ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার দায়ে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন ব্রিটেনের আট শতাধিক বিচারক, আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে সোমবার পাঠানো এক খোলা চিঠিতে তারা এ দাবি জানান।
চিঠিতে বলা হয়, গাজ্জায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে অথবা তা সংঘটিত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। একইসাথে সেখানে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও বলা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে লন্ডন থেকে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, চিঠিতে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল আদালতের সাবেক বিচারপতিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সই রয়েছে।
চিটিতে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি গাজ্জার ‘সমগ্র ভূখণ্ড দখলের’, ‘শত্রুমুক্ত করার’ এবং ‘স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার’ ঘোষণা দিয়েছেন। এ বক্তব্য গাজ্জার ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় একটি সরাসরি হুমকি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন স্বাক্ষরকারীরা।
চিঠিতে বলা হয়, গাজ্জায় ফিলিস্তিনি জনগণের ধ্বংস ঠেকাতে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে গাজ্জার মানুষের জন্য জরুরি, নিঃশর্ত ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ শুরু করারও দাবি জানানো হয়।
ব্রিটেন গত সপ্তাহে ইসরাইলের সাথে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ মে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি হাউজ অফ কমন্সে জানান, তারা ইসরাইলের সাথে একটি নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রোডম্যাপের আওতায় সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ডই এ সিদ্ধান্তকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।’
ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে ফরেন অফিসে তলব করে জানানো হয়েছে, গাজ্জায় ত্রাণ দেয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইলের অবরোধ ‘সমর্থনযোগ্য নয়’।
সূত্র: বাসস