Home Blog Page 1643

আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিলো পুতিন

0

চলতি বছরেই আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র “সারমাট” মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেশী ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীর প্রাক্কালে এই ঘোষণা দিলেন তিনি।

তরল-জ্বালানিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র “আরএস-২৮” ও “সারমাট সতান-২” ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে বানানো হয়েছে বলে পশ্চিমা বিশ্লেষকদের ধারণা।

প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০১৮ সালে রাশিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় এই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপারে প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত বছর এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের আগ মুহূর্তে রাশিয়া “সারমাট” ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে সেই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সারমাট ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যারের বিকল্প নেই: স্পিকার

0

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যারের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিনই আমাদের সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের সফটওয়্যার খাতে রফতানি ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষ্য মাত্রা বাড়ানোর জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বেসিস ‘সফটএক্সপো’ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি তৈরি করা জন্য কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। তাহলে ২০৪১ সালের আগে বাংলাদেশ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে বেসিসের সদস্যরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করি। বেসিস সভাপতি ৫ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট, সরকারি সহায়তা এবং ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। তিনি তিনটি খাতকে একটি ছাতার নিচে আনতে বলেছেন। এক্ষেত্রে আগামীতে বিস্তারিত কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যদি এই প্রস্তাব রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হয় তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সেটা বিবেচনা করবেন।

মামলার তদন্তে মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ আইজিপির

0

মামলা তদন্তের গুণগতমান বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত ‘জানুয়ারি ২০২৩’ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।

বর্তমানে অপরাধের ধরণ ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, বহুমাত্রিক অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অপরাধ দমনে আরও তৎপর হতে হবে।

মাদক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন পুলিশ প্রধান। একইসঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রের মূল চেতনায় আঘাতকারীরা এখনো সক্রিয় : তথ্যমন্ত্রী

0

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রের চেতনার বেদীমূলে আঘাতকারী গোষ্ঠী এখনো সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তারা মাঝেমধ্যেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর টিকাটুলিতে রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনে শ্রী রামকৃষ্ণের ১৮৮তম জন্মতিথি ও রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার মিলিতস্রোতে আমাদের রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সব মানুষের, সব ধর্মের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই সমতার চেতনার বেদীমূলে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, রাষ্ট্র সৃষ্টির মূল চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে রাষ্ট্রকে আবার স্বাধীনতার মূল চেতনায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেই কাজ এখনো চলমান কারণ, রাষ্ট্রের চেতনার বেদীমূলে আঘাতকারী গোষ্ঠী এখনো সক্রিয় বলেন তিনি।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর আমরা কে কোন ধর্মের। একটি গোষ্ঠী এটা মানে না এবং তারা বাঙালি না বাংলাদেশি সেটা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। এরাই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়।

দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হচ্ছে: রেলপথ মন্ত্রী

0

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকসানের প্রতিষ্ঠান নয়, এটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব মিটার গেজ রেললাইন ব্রডগেজে উন্নীত করা হচ্ছে। আর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ডাবল লাইন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্ল্যাটফর্মের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জংশন স্টেশনে পুনর্নির্মিত ফুটওভার ব্রিজ ও আধুনিক পাবলিক টয়লেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, অবিভক্ত ভারত ও পরবর্তী পাকিস্তান আমলে এই অঞ্চলের রেলওয়ে বিহারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হতো। এই কারণে লোকবলের বিশাল সমস্যা ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়েকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা শুরু করেন। কিন্তু উন্নয়নকল্পে যাওয়ার আগেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলেও সমস্যায় জর্জরিত রেলওয়ের দিকে নজর দেয়নি। এমনকি স্বাধীনতার সময় পাওয়া তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইনকে কমিয়ে আড়াই হাজারে আনা হয়। ৭৮ হাজার শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী থেকে কমিয়ে ২৫ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। তারা রেলওয়েকে লোকসানজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। এমনকি আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে ১৯৯১ সালে বিএনপি রেলওয়ে থেকে ১০ হাজার শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করে।

তিনি বলেন, রেলওয়েতে ৪৮ হাজার লোকের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ২৫ হাজার জনবল রয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে রেলওয়ের নিয়োগ বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিন হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে রেল সম্প্রসারিত করতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে ডাবল লাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। কারণ দেশের জনগণ ট্রেন চাচ্ছে। তাই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ও সময় কমিয়ে ঈশ্বরদী-রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রেলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজকরণে প্রতিটি সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ দিয়ে ডাবল লাইনের আলাদা রেল সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।

মিয়ানমার সরকারের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে ভারত

0

মিয়ানমার সরকারের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে ভারত। গত দুই বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে গভীর সামরিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। ভারতের দু’টি মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ফ্রি এশিয়া রেডিও।

এই গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত গত দুই বছরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত চার দফায় মিয়ানমারের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে নয়া দিল্লি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। চলমান রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যেই মিয়ানমারের কাছে ভারতের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির খবরে নানা মহলে সমালোচনা চলছে।

নয়াদিল্লি ভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভারতের প্রতিবেশী নীতি বিশেষজ্ঞ কে. ইওমে এর আগে বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ থাকলেও ভারত আছে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে।

২০১৩ সালেই অস্ত্র সরবরাহের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মিয়ানমার। এরপরই সরবরাহ করা হয় অস্ত্র। সে সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে সরবরাহ করা অস্ত্রের মধ্য ছিল বন্দুক, রাডারসহ নানা অস্ত্র।

পার্সটুডে

আইনমন্ত্রী বললেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন, তথ্যমন্ত্রী বললেন পারবেন না

0

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যে শর্তে সাজা মওকুফ করে কারামুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে তার রাজনীতি করার ব্যাপারে কোনো শর্ত নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর বাইরে কোনো শর্ত নাই। আপনারা প্রশ্ন করেছেন- উনি রাজনীতি করতে পারবেন কিনা। আমি সত্য বলি বলেই বলেছি, রাজনীতি করার ব্যাপারে কোনো শর্ত নাই।’

তবে এই বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে কারাগারের বাইরে ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী, তিনি রাজনীতি করতে পারেন না।

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে রাজনীতি নিয়ে শর্ত ছিল কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে শর্তে তাকে ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেই শর্তে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন এমন কথা নেই।

শর্তে বলা আছে, তিনি ঘরে থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং অন্য কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন না। সুতরাং তার রাজনীতি করতে পারার কথা নয়। কেউ যদি বলে থাকে সেটা বলতে পারেন।

আমি ইতোমধ্যে খোঁজখবর নিয়েছি, শর্ত অনুযায়ী তিনি বাসায় থাকতে পারবেন, চিকিৎসা নিতে পারবেন কিন্তু তিনি রাজনীতি করতে পারার কথা নয়।

নাবলুসে ইসরাইলী গণহত্যা; প্রতিশোধের অঙ্গীকার করল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনগুলো

0

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে গতকাল ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনে যে ১১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন তার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে তারা এই রক্তগঙ্গার বদলা নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এই হত্যাযজ্ঞকে বিচারবহির্ভূত বর্বর হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য হিশাম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞের সঠিক জবাব দেবে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো এবং ইসরাইলের এই হত্যাকাণ্ড অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে আরো সক্রিয় করবে।

অন্যদিকে, হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের ওপর বাড়াবাড়ি পর্যায়ের অপরাধযজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছে গাজার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন এবং ক্রমেই আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।”

ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরাইলি আগ্রাসনকে ঘৃণ্য অপরাধ আখ্যা দিয়ে বলেছে, বিনা বিচারে এই অপরাধযজ্ঞকে পার পেতে দেবে না ফিলিস্তিনিরা। এক বিবৃতিতে জিহাদ আন্দোলন বলেছে, ফিলিস্তিনি শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না জিহাদ আন্দোলন এবং এই আগ্রাসনের মাধ্যমে শত্রুরা যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায় তা ব্যর্থ হবে। ইসরাইলি শত্রুদেরকে অবশ্যই প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জিহাদ আন্দোলন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনেহ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এ ধরনের বর্বরতার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পার্সটুডে

বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে : মির্জা ফখরুল

0

বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে। ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল এবং নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে চার বছর ধরে প্রথমে কারাগারে পরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। ভিন্নমত দমনে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে এ সরকার। তেল, গ্যাস, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। সরকারের দুর্নীতির কারণে এসব হচ্ছে।

আবারো বাইতুল মোকাদ্দাসে অনুপ্রবেশ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করলো ইহুদীরা!

0

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা দখলকৃত জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে তালমুদিক নামক ইহুদীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেছে।

ফিলিস্তিনিনের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপতিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ও বিকালে তারা মসজিদ আল আকসায় এ অপমানজনক ঘটনা ঘটায়।

বিজ্ঞপতিতে আরো বলা হয়েছে, ৩৯৬ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী মসজিদ আল-আকসা প্রাঙ্গণ অপবিত্র করেছে। তারা মাগরিবা গেট দিয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। এসময় তাদের নিরাপত্তায় পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসময় তাদের উদ্দেশ্য ইহুদি রাব্বিরা কথিত টেম্পল মাউন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরছিলেন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের কাছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি দখলদার পুলিশ আকসা মসজিদের প্রবেশদ্বার ও গেটে মুসলিম মুসল্লিদের চলাচল ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ও বিকেলে ইহুদি বসতি স্থাপনকারী এবং পুলিশ বাহিনীর দ্বারা আকসা মসজিদ অপবিত্রতার সম্মুখীন হয়।

সূত্র : দি প্যালেস্টানিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার