছোট দেশ, আমাদের অর্থনীতি অনেক ছোট, তারা আমাদের আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের নীতির দ্বারা এই পদক্ষেপের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকব। যেমনটি আমাদের গণতন্ত্রের জনক শিখিয়েছে, যতক্ষণ না ফিলিস্তিনিরা স্বাধীন হচ্ছে, ততদিন সত্যিকার অর্থে আমরা স্বাধীন হব না।

প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, “আমি আজকের মত গর্ব কখনো অনুভব করিনি, যখন আমি দেখি আমার দেশের আইনজীবীরা ‘হেগে’ আমাদের দায়ের করা মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে লড়ছে, যখন দেখি এই দেশের সন্তান রোন্যাল্ড লামোলা আদালতে আমাদের মামলা উপস্থাপন করছে।”

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

৫৩ শতাংশ ইসরাইলির বিশ্বাস হামাস এখনো পরাজিত হয়নি; ২২ শতাংশ বলছে ইসরাইল যুদ্ধে হেরে গেছে

0

অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে এখনও পর্যন্ত নির্মূল করতে পারেনি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলে মতামত দিয়েছেন দেশটির ৫৩ শতাংশ মানুষ। সেই সঙ্গে, ইতিমধ্যে তেল আবিব গাজ্জার যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে বলেও মনে করছেন ২২ শতাংশ ইসরাইলি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গাজ্জা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ১০০ দিনে প্রবেশ করেছে। এই উপলক্ষে ইসরাইলের জনপ্রিয় ‘মারিভ’ পত্রিকা একটি মতামত জরিপের আয়োজন করে। যার বিষয়বস্তু ছিল, ইসরাইল এই যুদ্ধে বিজয়ী হবে, নাকি পরাজয় বরণ করবে ? পত্রিকাটির হয়ে জরিপ পরিচালনা করে ‘লাজার রিচার্স ইন্স্টিটিউট।’ সেখান থেকেই ইসরাইলিদের এমন পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯ শতাংশ ইসরাইলি মনে করে এই যুদ্ধে তারা বিজয়ী হয়েছে। ৫৩ শতাংশ ইসরাইলি মনে করে তারা এখনো বিজয়ী হয়নি তবে, সেই প্রচেষ্টায় রয়েছে। ২২ শতাংশ ইসরাইলি মনে করছে তারা এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে হেরে গেছে। ৮ শতাংশ ইসরাইলি মনে করে বিপর্যস্ত পরাজয়ের সম্মুখীন তাদের দেশের সেনাবাহিনী। বাকি ৮ শতাংশ ইসরাইলি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মতামত দিয়েছেন।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

৩ মাসে প্রায় ৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল

0

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আক্রমণের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল। এ হামলার পর থেকে গত ৩ মাসে দখলকৃত এলাকায় মোট ৫ হাজার ৮৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি পুলিশ।

ফিলিস্তিনের বন্দি বিষয়ক দুটি গ্রুপ, ‘দি প্যালেস্টানিয়ান প্রিসনার ক্লাব ও প্রিসনারস এফ্যেয়ারস’ এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শুক্র ও শনিবার রাতে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। যার ফলে ৭ অক্টোবরের পর থেকে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৮৩৫ জনে পৌঁছেছে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “এসব ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন চেকপোস্ট ও বাড়ির ভেতরে ঢুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের দাবি নিহত এই ৩ জন ফেব্রুয়ারির পশ্চিমে অবস্থিত ইহুদি বসতি আডোরাতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

অর্থনীতিতে আরেকটা ধাক্কা আসবে : প্রধানমন্ত্রী

0

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন লাগল, তার ওপর স্যাংশন, পরিবহন-পরিচালন খরচ, জিনিসের দাম বাড়ল। এ অবস্থায় জিনিসের দাম আরও বাড়বে। এরমধ্যে আমেরিকা হুতিদের আক্রমণ করল। এটা যখন শুরু হয়ে গেল তখন তো অর্থনীতিতে আরেকটা ধাক্কা আসবেই।

আজ (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রুত সরকার গঠন করা হয়েছে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য। বিএনপির নেতৃত্ব না থাকায় নির্বাচনে অংশ নেয়নি, কিন্তু ভোট বানচাল করতে চেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন মূল কাজ হচ্ছে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং জিনিসপত্রের দাম যা বেড়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করা। গ্রামে-গঞ্জে তেমন অসুবিধা নেই, ঢাকা শহরে একটু সমস্যা, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেখানে জীবনযাত্রার মান একটু বেশি। বাজারে কিন্তু পণ্যের ঘাটতি নেই। কিন্তু মনে হয় যে, কেউ জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে হয়রানি করে। আমাদের সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমার বেশি আকক্সক্ষা নেই। আমি টুঙ্গিপাড়া আসবো আর ভ্যানে করে ঘুরে বেড়াবো। আমার গাড়িও লাগবে না। এক এক বাড়ি যাব আর খেয়ে বেড়াবো। এ জন্য ঢাকা শহরে আমার কোনো বাড়ি ঘর নেই। আমার যা আছে টুঙ্গিপাড়ায়। কাজেই আমি এখানে থাকবো। আমি আর রেহানা (শেখ রেহানা) এটাই ঠিক করেছি।