Home Blog Page 1659

বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত : খন্দকার মোশাররফ

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হত্যা করেছে। এটা কি শুধু আমরা বলি, সাধারণ জনগণও বলে। শুধু তাই নয় আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও এটা স্বীকৃত যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই।

আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পদযাত্রাটি উত্তরা জসিম উদ্দিন মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা। বিদ্যুতের বিল দিতে পারে না, পানির বিল দিতে পারে না, গ্যাসের বিল দেয় কিন্তু গ্যাস থাকে না। মানুষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সেজন্য বিএনপি জনগণের এসব দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। আমরা যখন এসব দাবিতে সমাবেশ করি তখন সরকার বানচাল করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র টেকেনি। জনগণ সব কর্মসূচি সমর্থন করে সফল করেছে। কয়েকদিন আগে আমরা ইউনিয়নে ইউনিয়নে এ ধরনের পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। স্বাধীনতার পর জনগণের দাবি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরনের কর্মসূচি দেয়নি। আমরা দিয়েছিলাম এবং দেশের জনগণ সফল করেছে।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির দিনে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় থাকার চেষ্টা করছে দাবি করে ড. মোশাররফ বলেন, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। আজকেও ঢাকা শহরে তারা (আ.লীগ) শান্তি সমাবেশ করেছে। খবর নিয়ে দেখেন কয়টা মানুষ সেখানে গিয়েছে। জনগণ আর তাদের সমাবেশে যায় না। কারণ জনগণ এ পর্যন্ত প্রতারিত হয়েছে। বারবার প্রতারিত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ দ্বারা প্রতারিত হতে চায় না।

গরু পাচারকারী সন্দেহে ২ মুসলিম যুবককে পুড়িয়ে হত্যা করল বজরং দল

0

ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপিশাসিত হরিয়ানায় জুনায়েদ ও নাসির নামে দু’জন মুসলিম যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ জুনায়েদ ও নাসিরের বোলেরো গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ধরেছিল। এর পরে, তাদেরকে অর্ধমৃত অবস্থায় বজরং দলের মনু মানেসার এবং তার সঙ্গীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গরু পাচারের সন্দেহে বোলেরো গাড়িসহ দু’জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভিওয়ানির লোহারু গ্রামের কাছে তাদের লাশ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত মনুর বিরুদ্ধে ২০ দিনে ২টি খুন ও ১টি খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সময় ফিরোজপুর-ঝিরকার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (সিআইএ) টিম সেখানে উপস্থিত ছিল। দু’জনকেই প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর এরা জুনায়েদ ও নাসিরকে থানায় নিয়ে গেলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিতে অস্বীকার করে। এর পরেই বোলেরোসহ জীবন্ত পুড়িয়ে মারার খবর আসে।

অন্যদিকে, পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা বলে খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। ফিরোজপুর ঝিরকার ‘সিআইএ’ ইনচার্জ বীরেন্দর সিং বলেছেন, এই বিষয়ে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা কোনো আসামিকে ধরেনি বা বজরং দলের লোকজনের হাতে তুলে দেয়নি। সেদিন তার গাড়ি, স্টাফ এবং তিনি নিজেও থানায় ছিলেন। পরিবার কেন এমন অভিযোগ করছে তা তারা জানে না।

নিহত জুনায়েদ (৩৫) ও নাসির (২৮) দু’জনেই রাজস্থানের ভরপুর জেলার ঘাটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামটি হরিয়ানা সীমান্তের কাছে। জুনায়েদের চাচাতো ভাই ইসমাইল বুধবার গোপালগড় থানায় (ভরতপুর) উভয়কে অপহরণ ও মারধরের মামলা দায়ের করেছিলেন। ভিওয়ানি এবং রাজস্থানের ভরতপুর জেলা পুলিশ তদন্তে নিযুক্ত রয়েছে। দু’জনের কঙ্কালের নমুনা নেওয়া হয়েছে। এবং ‘ডিএনএ’ টেস্ট করা হচ্ছে।

নিহত জুনায়েদের চাচাতো ভাই ইসমাইল বলেন, জুনায়েদ ও নাসির গত মঙ্গলবার ভোরুবাস সিক্রি গ্রামে গিয়েছিল। এখানে তার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি। তারা সেখানে রাত কাটান। বুধবার সকালে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ‘সিআইএ’ টিম ও বজরং দলের লোকজন উভয়কেই আটকে দেয় এবং তাদের নাম জিজ্ঞেস করে। এরপর দু’জনকে গাড়ি থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করা হয়।

ইসমাইল বলেন, বজরং দলের লোকজনের কারণে এলাকায় ইতোমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বজরং দলের সদস্যদের কথিত মারধরের কারণে নুহতে মারা গিয়েছিলেন ওয়ারিস। নাসির-জুনায়েদ তাদের টানাটানি হচ্ছে দেখে প্রাণ বাঁচাতে বোলেরো গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যায়। স্বজনরা বলছেন, জুনায়েদ-নাসির প্রাণ বাঁচিয়ে বোলেরো গাড়িতে পালাতে দেখে ফিরোজপুর-ঝিরকা ‘সিআইএ’ সামনে থেকে গাড়িটিকে ধাক্কা দেয় এবং বজরং দলের লোকজন পেছন থেকে ধাক্কা মারে। তাদের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশও সমানভাবে জড়িত। তার প্রমাণ দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। আমাদের সাক্ষী আছে। বিরুকা চৌত্রী যাওয়ার পথে দু’জনকে একটি গাড়িতে তুলে ফিরোজপুর-ঝিরকা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বজরং দলের লোকজন দু’জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও দু’জনের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে পুলিশ তাদের রাখতে রাজি হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বজরং দলের নেতা মনু মানেসার, রিংকু সাইনি ছাড়াও আরও ৭/৮ জন লোক আমাদের দুই ভাইকে ভিওয়ানিতে নিয়ে গিয়েছিল যখন পুলিশ তাদের হেফাজতে নিতে অস্বীকার করেছিল। তাদেরকে পেছনের সিটে বসিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা দু’জনের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর দেখে জানা গেছে এটি আমাদের গাড়ি। যারা মারা গেছে তারা দু’জনেই আমাদের ভাই।

এদিকে, হরিয়ানার ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপিশাসিত হরিয়ানা সরকারের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রণদীপ সূর্যেওয়ালা এবং ইমরান প্রতাপগড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেছেন, হরিয়ানাকে এখন ‘ঘৃণার কারখানা’ বানানো হচ্ছে। বজরং দলের লোকেরা দুই ভাইকে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি ভারতের আত্মাকে নাড়া দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মনু মানেসারের বিরুদ্ধে এর আগেও সহিংসতার মামলা রয়েছে। এটা যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটছে তা স্পষ্ট।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার এমপি ইমরান প্রতাপগড়ি বলেছেন, হরিয়ানার ভিওয়ানিতে গো-সন্ত্রাসীদের দ্বারা দুই যুবক জুনায়েদ এবং নাসিরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় হরিয়ানা পুলিশের নীরবতা লজ্জাজনক। আমি রাজস্থানের বাসিন্দা এই দুই যুবকের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে সাহায্য করব।

ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি এক বার্তায় বলেছেন, হরিয়ানায় গোরক্ষকদের নামে একটি সংগঠিত চক্র জুনায়েদ ও নাসিরকে হত্যা করেছে। এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডের যতই নিন্দা করা হোক তা যথেষ্ট নয়। এই ঘটনায় জড়িত মনু মানেসার ও তার সহযোগীদের বিজেপি ও আরএসএসের সমর্থন রয়েছে। বিজেপি যে মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তারা আগামী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ও হরিয়ানার বিজেপি সরকারের উচিত নয় এই ধরনের লোকদের রক্ষা করা বা সুরক্ষা দেওয়া।

ওয়াইসি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে নীরবতা ভাঙবেন? হরিয়ানায় মনোহর লালের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার মনু মানেসারকে সুরক্ষা দেয় এবং হরিয়ানা সরকার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলেও মন্তব্য করেছেন ওয়াইসি।

আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক ভাস্কর হিন্দি গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার, হরিয়ানার ভিওয়ানির লোহারুতে একটি বোলেরো গাড়িতে নাসির এবং জুনায়েদ উভয়ের লাশ কঙ্কাল হিসেবে পাওয়া যায়। তাদের দেহ ও গাড়ি উভয়ই সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দল এবং হরিয়ানা পুলিশের ফিরোজপুর-ঝিরকা সিআইএ’র বিরুদ্ধে তাদের দু’জনকে হত্যার অভিযোগ আনলেও বজরং দল এবং পুলিশ উভয়েই পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সূত্র : পার্সটুডে

ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষই জিতবে না: মার্কিন জেনারেল

0

আমেরিকার সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষই জিতবে না। যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায় কূটনৈতিক উপায়ে শান্তি চুক্তি করা। যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ লড়াইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত জয় অর্জন সম্ভব নয়। কেননা ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে কেউই জিতবে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মার্ক মিলি।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন মতে, সাক্ষাৎকারে মার্কিন জেনারেল বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক উপায়ে রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন রাশিয়ার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাবে। রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে ফেলবে-এমনটাও সম্ভব নয়।

জেনারেল মিলি আরও বলেন, ইউক্রেনের পক্ষেও রাশিয়ার সেনাদের বিতাড়িত করা খুব খুব কঠিন হবে। কঠিন হবে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডগুলো পুনরুদ্ধার করাও। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর শেষে এই সাক্ষাৎকার দেন আমেরিকার শীর্ষ এ সেনা কর্মকর্তা।

মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ বেশি সুনাম অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মহামারির আক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষা করা হয়েছে। জনগণ করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় যে সুফল পেয়েছেন তা আজ বিশ্ববাসী অনুভব করেছেন। মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হলো শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুরে পরিদর্শন শেষে সম্মেলন কক্ষে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর বেশি দিন নয়, প্রত্যেক জেলা থেকে চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী জন্মলাভ করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিএনপি জামায়াতের মত আগুন সন্ত্রাসী নয়, স্বাস্থ্যসেবা ও মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে জনগণের মন জয় করতে চায়। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই ১০ হাজার চিকিৎসক ও ১৪ হাজার নার্সকে নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর তাই এখন আর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয় না। দেশের সকল ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই : পরশ

0

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, কোনো স্বাধীনতাবিরোধীদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। এই স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের সুবিধা যারা নেয় এদেশে তাদের রাজনীতিও বন্ধ করে দিতে হবে। গণরায়ের মাধ্যমে এই বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীদের সাজার আওতায় আনতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ফার্মগেট, যুবলীগ চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশের উন্নয়ন শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হতে পারে এবং সেই ত্যাগ তিতিক্ষা শিশুকাল থেকেই তিনি তার পিতার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। বঙ্গবন্ধু এ দেশের স্বাধীনতার জন্য যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন ঠিক একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। পিতার কারণেই এদেশের জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার যে দায়িত্ববোধ তা আর কোন সরকার দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, আজকে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে অনেকে বড় বড় কথা বলেন এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে জনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার বিভিন্ন রকম অপচেষ্টা চলছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মহল থেকে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশের এ উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পছন্দ হচ্ছে না। এভাবে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছ থেকে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এ সব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের প্রতিটা নেতাকর্মীদের সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদর্শিক ভিত্তি লাভ করব।

ভাসানচর পরিদর্শনে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত

0

বাংলাদেশে নিযুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জাপান, চায়না, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল ভাসানচর পৌঁছান।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় ভাসানচরের বিভিন্ন ওয়্যার হাউজে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে ভাসানচর পৌঁছান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো। এছাড়াও ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসার-ইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।

একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মুহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মুহাম্মাদ সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মুহাম্মাদ কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক-৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক-১৪ ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।

এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি : মির্জা ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের পরিষ্কর কথা! এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দেশের অনেক ক্ষতি করেছেন। শুধুমাত্র নিজ পরিবার ও নেতাদের লুটের কারণে দেশ আজ ফোকলা হয়ে গেছে। দেশের মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, আপনাদের উন্নয়ন হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্বে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও গুলিসহ দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে আজ এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আজকে ক্ষমতাসীনদের চুরির কারণে ব্যাংক খালি, ডলার নেই। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। দেশে আজ গণলুট চলছে। এরা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের সম্পদ লুট করে।

তিনি বলেন, একটাই দাবি এই সরকারের পদত্যাগ, ব্রিটিশদের মতো আওয়ামী লীগ হচ্ছে বর্গির দল, তারা ক্ষমতায় এসে সব কিছু লুট করে নিয়ে চলে যায়। আওয়ামী লীগ মূলত একটি সন্ত্রাসী দল। তারা কখনো ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সবসময় তারা একটা ত্রাস সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক অত্যাচার হয়েছে- আর নয়- জনগণকে বাসা থেকে বের হতে হবে, জেগে উঠতে হবে। সরকার দেশটিকে ফতুর বানিয়ে ফেলেছে। একদিকে দব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ গরিব হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। তারা বলে উন্নয়ন উন্নয়ন, এমন উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ আজ বিদ্যুৎ পায় না, পানি পায় না, গ্যাস পায় না।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব এবং পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আমরা এটি চাইনি, এটি জাতির জন্য লজ্জাকর, তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে র‌্যাব ও পুলিশকে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। এবারো আমেরিকায় অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পাইনি, এতে বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায়। যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছে, সে গণতন্ত্র হরণের অভিযোগেই গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশীদের বলেছেন- উনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে! তার এ বক্তব্যে মানুষ হাসে। আমাদের পরিষ্কার কথা- এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। দেশের অনেক ক্ষতি করেছেন। শুধুমাত্র নিজ পরিবার ও নেতাদের লুটের কারণে দেশ আজ ফোকলা হয়ে গেছে। দেশের মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, আপনাদের উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। তাহলে কেনো পাহাড়া দেন? এখনো সময় আছে, দেয়ালের লিখন পড়েন। সারাদেশের মানুষ নেমে পড়েছে। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, নতুবা রেহাই পাবেন না।

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি নিজেও জানে না উনি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। তা তিনি আবার এক সাক্ষাৎকারেও বলেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় এ সংবিধানে দেশ চলবে না। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের উত্থাপিত ২৭ দফার আলোকে সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।

আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

তাজিকিস্তানে তুষারধসে ১৭ জনের মৃত্যু; নিখোঁজ ২

0

মধ্যএশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গোরনো-বাদাখশানে কয়েক দিন ধরে একের পর এক তুষারধসে এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।

গোরনো-বাদাখশান প্রদেশের অবস্থান তাজিকিস্তানের পার্বত্য এলাকা পামির রেঞ্জ ঘেঁষে এবং চীন ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি। চারদিকে উঁচু পর্বতমালা ঘিরে থাকায় শীত মৌসুমে প্রদেশটিতে তুষারধস প্রায় নিয়মিত দুর্যোগ; তবে টানা তুষারধস বেশ বিরল।

দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু বৃহস্পতিবারই ছোটো বড় ৬৯টি তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে।

গোরনো বাদাখশানের রাজধানী খোরোগ ও তার আশপাশের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নিহত যে ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনই খোরোগের বাসিন্দা। বাকি ৪ জন আশপাশের এলাকার।

তুষারধসে আহতও হয়েছেন অনেকে। পার্বত্য এলাকার কয়েক ডজন বাড়িঘর চাপা পড়েছে তুষারের স্তুপের তলায়।

তহবিলের অভাবে খাদ্য সংকটের মুখে রোহিঙ্গারা; জাতিসংঘের সতর্কতা

0

তহবিল সংকটের কারণে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আগামী মার্চ মাসেই রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা ১৭ শতাংশ কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর ফলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর।

আর যদি এপ্রিল মাসেও নতুন তহবিল জোগাড় না করা যায় তবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় আরও কমানো হতে পারে। ফলে সংকট ভয়াবহ রূপ নেওয়ার শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

সম্ভাব্য নতুন এ সংকটের বিষয়ে জাতিসংঘের দুজন বিশেষজ্ঞ মাইকেল ফাখরি ও টম অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করেছেন। ফাখরি জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক স্পেশাল র‌্যাপোর্টার। আর অ্যান্ড্রুজ মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টার।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে সাড়ে ১২ কোটি মার্কিন ডলার দরকার। ডব্লিউএফপি ওই তহবিলের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ মাইকেল ফাখরি ও টম অ্যান্ড্রুজ যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যের রেশন কমানো এড়াতে অবিলম্বে তহবিলের জন্য আবেদন করেছেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা কমানো হলে বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কেও তারা সতর্ক করেছেন।

এই জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের দাবি, রোহিঙ্গাদের খাদ্য জোগানের মতো মৌলিক অধিকার পূরণে বিশ্ব সম্প্রদায় ব্যর্থ হলে তা মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে। রমজানের আগে খাদ্য সহায়তা কমানোর এই ঘোষণা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পাহারা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাহারা দিয়ে বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না। পাহারা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যায় না। ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ পাবে না।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণ যাবে না দাবি করে মহাসচিব বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও সময় আছে, পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করুন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন। একটাই দাবি এই সরকারের পদত্যাগ।

তিনি বলেন, এই ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ফতুর করে দিয়েছে। মানুষ গরীব হচ্ছে আর আওয়ামী নেতারা ফুলে ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে অকার্যকর করে ফেলেছে, কোথাও কোনো সফলতা নেই। আওয়ামী লীগ মূলত সন্ত্রাসী দল, কোনোদিন নির্বাচিত হয়ে আসেনি। ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।